Gulkand at Home: ৩ হাজার বছরের প্রাচীন রেসিপিতে শীতের রোদে তৈরি করুন গোলাপের জ্যাম ‘গুলকন্দ’, খান বছরভর

Last Updated:

শীতকালে গোলাপ বেশি হয় বলে এ সময় বানিয়ে রাখুন (making Gulkand at home in winter)৷ ব্যবহার করুন বছরভর৷

ফার্সিতে ‘গুল’ শব্দের অর্থ গোলাপ৷ ‘কন্দ’-এর মানে মিষ্টি৷ দুই শব্দ একসঙ্গে বসে তৈরি হল ‘গুলকন্দ’ (Gulkand)৷ এর মূল উপাদান গোলাপের পাপড়ি (Rose Petals)৷ যে কোনও গোলাপ দিয়েই তৈরি করা যায়৷ তবে গোলাপি রঙের পাপড়ি বেছে নেওয়াই ভাল৷ দোকানে কিনতে পাওয়া যায়৷ পেয়ে যাবেন অনলাইনেও৷ তবে বাড়িতে তৈরি হলে এতে ভেজাল থাকার কোনও সম্ভাবনা থাকে না৷ গরমকালে এর ব্যবহার সবথেকে বেশি৷ তবে ব্যবহার করতে পারেন সারা বছরই৷ শীতকালে গোলাপ বেশি হয় বলে এ সময় বানিয়ে রাখুন (making Gulkand at home in winter)৷ ব্যবহার করুন বছরভর৷
খ্রিস্টপূর্ব ৯ম শতকে যে ইন্দো-পার্সিয়ান গুলকন্দ প্রকৃত তৈরি করা হত, সেটি অবশ্য শীতকালে তৈরি করা যাবে না৷ কারণ সে পদ তৈরি হত ‘দামাস্ক গোলাপ’ দিয়ে৷ তুরস্কের এই গোলাপ ফোটে বছরে মাত্র দু’বার, গরমে আর শরতে৷ সে সময়ের চড়া রোদেই তৈরি হত গুলকন্দ৷ এক বার তৈরি করে নিলে অনেক দিন অবধি ব্যবহার করা যায় গোলাপের পাপড়ির এই জ্যাম৷
advertisement
আরও পড়ুন : দোকানের কেনা নয়, বাড়িতেই তৈরি করুন স্প্রাউটস বা অঙ্কুরিত মুগ
তৈরির আগে জেনে নিন এর ব্যবহার৷ কারণ বাঙালি রসনায় এর স্বাদ বেশ অচেনা৷ তবে ভারতের অন্য প্রদেশে ‘ঠান্ডা খাবার’ হিসেবে খুবই প্রচলিত৷ মধুমেহ সমস্যা না থাকলে নানাভাবে খাওয়া যায় গুলকন্দ৷ পানের মশলা হিসেবে, মিল্কশেকে, প্যাঁড়ায়, ঠান্ডাই স্মুদিতে, মিষ্টিতে, চাটনিতে, কাপকেকের উপাদান হিসেবে গুলকন্দ খুবই প্রচলিত৷ কিছু না হলে, এক গ্লাস জলে মিশিয়ে পান করলেও শরীর শীতল হয়৷ বদলায় জিভের স্বাদও৷
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : প্রাক শীতের সমস্যায় মোকাবিলায় ভরসা হোক এই মশলাগুলি
গুলকন্দ তৈরির চিরাচরিত প্রণালী শেয়ার করেছেন পুষ্টিবিদ রুতুজা দ্বিবেকর৷ তা হল, একটি কাচের বয়ামে প্রথমে গোলপের পাপড়ি দিতে হবে. তার পর ছড়িয়ে দিতে হবে চিনি৷ আবার পাপড়ি, আবার চিনি-এভাবে দিয়ে যেতে হবে, পুরো বয়াম ভর্তি হওয়া অবধি৷ একদিনে নয় কিন্তু৷ রোজ একটু একটু করে জমাতে হবে৷ নিয়ম হল, কাকভোরে উঠে গোলাপ তুলতে হবে৷ তার পর সারা দিন বন্ধ বয়ামে রোদে মজাতে হবে চিনি ও গোলাপ পাপড়ি৷ সূর্যাস্তের পর বয়াম তুলে নিতে হবে৷ রোজ এক বার করে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে, পুরো বয়াম ঝাঁকিয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে৷ এ ভাবে এক মাস ধরে রোদে শুকিয়ে, মজিয়ে তৈরি করতে হবে গুলকন্দ৷ তৈরি করতে গিয়ে গোটা চিনির বদলে দিতে পারেন চিনির গুঁড়োও৷ ইচ্ছে হলে যোগ করুন মধু, মৌরি আর এলাচদানার গুঁড়ো৷
advertisement
আরও পড়ুন : শুধু বিরিয়ানির সুবাস নয়, হেঁসেলে থাকা কেওড়ার জল আরও বহু সমস্যার সমাধান
শুধু স্বাদবর্ধকই নয়৷ পুরাতনী চিকিৎসাব্যবস্থায় গুলকন্দ ব্যবহৃত হয় ওষুধ হিসেবে৷ স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে, পরিপাক ক্রিয়া ভাল রাখতে, ক্লান্তি কমাতে, টক্সিন সরিয়ে রক্ত পরিষ্কার রাখতে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে, অ্যাসিডিটি-গ্যাস-বদহজমের সমস্যা দূর করতে গুলকন্দ কার্যকর৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Gulkand at Home: ৩ হাজার বছরের প্রাচীন রেসিপিতে শীতের রোদে তৈরি করুন গোলাপের জ্যাম ‘গুলকন্দ’, খান বছরভর
Next Article
advertisement
সকালে মা দরজা খুলতেই...বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
  • সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ

  • দেগঙ্গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘনাচ্ছে রহস‍্য।

  • পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মদ্যপানের আসরেই খুন করা হয়েছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement