হোম /খবর /মালদহ /
থামছেই না গঙ্গা ভাঙন! চোখের সামনে তলিয়ে গেল বসত ভিটে, মন্দির

Malda News: থামছেই না গঙ্গা ভাঙন! চোখের সামনে তলিয়ে গেল বসত ভিটে, মন্দির

X
title=

লাগাতার গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়ে উদ্বাস্তু গোটা এলাকা। গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে বসত ভিটে, তলিয়ে গিয়েছে মন্দির। একবার নয়, গত কয়েক দশকে কমপক্ষে পাঁচবার বসত ভিটের সাথে মন্দির তলিয়েছে গঙ্গা গ্রাসে।

  • Share this:

#মালদহ : লাগাতার গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়ে উদ্বাস্তু গোটা এলাকা। গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে বসত ভিটে, তলিয়ে গিয়েছে মন্দির। একবার নয়, গত কয়েক দশকে কমপক্ষে পাঁচবার বসত ভিটের সাথে মন্দির তলিয়েছে গঙ্গা গ্রাসে। তবে পুজো থামাননি গ্রামের বাসিন্দারা। নিজেদের ঠিকানা পরিবর্তনের সঙ্গে মন্দিরের ঠিকানা বদলেছে। যেখানে নতুন করে বসতি গড়েছে, সেখানেই নতুন মন্দির করে হয়েছে দেবি দুর্গার আরাধনা। এই কাহিনী গঙ্গা তীরের মালদহের মানিকচকের ষোলো মৌজার মা দুর্গার। মালদহের মানিকচক ব্লকের অধিকাংশ এলাকাই গঙ্গা তীরবর্তী।

ফি বছর ভাঙনে ভিটে মাটি হারিয়ে উদ্বাস্তু হওয়াটাই যেন দস্তুর এখানকার হাজারো বাসিন্দার। তা বলে মা দূর্গাকেও হারাতে হবে বসত ভিটে? অবিশ্বাস্য ঠেকলেও ভাঙন এখানে গ্রাস করেছে খোদ বিপত্তারিণী মা'কেও। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বঙ্গভঙ্গের বছর মানিকচকের ষোলোটি মৌজার জমিদার ভূপাল চন্দ্র রায়চৌধুরী ১৯০৫ সালে দরবারিটোলায় শুরু করেন দুর্গাপুজো। তারপর এই পুজো জমিদার গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দেন। তারপর থেকেই এই পুজো ষোলো মৌজার সার্ব্বজনীন পূজো নামে পরিচিত।

আরও পড়ুনঃ বেহাল অবস্থায় এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা! মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ

তবে সেই উদ্যোগে জল ঢেলেছিল গঙ্গা। ভাঙনের কবলে তলিয়ে যায় দরবারিটোলা গ্রাম সাথে মন্দির। বর্তমানে দরবারিটোলা মাঝ গঙ্গা।এরপর, কখনও বেচুটোলা, কখনও পালপাড়ার আমবাগানে, আবার কখনও হাড্ডাটোলায় অস্থায়ী মন্দিরে পুজো হয়েছে দেবী দশভূজার, যদিও ভাঙনে বারবার তলিয়ে গেছে স্থায়ী অস্থায়ী সব মন্দিরই। বর্তমানে জোতপাট্টা এলাকায় নতুন মন্দির গড়ে চার বছর ধরে চলছে মায়ের পুজো।এই পুজো উপলক্ষে চারদিন ধরে চলে মেলা। প্রাচীন এই পুজোকে আঁকড়ে রেখেছেন ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুনঃ প্রসূতি বিভাগে রোগীর চাপ! মালদহ মেডিকেলে বাড়ল ২০০টি বেড

বর্তমানে যে স্থানে মন্দির রয়েছে সেখান থেকে গঙ্গার দূরত্ব প্রায় ৩০০ মিটার। পুজোর আগে মন্দির প্রাঙ্গণে বন্যার জল এসে পৌঁছায়। ভাঙ্গন অব্যাহত, ক্রমশ এগিয়ে আসছে গঙ্গা। মন্দির ভবিষ্যৎ আগামীতে কি তা কারো জানা নেই। তবে পুজোর আয়োজনে আজও কোন ত্রুটি রাখেননি গ্রামের ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। ধুম ধামের সঙ্গে পুজোর আরাধনায় মেতে ওঠেন সকলে। কিন্তু এটাও সকলের জানা আগামীতে হয়তো এই মন্দিরও গঙ্গায় বিলীন হয়ে যাবে। আবারো নতুন ঠিকানায় আবির্ভাব হবে দেবী দশভূজার।

 

 

 

Harashit Singha

Published by:Soumabrata Ghosh
First published:

Tags: Malda, North Bengal, River erosion