Infertility: সিস্টিক ফাইব্রোসিসের কারণে বন্ধ্যাত্ব? মুক্তির উপায় জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক!

Last Updated:

পুরুষ বা মহিলা উভয়ই সিস্টিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হতে পারেন। যা শেষ পর্যায়ে বন্ধ্যাত্বের দিকে ঠেলে দেয়(Infertility)।

প্রতীকী ছবি৷
প্রতীকী ছবি৷
#কলকাতা: সিস্টিক ফাইব্রোসিস (Cystic Fibrosis) একটি জিনগত রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তিদের জিনে সিস্টিক ফাইব্রোসিস ট্রান্সমেমব্রেন রেগুলেটর পাওয়া যায়। মূলত এর আক্রমণ ঘটে ফুসফুসে। তবে অগ্ন্যাশয়, লিভার, কিডনি, অন্ত্র এমনকী প্রজনন ট্র্যাক্টের মতো অঙ্গেও এর আক্রমণ হতে পারে। কোষের ভিতর ও বাইরে জল এবং লবণের গতি পরিবর্তনের কারণে এই রোগ হয়।
পুরুষ বা মহিলা উভয়ই সিস্টিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হতে পারেন। যা শেষ পর্যায়ে বন্ধ্যাত্বের (Infertility) দিকে ঠেলে দেয়। সিস্টিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত ৯৮ শতাংশ পুরুষই বন্ধ্যাত্বের শিকার। তবে সিএফ-এ আক্রান্ত হয়েও একজন মহিলা গর্ভবতী হতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে যোনি এবং জরায়ুতে পুরু শ্লেষ্মার আস্তরণের কারণে জটিলতা তৈরি হয়। হঠাৎ ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, অনিয়মিত মাসিক চক্র, জরায়ুতে জ্বালা ইত্যাদি প্রজনন নালীতে সিস্টিক ফাইব্রোসিসের লক্ষণ।
advertisement
advertisement
কলকাতার বিড়লা ফার্টিলিটি ও আইভিএফ সেন্টারের প্রধান এবং কনসালটেন্ট ড. সৌরেন ভট্টাচার্য (Dr. Souren Bhattacharjee) বলেন, ‘সুস্থ পুরুষের অণ্ডকোষ থেকে লিঙ্গ পর্যন্ত একটি শুক্রাণু বহনকারী টিউব থাকে। সেই নালীর সাহায্য শুক্রাণু গিয়ে বীর্যের সঙ্গে মেশে। কিন্তু সিস্টিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত পুরুষদের এই নালীটা থাকে না। অনেক সময় থাকলেও তা অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকে। ফলে শুক্রাণু বীর্যের সঙ্গে মিশতে পারে না। তাই সিএফ আক্রান্ত পুরুষরা বন্ধ্যা হন’।
advertisement
আক্রান্ত মহিলাদের পরিস্থিতিও ব্যাখ্যা করেন সৌরেনবাবু। তিনি বলেন, ‘সিএফ আক্রান্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে, যোনি ও জরায়ুমুখে যে শ্লেষ্মা থাকে, তা সুস্থ মহিলাদের তুলনায় ঘন হয়। ফলে শুক্রাণু জরায়ুর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে সমস্যায় পড়ে। আবার অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণে ডিম্বাণুও কম উৎপাদন হয়’। তবে সিস্টিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হলেও পুরুষ এবং মহিলার স্বাভাবিক যৌন ইচ্ছা ঠিক থাকে। প্রোজেস্টেরন, টেস্টোস্টেরন এবং ইস্টোজেনের মতো যৌন হরমোনও স্বাভাবিক মাত্রায় তৈরি হয়।
advertisement
তবে ফার্টিলিটি চিকিৎসার মাধ্যমে সিএফ নিরাময় সম্ভব। ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফের মাধ্যমে সিএফ আক্রান্ত পুরুষরা পিতাও হতে পারেন। এতে মাইক্রোসার্জিক্যাল এপিডিডিমাল স্পার্ম অ্যাসপিরেশন প্রক্রিয়ায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শুক্রাণু বের করা হয়। তার পর চিকিৎসক অত্যাধুনিক ল্যাবরেটারিতে সেই শুক্রাণু মহিলার ডিম্বাণুতে নিষিক্ত করেন।
advertisement
এর পর সেই নিষিক্ত ডিম্বাণু, যাকে ভ্রুণ বলা হয় তা মহিলার গর্ভে স্থাপন করা হয়। এবং স্বাভাবিক গর্ভাবস্থার প্রক্রিয়া ঘটে। তবে সিএফ আক্রান্ত মহিলাদের স্বাভাবিক প্রজনন ক্ষমতা বজায় থাকে। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে ডিম্বাণু উৎপাদনের জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। আবার আইইউআই পদ্ধতিতে সরাসরি গর্ভাশয়ে শুক্রাণু স্থাপন করা হয়ে থাকে। তবে মহিলার যদি উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসযন্ত্র বা লিভারে সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে গর্ভধারণ ঝুঁকির হতে পারে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, এখনও পর্যন্ত সিস্টিক ফাইব্রোসিসের কোনও নিরাময় নেই। এর ফলে তৈরি হওয়া জটিলতাগুলি কমানো এবং পরিস্থিতিকে অনুকূলে আনার জন্য শুধু বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে মাত্র।
advertisement
সিস্টিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দেন ড. সৌরেন ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম এবং ফিজিওথেরাপি মাস্ট। শরীরে যাতে প্রতি দিন পরিমিত পুষ্টি যায় সেজন্য ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Infertility: সিস্টিক ফাইব্রোসিসের কারণে বন্ধ্যাত্ব? মুক্তির উপায় জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement