শীতের মরশুমে কাছে ঘেঁষতে পারবে না সর্দি-কাশি; নীল ফুলের এই গাছের গুণ অনেক
- Published by:Suman Majumder
- trending desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
অ্যাকোনিটামের অনেক প্রজাতি থাকলেও তাদের মধ্যে অন্যতম হল অ্যাকোনাইট। ফলে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এই অ্যাকোনাইটের গুরুত্ব অপরিসীম।
কলকাতা: হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল হল অনেক মূল্যবান ভেষজ উদ্ভিদের ভাণ্ডার। এই ভেষজগুলি অনেক ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়, এরকম একটি ঔষধি গাছ হল অ্যাকোনাইট বা অতীস (অ্যাকোনিটাম হেটেরোফাইলাম)। যা অনেক ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
অ্যাকোনিটামের অনেক প্রজাতি থাকলেও তাদের মধ্যে অন্যতম হল অ্যাকোনাইট। ফলে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এই অ্যাকোনাইটের গুরুত্ব অপরিসীম।
আর এর শিকড় ঔষধি গুণে ঠাসা বলে ব্যাপক হারে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। অ্যাকোনিটামের প্রায় ৩০টি প্রজাতি ভারতে পাওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- এবার আরামবাগ, দোকানের মধ্যে ঢুকিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ! ভয়ঙ্কর অভিযোগ
আর সারা বিশ্বে অ্যাকোনিটামের তিনশোটিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে। তবে এই অ্যাকোনাইটের কয়েকটি প্রজাতি বিষাক্তও বটে! কিন্তু অ্যাকোনাইট বিষাক্ত নয়।
advertisement
গাড়ওয়াল ইউনিভার্সিটির হাই পিক প্ল্যান্ট ফিজিওলজি রিসার্চ সেন্টার (HAPRIC)-এর গবেষক ড. জয়দেব চৌহান Local 18-কে বলেন যে, তুঙ্গনাথ, মানা বুগিয়াল, সুন্দর ধুঙ্গা, খাটলিং হিমবাহ এবং উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে জন্মায় অ্যাকোনাইট।
হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে এটি অবৈধ ভাবে নষ্ট করা হচ্ছে। বিশেষ করে এর শিকড়গুলি তুলে ফেলা হচ্ছে। যার জেরে এই গাছটি বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন- কল্যাণীতে রেলব্রিজের নীচে স্বামীর সামনেই মহিলাকে গণধর্ষণ! নৃশংস ঘটনায় গ্রেফতার ৮
ড. জয়দেব চৌহান বলেন যে, অ্যাকোনিক অ্যাসিড নামে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যৌগ অ্যাকোনাইটের শিকড়ের মধ্যে পাওয়া যায়। যা ওষুধ কোম্পানিগুলি ব্যবহার করে থাকে। সেই কারণে এর শিকড়ের চাহিদা থাকে তুঙ্গে।
আর অতিরিক্ত পরিমাণে তুলে ফেলা হয় শিকড়। তিনি আরও জানান যে, এই গাছের উচ্চতা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এর শিকড়ে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিহেলমিন্থিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর পাশাপাশি এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক গুণাগুণও রয়েছে। যা পেটের কৃমি নাশ করতেও সাহায্য করে।
advertisement
তিনি বলেছেন যে, অ্যাকোনাইটের উপর করা গবেষণার সময় জানা গিয়েছে যে, এর মধ্যে অ্যান্টিপ্লাজমোডিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার কারণে এটি ম্যালেরিয়ার চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়।
এটি ম্যালেরিয়ার সময় রোগীর জন্য খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। কারণ ম্যালেরিয়ার সময় লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা (আরবিসি) কমে যায় এবং অ্যাকোনাইট উদ্ভিদ আরবিসি-র কাউন্ট কমতে বাধা দেয়।
advertisement
তিনি বলেন যে, একটি গবেষণায় বেদনি বুগিয়াল, তুঙ্গনাথ ও সুন্দরদুঙ্গায় পাওয়া অ্যাকোনাইটের মধ্যে টিউসিনামিল নামে একটি যৌগ পাওয়া গিয়েছে। যা অ্যান্টিপ্লাজমোডিয়াল গুণে সমৃদ্ধ। আর তা ম্যালেরিয়ার চিকিৎসাতেও দারুণ উপকারী।
স্বাস্থ্য এবং লাইফস্টাইলের (Lifestyle News in Bengali)সব খবরের আপডেট পান নিউজ 18 বাংলাতে ৷ যেখানে থাকছে হেলথ টিপস, বিউটি টিপস এবং ফ্যাশন টিপসও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইনগুলি অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
October 30, 2024 7:44 PM IST