হোম /খবর /স্বাস্থ্য /
মাতৃত্বের স্বাদ পেতে মানুন দৈনন্দিন এই রুটিন! দূর হবে বাধা, জানুন বিশেষজ্ঞের মত

Planning for Pregnancy|| মাতৃত্বের স্বাদ পেতে মানুন দৈনন্দিন 'এই' রুটিন! দূর হবে যে কোনও বাধা, জানুন বিশেষজ্ঞের মত

Pregnancy Planning Tips: রোজকার রুটিন, ডায়েট এবং মানসিক অবস্থা ঠিকঠাক রাখতে হবে, যাতে প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাভাবিক ভাবেই কনসিভ করা সম্ভব। এর জন্য রইল কিছু টিপস। জানাচ্ছেন আয়ুর্বেদ ডাক্তার রেশমা।

  • Share this:

কলকাতাঃ অধিকাংশ মহিলাই মাতৃত্বের সুখ চেয়ে থাকেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে, মাতৃত্ব আসুক পরিকল্পনামাফিক। আসলে অনেকেই বলেন যে, না-চাইতেই দুর্ঘটনাবশত গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন। অথচ প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কিন্তু সবার আগে। কারণ এর জন্য শরীর এবং মনকে প্রস্তুত করা জরুরি।

বরতমান সময়ে ব্যস্ত জীবনযাপনের কারণে বহু দম্পতিই স্বাভাবিক ভাবে কিংবা প্রাকৃতিক উপায়ে কনসিভ করতে পারেন না। ফলে উত্তেজনা-দুশ্চিন্তা মনকে ঘিরে ধরে। আর এতে সমস্যা আরও গভীর হয়। রোজকার রুটিন, ডায়েট এবং মানসিক অবস্থা ঠিকঠাক রাখতে হবে, যাতে প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাভাবিক ভাবেই কনসিভ করা সম্ভব। এর জন্য রইল কিছু টিপস। জানাচ্ছেন আয়ুর্বেদ ডাক্তার রেশমা।

প্রথম পদক্ষেপ হল মনকে শান্ত রাখা। তার পাশাপাশি ইতিবাচক মনোভাব এবং আনন্দে থাকাটাও সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা বাঞ্ছনীয়। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক সাহিত্যে সৌমানাশ্যাম গর্ভধারণম শ্রেষ্ঠম-এর উল্লেখ রয়েছে। যার অর্থ হল, গর্ভধারণের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ এবং সুখ থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুনঃ শসা ব্যবহার করুন ঠিক এ ভাবে, ত্বক থাকবে সুস্থ আর ফুরফুরে, রইল পদ্ধতি

আয়ুর্বেদ ডাক্তার রেশমা আয়ুর্বেদ ডাক্তার রেশমা

প্রাকৃতিক উপায়ে গর্ভধারণের জন্য শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকা বাঞ্ছনীয়। এর জন্য পেলভিক এক্সারসাইজের উপর আরও জোর দিতে হবে। যোগাসন, প্রাণায়াম এবং মেডিটেশনের মতো লো-ইন্টেনসিটি এক্সারসাইজ করা উচিত। পেলভিক যোগাভ্যাসও জননাঙ্গের জন্য ভাল। আর প্রাণায়াম ও মেডিটেশন মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুনঃ মেঝে হবে আয়নার মতো ঝকঝকে, শুধু 'এই' পন্থা মানুন, ম্যাজিক হবে নিশ্চিত

স্বাভাবিক ভাবে গর্ভধারণ করতে চাইলে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যেতে হবে এবং সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে। এতে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। আসলে কত ঘণ্টা ঘুমোনো হচ্ছে, সেই বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে মেটাবলিজম ঠিকঠাক থাকে। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে রাত ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে এবং ভোর ৬টার মধ্যে বিছানা ছাড়তে হবে।

নজর দিতে হবে খাওয়াদাওয়ার উপরেও। সাধারণ এবং সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। রিফাইন করা কার্বোহাইড্রেট, ট্রান্সফ্যাট, ডিপ ফ্রায়েড খাবার এড়িয়ে চলা বাঞ্ছনীয়।খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক সময় বজায় রাখতে হবে। এর জন্য ঘুমোতে অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে নিতে হবে।

যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের ওজন কমাতে হবে। আবার যাঁদের ওজন অতিরিক্ত ভাবে কম, তাঁদেরও স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা প্রয়োজন। সুস্থ ভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে গর্ভধারণের করতে চাইলে সঠিক ওজন বজায় রাখাটাও জরুরি। যাঁরা সন্তান পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের অন্তত তিন মাস আগে থেকেই ধূমপান, মদ্যপান এবং ক্যাফিন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: Pregnancy