Malda News: দশমীতে পান্তাভাত খাইয়ে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে, ৪০০ বছরের রীতিতে ছেদ পড়েনি আজও

Last Updated:

দশমীতে পান্তাভাত ও দই-খই খাইয়ে বিদায় জানানো হয় দেবি দুর্গাকে। ৪০০ বছর ধরে এই রীতি মেনেই পুজো হয়ে আসছে মালদহ শহরের ঘোষ বাড়ির। বর্তমানে এই পুজো দুই ভাগে বিভক্ত। দেশের ভাগের পর বাংলাদেশ থেকে ঘোষ পরিবারের একাংশ এপারে চলে আসেন।

+
৪০০

৪০০ বছরের পুরনো পুজো

#মালদহ: দশমীতে পান্তাভাত ও দই-খই খাইয়ে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। ৪০০ বছর ধরে এই রীতি মেনেই পুজো হয়ে আসছে মালদহ শহরের ঘোষ বাড়ির। বর্তমানে এই পুজো দুই ভাগে বিভক্ত। দেশের ভাগের পর বাংলাদেশ থেকে ঘোষ পরিবারের একাংশ এপারে চলে আসেন। তাঁরাই বাংলাদেশের দেবীর ঠাকুর দালান থেকে মন্দিরে মাটি নিয়ে এসে এখানে পুজো শুরু করেন। বর্তমানে দুই দেশে একি রীতি নীতি মেনে পুজো হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন Durga Puja 2022: আহেলী-র পুজোর ভোজে মিলবে জেলার স্বাদ!
মালদহের ইংরেজবাজার শহরের অন্তর্গত বিবেকানন্দ পল্লীর ঘোষ পরিবার। এখানে ৪৫ বছর ধরে রীতিনীতি মেনে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। তবে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল, অবিভক্ত ভারতের বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী শহরে। পরিবারের লোকেদের দাবি, প্রথমদিকে এই পুজোয় নবমীতে কুমড়ো বলি দেওয়া হতো। তবে বর্তমানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।দেশ ভাগের পর ঘোষ পরিবারের একাংশ সীমান্ত পার করে মালদহ জেলায় চলে আসেন। পরিবারের আরেক অংশ এখনও বাংলাদেশের রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের রীতিনীতি মেনেই তাদের পুজো হয়। ভারতে আসার পর ১৯৮২ সাল নাগাদ অভিনাশ ঘোষ এই পরিবারের সেই সময়কার কর্তা মালদহ শহরের বিবেকানন্দ পল্লীতে তাদের বসত বাড়িতে পুজোর সূচনা করেন। বাংলাদেশের মন্দির থেকে মাটি নিয়ে এসে ঘটে করে সেই পুজো করা হতো।
advertisement
advertisement
তারপর প্রতিষ্ঠিত মন্দির তৈরি করা হয়। মন্দিরের বেদীর নিচে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের মন্দিরের সেই মাটি। বর্তমানে এই ব্যবসায়ী পরিবারের পুজো শহরবাসীর কাছে অন্যতম আকর্ষণ।মহালয়া থেকে এই পুজোর সূচনা হয়। মহালয়া সকালে পরিবারের সকলে মিলে গঙ্গাস্নান করে আসেন। সেদিন থেকে শুরু হয় পুজোর প্রস্তুতি। মহালয় থেকে দশমীর প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত পরিবারের সকলেই নিরামিষ আহার খেয়ে থাকেন। দশমীতে মায়ের জন্য পান্তা ভাত ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে। দর্শনার্থী পাড়া-প্রতিবেশীদের জন্য চারদিন পাত পেরে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।আগে বাড়িতেই মূর্তি তৈরি হত, এখন মূর্তি তৈরি হয় শিল্পীর কারখানাতে। তবে মহালয়ার পরেই মূর্তি নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। পরিবারের মহিলারা মূর্তি সাজানোর কাজ করে থাকেন। ৪০০ বছরের পুরনো এই পুজো। তবে ভারতবর্ষে এই পুজো নবীন। পুজো দুই ভাগে বিভক্ত হলেও আজও বাংলার ঐতিহ্য সংস্কৃতি বহন করে চলেছে, ঘোষ পরিবারের এই দুর্গাপুজো।
advertisement
হরষিত সিংহ
view comments
বাংলা খবর/ খবর/মালদহ/
Malda News: দশমীতে পান্তাভাত খাইয়ে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে, ৪০০ বছরের রীতিতে ছেদ পড়েনি আজও
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement