Bully in School: আপনার সন্তান কি স্কুল-কলেজে বুলিংয়ের শিকার? ভেঙে পড়া নয়, শেখান প্রতিরোধের এইসব কৌশল!
- Published by:Madhurima Dutta
Last Updated:
Parenting Tips: বুলিং হল অপ্রত্যাশিত এবং আক্রমণাত্মক আচরণ, যা স্কুলে যাওয়া বাচ্চাদের মধ্যে সাধারণত দেখা যায়।
#নয়াদিল্লি: অনেক সময়ই স্কুল-কলেজে হেনস্থার শিকার (Bully in School) হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। কখনও তা হাতাহাতিতে পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। কোনও মা-বাবাই চাইবেন না তাঁর সন্তান বুলি'র (Bully in School) শিকার হোক। তাই মারামারি না করে কীভাবে বুলি'র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়, তা সন্তানকে শেখাতে হবে। এর ফলে বাচ্চারা যেমন অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের গুন্ডামির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে, তেমনই তাঁদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
বুলিং (Bully in School) হল অপ্রত্যাশিত এবং আক্রমণাত্মক আচরণ, যা স্কুলে যাওয়া বাচ্চাদের মধ্যে সাধারণত দেখা যায়। এমন আচরণের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে ক্ষমতার অসামঞ্জস্য প্রকাশ পায়। এই আচরণ আক্রান্ত শিশু বা কিশোরের ওপর ক্রমাগত চলতেই থাকে।
advertisement
advertisement
যারা বুলিংয়ের (Bully in School) শিকার হয়, তাদের কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এরা সাধারণত ভীত, লাজুক, অন্তর্মুখী, কম আত্মবিশ্বাসী, অসুখী এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়। তাদের সাধারণত খুব বেশি বন্ধুবান্ধব থাকে না। নিজের চেয়ে বয়সে বড়দের সঙ্গে মিশতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। শারীরিকভাবে তারা ক্ষীণদেহের অধিকারী এবং দুর্বল প্রকৃতির হতে দেখা যায়। তবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বুলিং (Bully in School) হওয়ার হার বেশি। অন্য দিকে, যারা বুলি করে বা অন্যদের হেনস্থা করে মজা পায় তাদেরও কিছু বৈশিষ্ট লক্ষ্য করা যায়। এরা সাধারণত উদ্বেগ ও চাপের মধ্যে থাকে। স্কুল বা কর্মক্ষেত্রে কোনও কাজেই বিশেষ পারদর্শী নয়। ফলে হীনমন্যতায় ভোগে। তার বহির্প্রকাশ ঘটে বুলিংয়ের মাধ্যমে।
advertisement
যে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে এবং যে বুলিং করছে, উভয়েই মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘমেয়াদি কিছু সমস্যা মধ্যে দেখা যায়, যেটা সামগ্রিকভাবে তাদের পরিবার ও সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যখন কোনও শিশু বুলিংয়ের (Bully in School) শিকার হয়, সে আরও একা হয়ে যায়। আরও বেশি চুপচাপ হয়ে নিজেকে নিয়ে থাকা শুরু করে। সমবয়সীদের সঙ্গে মিশতে সমস্যা হয়। ক্রমাগত বুলিংয়ের সম্মুখীন হতে থাকলে আত্মহত্যার চিন্তা বা চেষ্টাও করে ফেলতে পারে।
advertisement
অন্য দিকে, যে বুলি (Bully in School) করছে সত্যিকার অর্থে তার কোনও বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মী থাকে না, যার সঙ্গে সে মিশতে পারে বা কথা বলতে পারে। তাদের মধ্যে আবেগজনিত কিছু সমস্যা দেখা যায়। তারা নিজেদের সব সময় শক্তিশালী বা ক্ষমতাধর মনে করতে পছন্দ করার ফলে সহজে অন্যের কাছে এমনকী কাছের মানুষের কাছেও তাদের আবেগ প্রকাশ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বুলিং করা শিশু বা কিশোর বড় হয়ে বিভিন্ন মাদক বা মদ্যপানের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে।
advertisement
বুলি হওয়া থেকে বাঁচতে আত্মরক্ষার কৌশল শিখতে হবে। বাচ্চার শারীরিক ভঙ্গিমায় আত্মবিশ্বাস ও আত্মপ্রত্যয় যেন স্পষ্ট বোঝা যায়। যে বাচ্চারা চোখে চোখ রেখে কথা বলে না, কাঁধ বা মাথা ঝুকিয়ে রাখে অথবা যাঁরা ঢিলেঢালা প্রকৃতির হয়, তাদের সহজেই টার্গেট করা হয়ে থাকে। মাথা ও কাঁধ উঁচু এবং চোখ ওপরে রেখে হাঁটাচলা করতে হবে। চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে। এর ফলে শিশুর মধ্যে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চয় হবে।
advertisement
বুলি করলে কটূ ও কঠিন ভাষায় কথা বলতে হবে তার কোনও মানে নেই। বরং ধীর, স্থির, শান্ত ও গভীর স্বরে বলা এক বা দু'টি শব্দও যথেষ্ট হতে পারে। ‘এক্সকিউজ মি’ বা ‘আমি এখন ক্লাসে যাচ্ছি, পরে কথা বলব’- এটাই অনেক। তাছাড়া কাউকে দেখে মিষ্টি করে হাসার মধ্য দিয়ে পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হয় এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এর ফলে সোশ্যাল আইসোলেশনের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা যায়। এই সোশ্যাল আইসোলেশন বুলিংয়ের অন্যতম কারণ।
Location :
First Published :
April 02, 2022 9:19 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Bully in School: আপনার সন্তান কি স্কুল-কলেজে বুলিংয়ের শিকার? ভেঙে পড়া নয়, শেখান প্রতিরোধের এইসব কৌশল!