Tamralipta History: এসেছিলেন একাধিক চৈনিক পরিব্রাজক! আজকের তমলুক, অতীতের তাম্রলিপ্ত ছিল বৌদ্ধ ধর্মের পীঠস্থান
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- local18
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Tamralipta History: তাম্রলিপ্ত প্রদেশে বৌদ্ধধর্মের বিস্তার লাভ করেছিল। প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরীর বর্তমান অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা হলেও প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরীতে একসময় বৌদ্ধধর্মের ব্যাপক প্রভাব ছিল।
তমলুক, সৈকত শী: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরটি রাজ্য এবং দেশের অন্যতম প্রাচীন শহর। বৌদ্ধ ধর্মের কাহিনী এই জনপদের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তমলুকের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মের সংযোগের ইতিহাস রয়েছে। ভারতের মধ্যযুগে দেখতে পাওয়া যায় তাম্রলিপ্তর নিদর্শন। মধ্যযুগে তাম্রলিপ্ত বন্দর ছিল অন্যতম। এই তাম্রলিপ্ত বন্দর দিয়ে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের উদ্দেশে সিংহল যাত্রা করেছিলেন সম্রাট অশোকের পুত্র ও কন্যা। এছাড়াও এই তাম্রলিপ্ত নগরীতে এসেছিলেন একাধিক বিখ্যাত পরিব্রাজক। তাঁদের ভ্রমণকাহিনী থেকে জানা যায় প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরী গৌরবময় ইতিহাসের কথা।
আঞ্চলিক ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের মতে তাম্রলিপ্ত নগরী একসময় বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৩৪০ সালে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে গৌতম বুদ্ধের আট জন শিষ্য তাম্রলিপ্ত নগরীতে আসেন। আঞ্চলিক ইতিহাসবিদেরা জানান সে সময় তাম্রলিপ্ত নগরের সীমা অনেক বিস্তৃত ছিল। তাম্রলিপ্ত নগরীতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার উদ্দেশে অনেকগুলি বৌদ্ধ বিহার স্থাপিত হয়। সে সময় তাম্রলিপ্ত নগরী ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী রাজ্য। আঞ্চলিক ইতিহাসবিদের জানান তাম্রলিপ্ত নগরীর রাজা বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে নিজের রাজ্যে অনেকগুলি বৌদ্ধ বিহার স্থাপিত করেন।
advertisement
এ বিষয়ে আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক জয়দেব মালাকার বলেন, ‘‘তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের ইতিহাস অনেক পুরনো ও গৌরবময়। তাম্রলিপ্ত নগর বা তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে তাম্রলিপ্তের রাজা বৌদ্ধবিহার তৈরি করেন। এর পাশাপাশি লক্ষ করা যায় মধ্যযুগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারের জন্য সম্রাট অশোকের পুত্র ও কন্যা তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে তাম্রলিপ্ত নগর থেকেই সিংহল যাত্রা করেন। কালের নিয়মে বৌদ্ধ বিহারগুলি ধ্বংস হয়েছে।’’
advertisement
advertisement
তাম্রলিপ্ত নগরে বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা লক্ষ করা যায় বিভিন্ন চৈনিক পরিব্রাজকের ভ্রমণ কাহিনী থেকেও। তাঁদের ভ্রমণ কাহিনী থেকে জানা তাম্রলিপ্ত নগরীতে চৌদ্দটি বৌদ্ধ বিহার, দশটি সংঘরাম, এক হাজার বৌদ্ধ ধর্মের সন্ন্যাসীদের কথা।
আরও পড়ুন : ব্লাড সুগারে কি কমলালেবু খাওয়া যায়? নাকি এক কোয়া খেলেই হু হু করে বাড়বে ডায়াবেটিস? জানুন
ইতিহাস গবেষকদের অভিমত অনুসারে বর্গভীমা স্থাপত্য রীতিতে বৌদ্ধমঠ বা বৌদ্ধদের প্রভাব স্পষ্ট। প্রাচীন ষোড়শ মহাস্থবিরের একজন ছিলেন তাম্রলিপ্তবাসী স্থবির কালিক। শকাব্দের তৃতীয় শতাব্দীতে দন্তকুমার তাঁর স্ত্রী হেমলতার সঙ্গে গোপনে বুদ্ধদন্ত নিয়ে তাম্রলিপ্ত থেকে সিংহল গিয়েছিলেন। এর থেকে সহজেই বোঝা যায় একসময় বন্দরনগরী বা তাম্রলিপ্ত প্রদেশে বৌদ্ধধর্মের বিস্তার লাভ করেছিল।
স্বাস্থ্য এবং লাইফস্টাইলের (Lifestyle News in Bengali)সব খবরের আপডেট পান নিউজ 18 বাংলাতে ৷ যেখানে থাকছে হেলথ টিপস, বিউটি টিপস এবং ফ্যাশন টিপসও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইনগুলি অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
December 05, 2025 12:47 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Tamralipta History: এসেছিলেন একাধিক চৈনিক পরিব্রাজক! আজকের তমলুক, অতীতের তাম্রলিপ্ত ছিল বৌদ্ধ ধর্মের পীঠস্থান
