কলকাতা দাপাচ্ছেন হোম-বেকাররা, সাফল্যের রহস্য কী? বাড়িতে আপনিও শুরু করুন ব্যবসা!

Last Updated:

দীর্ঘদিন ধরেই বাঙালি ঘরের মহিলারা শখে, আহ্লাদে নিজেদের মতো করে কেক তৈরি করেছেন। গত কয়েক বছরে সেখানে লেগেছে পেশাদারিত্বের ছোঁয়া।

কেক বিস্কুটের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে খুব সহজেই উঠে আসে কলকাতার নাম। অন্তত ভারতবর্ষের ইতিহাসে তো বটেই। কারণটা খুব সহজ— ব্রিটিশ উপনিবেশের রাজধানী এই শহর।
বেকারির ইতিহাসে মিশরীয় না রোমান, কাদের নাম আগে আসবে তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু ৩০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে রোমানদের বেকিং প্রীতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে পড়ে। আর শুধু ব্রিটিশ নয়, ডাচ, পর্তুগিজ, ফরাসিরা একে একে এ দেশে এসে কলকাতা, চন্দননগর, শ্রীরামপুরের মতো একাধিক শহরে জমিয়ে বসেছিল তাদের কর্তৃত্ব। তাই সেই সংস্কৃতি তো রয়েই গিয়েছে।
advertisement
আজও এই শীত-শীত উত্তুরে হাওয়া বইতে শুরু করলে বাঙালি গুটিগুটি এগিয়ে যায় কেকের দোকানের দিকে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এসে জড়ো হন বো-ব্যারাকে। হরেক কিসিমের কেক নিয়ে তখন ব্যস্ত সেখানকার প্রতিটি ঘর। শুধু কলকাতা কেন! দূরপাল্লার যে সব ট্রেন বাঁকুড়া-পুরুলিয়া পেরিয়ে বিহারের দিকে মোড় নেয়। সে সব ট্রেনের যাত্রীরাও মুখিয়ে থাকেন আদ্রা জংশনের জন্য। অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে অসাধারণ স্বাদের কেক তাঁরা ভরে নেন ঝোলায়। ওই সব এলাকায় ছোট ছোট ঘরে গড়ে ওঠে বেকারি। স্বাদে গন্ধে কোনও অংশে দামি ব্র্যান্ডের চেয়ে কম নয়।
advertisement
advertisement
সেই ঐতিহ্য আর ইতিহাসকে পুঁজি করেই গত এক দশকে কলকাতায় গড়ে উঠেছে হোম বেকারি। দীর্ঘদিন ধরেই বাঙালি ঘরের মহিলারা শখে, আহ্লাদে নিজেদের মতো করে কেক তৈরি করেছেন। গত কয়েক বছরে সেখানে লেগেছে পেশাদারিত্বের ছোঁয়া। একদিকে যেমন খুলেছে রোজগারের নতুন পথ। তেমনই স্বাদেও এসেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। শুধু স্বাদই বা কেন, ইদানীং কালে দর্শনধারী কেক নিয়েও তুঙ্গে মাতামাতি।
advertisement
সেখানে ব্র্যান্ডের চেয়ে কয়েকগুণ এগিয়ে থাকছে হোম-বেকারিগুলি। যাঁরা বাড়িতে কেক বানান, তাঁরা একই সঙ্গে তৈরি করেন কুকি, বিস্কুট, চকোলেট— সবই। ফলে এই মরশুমে দম ফেলার ফুরসত থাকে না।
কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় এই হোম-বেকারি জনপ্রিয় হয়ে ওঠার বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
পছন্দ মতো কেক—
নিজের মনের মতো স্বাদ আর মনে মতো চেহারার কেক, পেস্ট্রি পেতে কার না ভাল লাগে। গত কয়েক বছরে এই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিয়েছেন হোম-বেকাররা। আর সেখানেই জয় হয়েছে তাঁদের। স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই এখন কম মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। তাই কম চিনি, গ্লুটেন-ফ্রি কেকের কদর বাড়ছে। নামী দামি হলেই সাধারণ ব্র্যান্ডে সেই ভরসা রাখতে পারেন না অনেকেই। তার কারণ ব্যপ্তি। পছন্দের হোম-বেকারের কাছ থেকে কেক নেওয়াকে তাই অনেকেই নিরাপদ বলে মনে করেন।
advertisement
তাছাড়া কেক হয়ে উঠেছে শিল্প। প্রিয় মানুষের জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী বা অন্য কোনও বিশেষ দিনে কেক কিনতে হলে আজকাল অনেকেই কেকের নকশার উপর জোর দেন। শুধু ফুলেল নকশা বা সিন্ডারেলার দিন গিয়েছে। তাবড় হোম-বেকারের হাতের কেরামতিতে কেক হয়ে ওঠে ‘আপনি যা চান, ঠিক তাই’।
advertisement
পরিচ্ছন্নতা—
বেকারির পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সব সময়ই একটা প্রশ্নচিহ্ন ঝুলে থাকে। সাধারণ বেকারির পণ্যে খুব বেশি পরিচ্ছন্নতা আশা করাও যায় না। বরং অপরিচ্ছন্নতাই একটা প্রবাদের মতো হয়ে গিয়েছে।
সেখানে হোম বেকার নিজের বাড়িতে বসে একটি কেক বানাবেন, তাঁকে ভরসা করা অনেক সহজ। বিশ্বাসযোগ্যতাই এই ব্যবসার মূল ভরসা।
advertisement
সকলের থেকে আলাদা—
অনেক অভিজ্ঞ হোম বেকারই ব্যবহার করেন কোনও না কোনও ‘সিক্রেট রেসিপি’। এই বিশেষত্বও হোম-বেকারদের প্রতি আকৃষ্ট করছে মানুষকে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
কলকাতা দাপাচ্ছেন হোম-বেকাররা, সাফল্যের রহস্য কী? বাড়িতে আপনিও শুরু করুন ব্যবসা!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement