#কলকাতা: দই! দেখতে আপাত নিরীহ, গোবেচারা টাইপের হলে কী হবে, গুণে দধিসুন্দরী একাই একশো!
আমাদের পাকস্থলীতে কিছু উপকারী ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধে। এরা আমাদের সুস্থ রেখে, অনেকদিন বাঁচতে সাহায্য করে। এবার, নানাসময়ে নানা অসুখের কারণে আমাদের অ্যান্টিবায়োটিক খেতেই হয়। কিন্তু ঘনঘন অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীর অ্যান্টিবায়োটিক নির্ভর হয়ে পড়ে। তখন পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটিরিয়াদের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে, খানিকটা হলেও আয়ু কমে বইকি! এমনকী, মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতাও কমে আসে।
কিন্তু সমস্যা হল, অামাদের প্রত্যেককেই তো কমবেশি অ্যান্টিবায়োটিক-এর দ্বারস্থ হতে হয়! তা হলে এখন উপায়? 'ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন ওনটারিও'-র মাইক্রোবায়োলজিস্ট আর 'লৌসন হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট'-এর 'হিউম্যান মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড প্রোবায়োটিক্স'-এর সভাপতি গ্রেগর রেইড গবেষনা করে দেখেছেন, আধুনিক পৃথিবীতে বিষাক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার করতেই হবে। বিকল্প উপায় বের করার জন্য বৈজ্ঞানিকরা দীর্ঘদিন খেটে যাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু তেমন ফল পাচ্ছেন না। তবে, নিয়মিত প্রাকৃতিক খাদ্য খেলে পাকস্থলীতে বসবাসকারী উপকারী ব্যাকটিরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে বিষাক্ত রাসয়নিকের প্রতিক্রিয়াও অনেকটা কমে আসে। আর এই উপকারী ব্যাকটিরিয়ার সংখ্যা ঠিক রাখতে পারে দই।"
কাজেই নিয়মিত দই খেলে আয়ু কিছুটা হলেও বাড়বেই বাড়বে!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।