#কলকাতা: নভেম্বর পড়তেই শীতের আমেজ ঢুকে পড়েছে ঘরে ঘরে। আলমারি থেকে কম্বল, লেপ যেমন নামছে, তেমনই সোয়েটার-চাদরেরও প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হতে শুরু করেছে সকালের দিকটায়। শীতকালে অ্যাস্থমা, বাতের সমস্যা বাড়ার মতোই বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও (Heart Attack Risk in Winters)। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পারদ নামতে থাকার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি (Heart Attack Risk in Winters)। তাই গরমকালের তুলনায় শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা (Heart Attack Risk in Winters)।
তাপমাত্রা, হাওয়ার গতিবেগ, আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়তে থাকলেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। প্রতি মরসুমেই তাই কম, বেশি বাড়তে-কমতে থাকা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। তাই গরম কালের তুলনায় বর্ষাকালে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বাড়ে শীতকালে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে আমাদের শরীরেও নানা পরিববর্তন হয়। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে হৃদযন্ত্রে অক্সিজেনের চাহিদা ও রক্ত সংবহনের বিষয়টিতেও পরিবর্তন হয়। অনেকসময় আমাদের হৃদযন্ত্র পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। এর পাশাপাশি রক্তচাপ, কোলেস্টেরল-সহ একাধিক সমস্যাও মাথাচাড়া দেয়। তাই এই সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে একটি সুস্থ ও নিয়ন্ত্রিত জীবনশৈলীর খুব প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: সিগারেট ছাড়াতে মাথা ছিঁড়ছেন? এই ৪ উপাদানে ম্যাজিকের মতো কমবে ধূমপান আসক্তি! জানুন বিস্তারিত...
শীতের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শরীরের রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়। যা ত্বকের তাপমাত্রা কমিয়ে ধমনীতে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে কাঁপুনি, মেটাবলিক রেট বেড়ে যাওয়া, এমনকী হার্ট অ্যাটাকের সমস্যাও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশির ভাগ সুস্থ মানুষই এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, সহ্যও করতে পারেন। কিন্তু যাদের করোনারি আর্টারিতে কোলেস্টেরল বা ফ্যাট জমার প্রবণতা থাকে তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় এই সময়। শীতকালে শ্বাসনালীর ইনফেকশন ও ইনফ্লুয়েঞ্জাও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়াবেটিস, কী ভাবে বানাতে হয় দারচিনি জল?
এই সময় ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শরীরচর্চা ও পরিশ্রমও কম হয়। যা প্রভাবেও বেড়ে যায় হৃদরোগের সম্ভাবনা। মোট ২ লক্ষ ৮০ হাজার রোগীকে নিয়ে করা এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে বার্সেলোনার ইউরোপীয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি কংগ্রেসে। যাঁদের হৃদযন্ত্র দুর্বল, শীতের সময় তাঁদের অতিরিক্ত যত্নবান হতে হবে। তাঁদের নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। চরম আবহওয়া অর্থাৎ ভোরের ঠান্ডা বা কুয়াশা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদের রুটিনে অল্পবিস্তর পরিবর্তন আনতে হবে। হার্ট ভালো রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খেতে হবে। জল পান ও নুন খাওয়ার ক্ষেত্রেও নজর দিতে হবে। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে নুন ও জল খেলে সমস্যা হতে পারে। ধূমপান বন্ধ করা, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ফল খাওয়া, সুগার, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Health News, Heart Attack, Lifestyle