বছরভর যে সব ফল পাওয়া যায় কমবেশি, সেগুলির মধ্যে অন্যতম পেয়ারা (Guava)৷ বর্ষা এবং শীতকালে এক চিমটে বিটনুন-সহ এর স্বাদ অতুলনীয়৷ ভাল করে দিতে পারে যে কোনও মনখারাপ৷ পেয়ারায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই কম৷ ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না৷ হৃদরোগী এবং মধুমেহ আক্রান্তরা নিশ্চিন্তে এই ফল খেতে পারেন৷ হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতেও পেয়ারা উপকারী (Health benefits of Guava)৷
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক পেয়ারার গুণাবলী-
পেয়ারায় প্রচুর ভিটামিন সি, লাইকোপেন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে৷ ফলে আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী
পেয়ারায় আছে ম্যাঙ্গানিজ৷ ফলে খাবার থেকে আমাদের শরীর যথেষ্ট পুষ্টি আহরণ করে নিতে পারে
পেয়ারায় থাকা খনিজ ফোলেট ফার্টিলিটি বৃদ্ধি করে
উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয় পেয়ারার পটাশিয়ামে
পেয়ারার ৮০ শতাংশই জল৷ ফলে ত্বক এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে
আরও পড়ুন : ত্বকের যে কোনও সমস্যা সেরে যায় চন্দনের স্পর্শে
এছাড়াও পেয়ারার যে বৈশিষ্ট্য চমকপ্রদ, তা হল এই ফল ওজন কমাতেও কার্যকর৷ সেদিক থেকে প্রায় সব ফলকেই টেক্কা দিতে পারে সে৷ পেয়ারায় আছে প্রোটিন এবং প্রচুর ফাইবার৷ এই দুই উপাদানই সম্পূ্র্ণ পরিপাক হতে সময় লাগে৷ ফলে যখন তখন খিদে দূর করতে কামড় বসাতে হয় না জাঙ্ক ফুডে৷ পেয়ারার ফাইবার নিয়ন্ত্রণ করে মেটাবলিজম৷ পাকেনি, এমন পেয়ারায় চিনির পরিমাণ আপেন, কমলালেবু, আঙুরের তুলনায় কম৷
আরও পড়ুন : শিল্পা শেট্টীর চিরতরুণ ত্বক ও রূপের রহস্য লুকিয়ে এই পরিচিত ফলেই
খাদ্যতন্তুতে ভরা পেয়ারা খেলে আপনার দৈনিক ফাইবার-প্রয়োজনের ১২ শতাংশ পর্যন্ত প্রয়োজন সম্পূর্ণ হয়৷ পেটের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে ডায়েটে পেয়ারা রাখুন৷ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও পেয়ারা কার্যকর৷ পরিপাক ক্রিয়া সুস্থ হলে তার প্রভাব পড়ে ওজন নিয়ন্ত্রণেও৷
আরও পড়ুন : মাশরুম খান না? বঞ্চিত হচ্ছেন বহু উপকারিতা থেকে
পেয়ারায় ক্যালরিও আছে নামমাত্র৷ ১০০ গ্রাম পেয়ারায় আছে ৫২ ক্যালরি৷ তাই পেয়ারাকে বলা হয় ‘নেগেটিভ ক্যালরি ফুড’৷ তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল, পেয়ারায় যে পরিমাণ ক্যালরি আছে, তার থেকে বেশি ক্যালরি ঝরিয়ে ফেলে এই ফল৷ তাই আরও ভালবেসে পেয়ারা খান৷ শুধু মনে রাখবেন পাকা পেয়ারার তুলনায় কাঁচা পেয়ারা বেশি উপকারী৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Guava