Health care tips : হার্ট ভালো রাখতে চান? ওজন ঝরাতে ঘি খাওয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবেন কী ভাবে

Last Updated:

Health care tips : ঘি ভারতীয় রান্না ঘরের শোভা বাড়াচ্ছে প্রাচীন কাল থেকে। এর একাধিক আয়ুর্বেদিক গুণের কথাও বলা আছে।

হার্ট ভালো রাখতে চান? ওজন ঝরাতে ঘি খাওয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবেন কী ভাবে
হার্ট ভালো রাখতে চান? ওজন ঝরাতে ঘি খাওয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবেন কী ভাবে
#কলকাতা: রুটি- চাপাটি হোক বা নিরামিষ রান্না, পায়েস হোক বা হালুয়া, ভারতীয় যে কোনও রান্নার স্বাদই বদলে দেয় ঘি। এছাড়া গরম ভাতে কাঁচা লঙ্কা আর ঘি দিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। ঘি ভারতীয় রান্না ঘরের শোভা বাড়াচ্ছে প্রাচীন কাল থেকে। এর একাধিক আয়ুর্বেদিক গুণের কথাও বলা আছে। বলা হয়, শরীরের ক্ষত সারাতে ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার।
তবে, আজকাল ঘিয়ের একাধিক নেতিবাচক দিকও উঠে আসে। বলা হয়, ঘি-তে প্রচুর পরিমাণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় এটি হার্টের জন্য ভালো নয়। পাশাপাশি ওজনও বাড়িয়ে দেয় এটি। তা হলে কি ঘি খাওয়া উচিত নয়?
ঘি কি শরীরে পক্ষে স্বাস্থ্যকর ?
advertisement
প্রাচীন কাল থেকে ঘিয়ের প্রচলন দেশের সমস্ত প্রান্তে রয়েছে। ঘি ভারতীয় রান্নায় ব্যবহার হয়ে আসছে সেই সময় থেকে। ঘি খেয়ে ভালো থাকার কথা শোনা গেলেও যত দিন গিয়েছে এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করেন ঘি-তে ফ্যাট থাকায় এটি শরীরের একাধিক ক্ষতিও করে। তাই প্রত্যেক দিনের খাবার ঘি রাখা উচিত কি না সেই নিয়ে দ্বন্দ্বেও থাকেন অনেকে।
advertisement
তবে, খাবারে ঘিয়ের ব্যবহার ত্বক ভালো রাখে, শরীর গরম রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিঃসন্দেহে ঘি স্বাস্থ্যকর খাবার কারণ এতে ভিটামিন E, A, C, D, K ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসও থাকে। তবে, বলা বাহুল্য, ঘিয়ে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে ক্ষতি করতে পারে।
advertisement
ঘি খেলে কি হার্টের সমস্যা হতে পারে বা ওজন বাড়তে পারে ?
নিউট্রিশনিস্ট রেণুকা রাখেজার মতে, অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট আর্টারিতে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হার্টের সমস্যা তৈরি করে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট ব্যাড কোলেস্টেরল লেভেল (LDL)-এর মাত্রা শরীরে বাড়িয়ে দেয়; হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
বেশ কিছু সমীক্ষা বলছে, ব্যাড কোলেস্টেরল বাড়ার ক্ষেত্রে শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিডের থেকে লং চেইন ফ্য়াটি অ্যাসিড বেশি দায়ী। নিউট্রিশনিস্ট বলেন, ঘি-তে সাধারণত লং চেইন ফ্যাটি অ্যাসিডই বেশি থাকে। যদি কেউ খুব একটা অ্যাকটিভ না হন, বেশি পরিশ্রম না করেন এবং হাই কার্বোহাইট্রেডযুক্ত খাবার খান তা হলে তাঁর শরীরে ফ্যাট জমে পারে ঘি খেলে, কারণ শরীরে তখন ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে স্যাচুরেটের ফ্যাট খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। অনেকেরই এতে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
advertisement
তাই যাঁরা রোজ স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ডায়েটের নিয়ম মেনে চলেন, যাঁদের মেটাবলিজম ভালো, তাঁরা ঘি খেলে সমস্যা হয় না সেভাবে।
তাহলে কাদের ঘি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত?
যদি ঘিয়ের সমস্ত দিক বিশ্লেষণ করা যায়, তা হলে দেখা যাবে ঘি একেবারেই পুরোপুরি অস্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকায় পড়ে না। ঘি খাওয়া ভালো কি না তা নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষে শারীরিক অবস্থার উপর। নিউট্রিশনিস্টের মতে, কেউ যদি খুব অ্যাকটিভ হন, মেটাবলিজম ভালো থাকে, ওজন ঠিক থাকে এবং কোলেস্টেরল লেভেল ঠিক থাকে, তা হলে তাঁর ডায়েটে ঘি অ্যাড করা যেতেই পারে!
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Health care tips : হার্ট ভালো রাখতে চান? ওজন ঝরাতে ঘি খাওয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবেন কী ভাবে
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
  • ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে !

  • দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে

  • কলকাতা-সহ বাকি অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে রবিবার পর্যন্ত

VIEW MORE
advertisement
advertisement