Tamralipta History: এসেছিলেন একাধিক চৈনিক পরিব্রাজক! আজকের তমলুক, অতীতের তাম্রলিপ্ত ছিল বৌদ্ধ ধর্মের পীঠস্থান

Last Updated:

Tamralipta History: তাম্রলিপ্ত প্রদেশে বৌদ্ধধর্মের বিস্তার লাভ করেছিল। প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরীর বর্তমান অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা হলেও প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরীতে একসময় বৌদ্ধধর্মের ব্যাপক প্রভাব ছিল।

+
তমলুকে

তমলুকে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব

তমলুক, সৈকত শী: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরটি রাজ্য এবং দেশের অন্যতম প্রাচীন শহর। বৌদ্ধ ধর্মের কাহিনী এই জনপদের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তমলুকের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মের সংযোগের ইতিহাস রয়েছে। ভারতের মধ্যযুগে দেখতে পাওয়া যায় তাম্রলিপ্তর নিদর্শন। মধ্যযুগে তাম্রলিপ্ত বন্দর ছিল অন্যতম। এই তাম্রলিপ্ত বন্দর দিয়ে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের উদ্দেশে সিংহল যাত্রা করেছিলেন সম্রাট অশোকের পুত্র ও কন্যা। এছাড়াও এই তাম্রলিপ্ত নগরীতে এসেছিলেন একাধিক বিখ্যাত পরিব্রাজক। তাঁদের ভ্রমণকাহিনী থেকে জানা যায় প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরী গৌরবময় ইতিহাসের কথা।
আঞ্চলিক ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের মতে তাম্রলিপ্ত নগরী একসময় বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৩৪০ সালে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে গৌতম বুদ্ধের আট জন শিষ্য তাম্রলিপ্ত নগরীতে আসেন। আঞ্চলিক ইতিহাসবিদেরা জানান সে সময় তাম্রলিপ্ত নগরের সীমা অনেক বিস্তৃত ছিল। তাম্রলিপ্ত নগরীতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার উদ্দেশে অনেকগুলি বৌদ্ধ বিহার স্থাপিত হয়। সে সময় তাম্রলিপ্ত নগরী ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী রাজ্য। আঞ্চলিক ইতিহাসবিদের জানান তাম্রলিপ্ত নগরীর রাজা বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে নিজের রাজ্যে অনেকগুলি বৌদ্ধ বিহার স্থাপিত করেন।
advertisement
এ বিষয়ে আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক জয়দেব মালাকার বলেন, ‘‘তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের ইতিহাস অনেক পুরনো ও গৌরবময়। তাম্রলিপ্ত নগর বা তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে তাম্রলিপ্তের রাজা বৌদ্ধবিহার তৈরি করেন। এর পাশাপাশি লক্ষ করা যায় মধ্যযুগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারের জন্য সম্রাট অশোকের পুত্র ও কন্যা তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে তাম্রলিপ্ত নগর থেকেই সিংহল যাত্রা করেন। কালের নিয়মে বৌদ্ধ বিহারগুলি ধ্বংস হয়েছে।’’
advertisement
advertisement
তাম্রলিপ্ত নগরে বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা লক্ষ করা যায় বিভিন্ন চৈনিক পরিব্রাজকের ভ্রমণ কাহিনী থেকেও। তাঁদের ভ্রমণ কাহিনী থেকে জানা তাম্রলিপ্ত নগরীতে চৌদ্দটি বৌদ্ধ বিহার, দশটি সংঘরাম, এক হাজার বৌদ্ধ ধর্মের সন্ন্যাসীদের কথা।
আরও পড়ুন : ব্লাড সুগারে কি কমলালেবু খাওয়া যায়? নাকি এক কোয়া খেলেই হু হু করে বাড়বে ডায়াবেটিস? জানুন
ইতিহাস গবেষকদের অভিমত অনুসারে বর্গভীমা স্থাপত্য রীতিতে বৌদ্ধমঠ বা বৌদ্ধদের প্রভাব স্পষ্ট। প্রাচীন ষোড়শ মহাস্থবিরের একজন ছিলেন তাম্রলিপ্তবাসী স্থবির কালিক। শকাব্দের তৃতীয় শতাব্দীতে দন্তকুমার তাঁর স্ত্রী হেমলতার সঙ্গে গোপনে বুদ্ধদন্ত নিয়ে তাম্রলিপ্ত থেকে সিংহল গিয়েছিলেন। এর থেকে সহজেই বোঝা যায় একসময় বন্দরনগরী বা তাম্রলিপ্ত প্রদেশে বৌদ্ধধর্মের বিস্তার লাভ করেছিল।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Tamralipta History: এসেছিলেন একাধিক চৈনিক পরিব্রাজক! আজকের তমলুক, অতীতের তাম্রলিপ্ত ছিল বৌদ্ধ ধর্মের পীঠস্থান
Next Article
advertisement
SD Burman: বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী শচীন দেব বর্মনের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল জঙ্গলমহলের! কোন সম্পর্ক জড়িয়েছিলেন তিনি, জানুন সেই গল্প
সঙ্গীতশিল্পী এসডি বর্মনের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল জঙ্গলমহলের!কোন সম্পর্ক জড়িয়েছিলেন
  • শচীন দেব বর্মনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে মেদিনীপুরের সম্পর্ক

  • মেদিনীপুরের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্কে জুড়ে যান বিশ্ব বিখ্যাত এই কিংবদন্তি

  • শচীন দেব বর্মনের বোনের বিয়ে হয়, প্রত্যন্ত গ্রাম দাঁতনে

VIEW MORE
advertisement
advertisement