Weekend Trip: পাথরের উপর পাথর দিয়ে তৈরি, যেন ইতিহাস বই উঠে এল, জানেন কোথায় আছে এই বিশেষ ইমারত?

Last Updated:

Weekend Trip: কেশিয়াড়ি বাজার থেকে বেশ কিছুটা দূরেই রয়েছে এই প্রাচীন নিদর্শন। সাধারণ মানুষ এই নিদর্শনকে দুর্গ বলেই চিহ্নিত করেন। তবে ঐতিহাসিক স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

+
কুরুমবেড়া

কুরুমবেড়া দূর্গ 

পশ্চিম মেদিনীপুর : ইতিহাস বয়ে চলেছে এক একটি ইমারত। প্রাচীন দিনের প্রতিটি স্থাপত্য এক একটি ইতিহাসের সাক্ষী। প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকার একাধিক স্থাপত্য বয়ে চলেছে শতাধিক বছরের ইতিহাস। পাথরের উপর পাথর দিয়ে সাজান ইমারতের প্রতিটি খাঁজে কান পাতলে শুনতে পাবেন প্রাচীন ইতিহাসের নানা কাহিনী। তাই যারা ইতিহাস ভালবাসেন, ইতিহাস সমৃদ্ধ জায়গা ঘুরে দেখতে পছন্দ করেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখুন এই জায়গা। একদিনের ছুটিতে প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন জানুন ইতিহাসের নানা কাহিনী। যারা ইতিহাস ভালোবাসেন তাদের কাছে অন্যতম ঘোরার জায়গা এই ইতিহাস ক্ষেত্র। পাথর দিয়ে সাজান এমন ইমারত দেখলে আপনি অবাক হবেন, জানতে পারবেন ইতিহাসের সেই সব দিনের কথা।
মেদিনীপুর শহর থেকে বেশ অনেকটাই দূরে, জঙ্গলমহল অধ্যুষিত এক ব্লক। প্রান্তিক এই গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে ল্যাটেরাইট পাথরের নির্মিত এক ইতিহাস ক্ষেত্র। যা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। চারিদিকে পাথর বেষ্টিত একটি স্থাপত্য। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের গগনেশ্বর এলাকায় রয়েছে ঐতিহাসিক কুরুমবেড়া দুর্গ। যদিও নানান মতের পার্থক্য থাকলেও কেউ কেউ মনে করেন সেটি সেনা ছাউনি, আবার মনে করা হয় তা ঈশ্বরের স্থান। কেশিয়াড়ি বাজার থেকে বেশ কিছুটা দূরেই রয়েছে এই প্রাচীন নিদর্শন। সাধারণ মানুষ এই নিদর্শনকে দুর্গ বলেই চিহ্নিত করেন। তবে গবেষকদের মধ্যে, আসলে এই স্থাপত্য কেন গড়ে উঠেছিল তা নিয়ে নানার মত থাকলেও বর্তমানে এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে পুরী যাওয়ার প্ল্যান? ওড়িশা যাওয়ার একাধিক ট্রেন বাতিল! না জানলে বিপদে পড়বেন
গগনেশ্বর এলাকায় রয়েছে প্রাচীন এই দুর্গ কুরুমবেড়া। বিশাল দুর্গের বেশ কিছুটা অংশ এখনও রয়ে গিয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি একটি স্থাপত্য। পাথর কেটে কেটে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই দুর্গের দেওয়াল। চারিদিক ঘেরা সুসজ্জিত দেওয়াল বা প্রাচীরের মধ্যে রয়েছে তিনটি গম্বুজ আকারের স্থাপত্য। চারিদিকে রয়েছে একাধিক খিলান। কেউ কেউ মনে করেন এটি একটি মন্দির বা দেবালয় ছিল। যার চারিদিকে প্রাচীর বেষ্টিত একাধিক কুঠুরি ছিল। যেখানে তীর্থ যাত্রীরা বিশ্রাম নিতেন। পরবর্তীতে মোগল এবং তারপরে মারাঠারা এটিকে সেনা নিবাস বা ছাওনি হিসেবে ব্যবহার করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি কুরুমবেড়া দুর্গ বা ফোর্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। আবার কেউ কেউ মনে করেন চতুর্দিক বিস্তৃত প্রাচীর ঘেরা এই দুর্গ আসলে পান্থশালা। যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আসা কিংবা ধর্মীয় স্থানে আসা মানুষেরা সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে বা বিনামূল্যে থাকতে পারতেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: শিলাবৃষ্টির দাপটে চাষে ব্যাপক ক্ষতি, সরকারি সাহায্যের জন্য জেলায় বরাদ্দ হল ১৩৬ কোটি টাকা
তবে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিয়ে সাধারণ মানুষ ও গবেষকদের মধ্যে নানার মত থাকলেও বর্তমানে বেশ কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। স্থানীয়দের মতে কিছুটা অংশ মাটির তলায় চাপা পড়েছে। তবে শুধু ঘুরতে আসা নয়, ঘুরতে এসে জানুন এই স্থাপত্যের ইতিহাস। তাই সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে ঘুরে দেখুন এই জায়গা, একদিকে যেমন ইতিহাস জানতে পারবেন তেমনই শহরের কচকচানি ছেড়ে গ্রামে এলেই মন ভাল হয়ে যাবে।
advertisement
রঞ্জন চন্দ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Weekend Trip: পাথরের উপর পাথর দিয়ে তৈরি, যেন ইতিহাস বই উঠে এল, জানেন কোথায় আছে এই বিশেষ ইমারত?
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ ! আগামী কয়েকদিনে রাজ্যে ২-৩ ডিগ্রি বাড়বে তাপমাত্রা
বঙ্গোপসাগরে ফের ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ ! আগামী কয়েকদিনে রাজ্যে ২-৩ ডিগ্রি বাড়বে তাপমাত্রা
  • বঙ্গোপসাগরে ফের ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ !

  • আগামী কয়েকদিনে ২-৩ ডিগ্রি বাড়বে তাপমাত্রা

  • দেখে নিন আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement