#নদিয়া: শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের যথাযথ বিকাশ ঘটলেই আগামী দিনে গড়ে উঠবে তাদের সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ। এবং তারাই আমাদের দেশকে নিয়ে যাবে সাফল্যের উচ্চ শিখরে। তবে সেই জন্যে চাই সঠিক সময় সঠিক শিক্ষা দান। তবে আমাদের ভারতবর্ষের এমন অনেক হতদরিদ্র অভাগা শিশুরা থাকে যাদের পড়াশোনা করার ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক দুর্দশার কারণে খুব বেশি দূর পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারে না। উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন থাকলেও তা রয়ে যায় অধরাই। সরকার থেকে একাধিক উচ্চ শিক্ষার সুবিধা দিলেও সবার কাছে বিভিন্ন কারণে অনেক সময় তা পৌঁছাতে পারে না।
সবাই যাতে উচ্চশিক্ষা লাভ করে এবং শিক্ষার ন্যূনতম জ্ঞান থেকে কেউ যাতে বঞ্চিত না হয়, সেই কারণে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে শুরু করে নেতা-নেত্রী রাজনৈতিক বিদ ও বিভিন্ন এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকেরা এগিয়ে এসেছেন। তবে এক অনন্য নজির গড়লেন নদিয়ার গৃহবধূ পাপিয়া কর। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য বইয়ের অভাব দূর করতে নিজের বাড়িতেই একটি আস্ত গ্রন্থাগার বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। এই গ্রন্থাগারটি তিনি চালু করেন ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর। নাম দেন "ননীবালা মুক্ত গ্রন্থাগার"।
আরও পড়ুন - বিয়েবাড়ির লোকজনদের তৎপরতায় প্রতিবেশীদের মারধরের হাত থেকে রক্ষা পরিবারের
পাপিয়া করের উদ্দেশ্য ছিল আর্থিক অভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েরা যারা টাকার অভাবে ভালো রেজাল্ট করার জন্য সহায়িকা বই এছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় বই কিনতে পারেনা তারা এই গ্রন্থাগার দিয়ে বই নিয়ে এক বছর সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়াশোনা করতে পারবে। এবং পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে সেই বই পুনরায় ফিরিয়ে দেবে এই গ্রন্থাগারে। এই গ্রন্থাকারে বই রাখা রয়েছে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত।
জানা যায় এখনো পর্যন্ত মোট ১৩০ জন ছেলে মেয়ে তার গ্রন্থাগার থেকে বই নিয়ে পড়াশোনা করছে। তবে বর্তমানে দুটি সংস্থা, সুখের চাদর এবং ক্যালকাটা ফুডিস ক্লাবের সাহায্য পান তিনি। পাপিয়া কর সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন, "যখন রেজাল্টের পরে আমায় প্রনাম করে এসে বলে যায়, বই গুলো পেয়ে আমাদের ভীষণ উপকার হয়েছে, তখন সত্যি ভীষণ আনন্দ হয়, মনে হয় যেন আমার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে"।
Mainak Debnath
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Library, Nadia news