#মুর্শিদাবাদ: খরচ মাত্র পাঁচ লক্ষ টাকা। আর সেই টাকা দিয়ে নিজের শখের বাড়ি উঠল সাড়ে ৪ফুট উঁচুতে। ভাবছেন এ আবার কি। ১৪০০ স্কোয়ার ফুটের আস্ত একটা বাড়িকে সাড়ে চার ফুট উপরে ওঠানো হল সালার থানার দক্ষিণখণ্ড গ্রামে।
এই বাড়ি লিফটিং-জ্যাকের সাহায্যে তোলা হল। সালার থানা তথা ভরতপুর বিধানসভার মধ্যে সর্বপ্রথম হল দক্ষিণ খণ্ডে। বীরভূম জেলার বোলপুরের এক বেসরকারি সংস্থা পুরো বাড়িটির সংস্কারের দায়িত্ব নিয়েছে। দক্ষিণখণ্ড গ্রামের মুসলিম পাড়ার মোশারফ শেখ ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে তার বাড়িটিকে মাটি থেকে সাড়ে চার ফুট উপরে তুলছেন। পুরো কাজটি করতে সময় লাগছে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। নিজের বাড়ির নীচে গ্যারেজ ও রাস্তা থেকে বাড়িটি নীচু হওয়ার কারনেই এই লিফটিং করার সিদ্ধান্ত নেন মোশারফ শেখ জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন - ১৫ মিনিটের লড়াকু ফুটবলে স্পেনের বিরুদ্ধে কামব্যাক জার্মানির, বিশ্বকাপে বেঁচে থাকল আশা
কিভাবে হচ্ছে এমন কাজ। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বাড়ি উঁচু করার কাজটি নিখুঁত মাপজোকের উপরে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রথমে বাড়ির ভিত পর্যন্ত মাটি খোঁড়া হয়েছে। ভিতের প্রায় তিন ফুট অংশ থাকছে মাটির নীচে। ভিতের উপরের অংশ থেকে ইট সরিয়ে জ্যাক লাগানো হচ্ছে। প্রায় পৌনে আটশো বর্গফুটের ওই বাড়িতে ১০০টি জ্যাক লাগিয়ে ভিত থেকে বাড়িটিকে আলাদা করা হয়েছে। ওই জ্যাকগুলির উপরে আস্ত বাড়িটাকে দাঁড় করিয়ে মাঝের অংশে ইটের গাঁথনি দেওয়া হচ্ছে। গাঁথনি শেষ হলে জ্যাকগুলি বের করা হবে।
আরও পড়ুন - চোট সমস্যায় জেরবার ব্রাজিল, কী হতে চলেছে সুইস 'বধের' রণনীতি, লড়াই দিতে প্রস্তুত সাকেরিরা
বাড়িটিকে সাড়ে ৪ ফুট উত্তোলনের কাজ শুরু করে। সংস্থার ২৬ জন কর্মী প্রায় ১৫০টি জ্যাকের সাহায্যে এই কাজ করেন। আগামী দিনে জ্যাক খুলে নিয়ে ইটের গাঁথনি দিয়ে বাকি কাজ শেষ করতে আরও ৭-৮ দিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিক এর বক্তব্য, ৩৫ বছর এই বাড়িটির কোন গুণগত পরিবর্তন হলে বা ক্ষতি হলে, পুনরায় আবার তারা মেরামত করে দেবে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। সালারের দক্ষিণখণ্ডে বাড়ি লিফটিং নিয়ে পাড়া তথা গ্রামবাসীদের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। শুধু গ্রামেরই নয়, আশপাশের গ্রাম থেকেও বহু মানুষ একবার চাক্ষুষ করতে আসছেন বাড়ি লিফটিং এর কাজ।
Koushik Adhikaryনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Berhampore, Murshidabad