Health Tips: হলুদ মাখন না কি সাদা মাখন? কোনটা খাওয়া নিরাপদ জানুন

Last Updated:

Health Tips: দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য ঠিক কী? আর কোনটাই বা নিরাপদ? আজকের প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গেই আলোচনা করে নেওয়া যাক।

হলুদ মাখন না কি সাদা মাখন?
হলুদ মাখন না কি সাদা মাখন?
কলকাতা: নানা রকম সবজি দিয়ে তৈরি গরম-গরম ধোঁয়া ওঠা চিকেন স্ট্যু কার না ভাল লাগে! তার মধ্যে গলা মাখনের সোনালি আভা যেন আলাদাই মাত্রা যোগ করে। আবার গরমাগরম আলু কিংবা সবজির পরোটার উপর এক দলা মাখন দেখলে জিভে জল আসতে বাধ্য! বোঝাই যাচ্ছে মাখন আমাদের রান্নাঘরের অপরিহার্য অঙ্গ। যা খাবারের স্বাদ, গন্ধ, টেক্সচার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তবে আমরা সাধারণত দুই ধরনের মাখন দেখে থাকি - হলুদ এবং সাদা। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য ঠিক কী? আর কোনটাই বা নিরাপদ? আজকের প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গেই আলোচনা করে নেওয়া যাক।

হলুদ মাখন:

এই মাখন আবার সল্টেড মাখন হিসেবেই পরিচিত। সাধারণত পাউরুটি বা টোস্টের সঙ্গেই এই মাখন খাওয়া হয়। এই ধরনের মাখনে আসলে হলুদের একটা আভা থাকে। কারণ এর মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফ্যাট থাকে। আর এই মাখনের মধ্যে লবণ যোগ করা হয় বলে এটা বহু দিন টিকে থাকে। হলুদ মাখন আসলে প্রক্রিয়াজাত এবং এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স-ফ্যাট থাকে। যার ফলে এর ক্যালোরির পরিমাণও অনেকটাই বেড়ে যায়। যদি এই হলুদ মাখন অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে তা শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রার জন্য খুব একটা ভাল নয়।
advertisement
advertisement

সাদা মাখন:

সাদা মাখন আসলে ননী হিসেবে পরিচিত। এটা মূলত মাখনের প্রাকৃতিক, অ-প্রক্রিয়াজাত বা আনপ্রসেসড সংস্করণ। এর মধ্যে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বা ভাল ফ্যাট। এমনকী মালাইয়ের সাহায্যে ঘরে সহজেই এই সাদা মাখন প্রস্তুত করা যায়। আর একটা মজার বিষয় হচ্ছে, মালাই থেকে মাখন প্রস্তুত করার সময় আর একটি উপাদান পাওয়া যায়। আর সেটা হল বাটারমিল্ক। যা পেটের স্বাস্থ্যের জন্য তো ভালই, সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও সহায়ক। সাদা মাখন তৈরি করার পরে তা ঘরোয়া ঘি প্রস্তুত করার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে। হলুদ মাখনের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে যে, সাদা মাখন খুব বেশি দিন টেকে না। তবে ফ্রিজারে রাখলে তা অনেক দিন টিকে যায়।
advertisement

কোনটা খাওয়া নিরাপদ?

যাঁরা রোজ মাখন খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা যদি পরিমিত পরিমাণে সাদা এবং হলুদ মাখন খান, তাহলে সেটা ক্ষতিকর নয়। বরং নিরাপদই। তবে বিশেষজ্ঞরা সাদা মাখন খাওয়ারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আসলে সাদা মাখনের সবথেকে ভাল ব্যাপার হচ্ছে, এটা বাড়িতেই বানানো যায়। আর এটার জন্য কোনও রকম প্রক্রিয়াকরণ, রাসায়নিক, রঙ কিংবা লবণের প্রয়োজন হয় না। ১ টেবিলচামচ সাদা মাখনের মধ্যে থাকে ৯০ ক্যালোরি আর সেখানে ওই একই পরিমাণ হলুদ মাখনে থাকে ১০৫ ক্যালোরি।
advertisement

সাদা মাখন তৈরির প্রক্রিয়া:

  • একটি বড় বাটি ভরে মালাই নিতে হবে। অবশ্যই তা ঘরোয়া তাপমাত্রায় থাকতে হবে। এর পর ওই মালাই ব্লেন্ডার জারে দিতে হবে।
  • তার সঙ্গে ওই ব্লেন্ডারে এক কাপ ঠান্ডা জল যোগ করে তা ভাল ভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে পালস মোডে ব্লেন্ড করা সবথেকে ভাল।
  • এবার ব্লেন্ডার জার খুলে সেই মিশ্রণ একটি বড় বাটিতে নিয়ে নিতে হবে।
  • দেখা যাবে, ওই মিশ্রণ থেকে মাখন আলাদা হয়ে গিয়েছে আর একটা জলীয় তরল উপাদান পড়ে রয়েছে।
  • এর পর তাতে আরও এক কাপ ঠান্ডা জল যোগ করতে হবে। এবার ধীরে ধীরে মাখনের অংশগুলিকে বের করে আনতে হবে।
  • এবার মাখনের অংশটাকে হাতে নিয়ে হালকা করে চাপ দিয়ে চটকে নিয়ে তা একটি বড় বাটির মধ্যে রাখতে হবে।
  • এর পর ওই সাদা মাখন ফ্রিজে ১০ থেকে ১২ মিনিট মতো রেখে ঠান্ডা করে নিলেই তা খাওয়ার জন্য একেবারে প্রস্তুত।
advertisement
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Health Tips: হলুদ মাখন না কি সাদা মাখন? কোনটা খাওয়া নিরাপদ জানুন
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement