#Pokémon Card Gold Rush: করোনা মহামারীর জেরে ঘরবন্দি হয়েছেন বিশ্ববাসী। সকলেই নিজেদের চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছেন। কিন্তু মারণ ভাইরাসের প্রকোপ যতই থাক না কেন, নিজের বিনোদনের জন্য কোনও রকম ত্রুটি রাখতে নারাজ সাধারণ মানুষ। এমতাবস্থায় সময় কাটাতে একদিকে যখন বহু ভারতীয় লুডোর (Ludo) মতো বেশ কিছু ইনডোর গেমসের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, ঠিক তখনই বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে বেড়েছে পোকেমন কার্ডের (Pokemon Card) প্রতি আকর্ষণ। করোনা মহামারী যেন এই ব্যবসায় একপ্রকার জ্বালানি হয়ে ওঠে। গুঞ্জন উঠেছে যে, গত বছর থেকে পোকেমন কার্ডগুলির দাম গগনচুম্বী হয়েছে। যদি কারও কাছে এখন পোকেমন কার্ডের স্মারক থাকে তাহলে এটা ধরে নেওয়াই যায় যে, তিনি সোনার খনির উপর বসে আছেন।
YouTuber ড্যানি সানচেজ (Dani Sanchez), যিনি নিজের চ্যানেলে পোকেমন কার্ড এবং সংগ্রহযোগ্যকে আনবক্স করে নিজের কেরিয়ার তৈরি করেছিলেন, তিনি BBC-কে জানান, ভিনটেজ কার্ডের মূল্য আকাশচুম্বী হয়েছে।
ড্যানির কথায়, “২০০০-এর দশক বা ৯০-এর দশকের শেষের দিকে পোকেমন কার্ডের সিল করা বক্স বিক্রি হত ১০০ মার্কিন ডলারে। সেই একই বাক্সটির জন্য আজ ২০,০০০ ডলার, ৩০,০০০ ডলার এমনকি ৫০,০০০ ডলার পর্যন্ত ব্যয় করতে হবে। তবে এটা পাগলামি।”
এই পাগলামি ঠিক কতখানি সে বিষয়ে ধারণা স্পষ্ট করেছে মানি কন্ট্রোলের একটি প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, গত মাসে একটি পোকেমন কার্ড নিলাম হয়েছিল ২,৫০,০০০ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ১.৮৬ কোটি টাকা)।
তবে উল্লেখ্য বিষয় হল, শুধুমাত্র সাধারণ মানুষই নয়, পোকেমন ব্যান্ডওয়্যাগনে নিজেদের গা ভাসিয়েছেন সেলিব্রিটিরাও। YouTuber লোগান পল (Logan Paul), এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ৬টি ট্রাঙ্ক কিনেছিলেন। ২৫ বছর বয়েসীরা এটিকে তার নতুন উন্মাদনা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
গত বছর পোকেমন কার্ডে ২,৬৪,০০০ ডলার (১.৯ কোটি টাকা) ব্যয় করার পরে আমেরিকান র্যাপার লজিক (Logic) জানিয়েছেন যে শৈশব থেকেই তাঁর পোকেমনের প্রতি ভালোবাসা ছিল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Pokemon, Pokémon Card