West Medinipur News Untold Story: ইমারতেই বিচার বসাত ব্রিটিশরা, জর্জ কোর্ট-এর পর অন্যতম আদালত, ভাঙ্গা ভবন ইতিহাসের সাক্ষী

Last Updated:

ইতিহাসের সাক্ষী দাঁতন।ব্রিটিশ শাসনকালে প্রান্তিক এই এলাকা ব্রিটিশ শাসকদের কাছে ছিল মূল শহর। তাই এখানেই গড়ে ওঠে তাদের আদালত। যা বয়ে চলেছে সুদীর্ঘ ইতিহাসকে।

+
আগাছায়

আগাছায় ভরা ইমারত

দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর: ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে দেওয়াল, দেওয়ালে কান পাতলেই শোনা যায় এককালের অত্যাচারের কাহিনী। বিনা প্ররোচনায় মামলা, বিচারের গল্প। তবে কালের নিয়মে ক্রমশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এককালে ইমারত। ক্রমশই এক এক করে অতলে হারিয়ে যেতে চলেছে ঐতিহ্য। এককালের ইতিহাস আজ বিলীন হওয়ার পথে। যেখানে একসময় পক্ষে বিপক্ষে সওয়াল হত। যে ভবনে বসতেন বিচারক, সেই ভবন আজ ভগ্নপ্রায়। বিচার করবার জন্য জেলা সদর শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে আদালত স্থাপন করেছিলেন ব্রিটিশরা। মামলা মোকদ্দমায় যেখানে ভরে থাকত আদালত চত্বর, ব্রিটিশ শাসনকাল এবং স্বাধীনতার পরেও এখানে চলেছে বিচার ব্যবস্থা তবে সেই ভবন আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত।
ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনকালে বাংলার একাধিক জায়গায় বিচার ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ব্রিটিশরা গড়ে তুলেছিলেন আদালত। বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন আদালত, ইটের কয়েকটি দেওয়াল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকলেও, তার থেকে তৈরি হয়েছে গাছ। প্রতিদিন ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে এক একটি ইট। তবুও ইতিহাসের সাক্ষ্য, বিচার ব্যবস্থা এবং প্রাচীন দিনের ঘটনাকে বয়ে চলেছে ভগ্নপ্রায় এই নিদর্শন। তবে এর নেপথ্যে রয়েছে নানা ইতিহাস, ব্রিটিশ শাসকদের বহু পরিকল্পনা। বাংলার এক বহু প্রাচীন জনপদ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন। এই দাঁতন এর পর থেকেই শুরু ওড়িশা রাজ্য। মেদিনীপুরের পাশাপাশি বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকায় মূল ঘাঁটি করে নিজেদের প্রতিপত্তি বিস্তার শুরু করে।বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকা দাঁতনে গড়ে তোলা হয় আদালত। তাও প্রায় দেড়শ বছরের আগের কথা।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, মেদিনীপুর জেলা সদরে জজ কোর্ট এরপর দাঁতনে গড়ে ওঠে আদালত। দাঁতনে এককালে ছিল কাজীর বিচারালয়। পরবর্তীতে ইংরেজরা গড়ে তোলে মুন্সেফ কোর্ট। জানা যায়, বাংলা এবং বিহার দখল করার পরে ওড়িশা দখল করার উদ্দেশ্য নিয়ে ব্রিটিশরা দাঁতনেই গড়ে তোলে পুলিশ চৌকি। ব্রিটিশদের বসবাস করার কারণে এখানেই গড়ে তোলেন ইংরেজি বিদ্যালয়। এক কথায় প্রশাসনিক ক্ষেত্র গড়ে ওঠে এই প্রত্যন্ত গঞ্জ এলাকায়। গড়ে ওঠে আদালত তাও প্রায় ১৭০ বছর আগে। এখন কালের নিয়মে ও ব্যবহার্য এই আদালত ধ্বংসের পথে।
advertisement
দাঁতনেই নবরূপে গড়ে উঠেছে আদালত। তবে একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, মেদিনীপুর জেলা সদরের পর একমাত্র দাঁতনেই ছিল আদালত। অবিভক্ত মেদিনীপুরের এগরা, কাঁথিতেও তখন আদালত স্থাপিত হয়নি। দাঁতনকে প্রশাসনিক কেন্দ্র ভেবেই এখানে গড়ে ওঠে আদালত।স্বাভাবিকভাবে ইতিহাসের সাক্ষী দাঁতন।ব্রিটিশ শাসনকালে প্রান্তিক এই এলাকা ব্রিটিশ শাসকদের কাছে ছিল মূল শহর।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
West Medinipur News Untold Story: ইমারতেই বিচার বসাত ব্রিটিশরা, জর্জ কোর্ট-এর পর অন্যতম আদালত, ভাঙ্গা ভবন ইতিহাসের সাক্ষী
Next Article
advertisement
CPIM: মহিলাদের কাজ শুধু স্বামীর শয্যাসঙ্গিনী হওয়া! কেরলের সিপিএম নেতার মন্তব্যে নিন্দার ঝড়
মহিলাদের কাজ শুধু স্বামীর শয্যাসঙ্গিনী হওয়া! কেরলের সিপিএম নেতার মন্তব্যে নিন্দার ঝড়
  • কেরলের সিপিআইএম নেতার বিতর্কিত মন্তব্য৷

  • মহিলাদের কাজ শুধু স্বামীদের শয্যাসঙ্গিনী হওয়া, দাবি সিপিএম নেতার৷

  • বিতর্কিত সিপিএম নেতা সৈয়দ আলি মাজিদ৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement