Bardhaman Tourism: ইতিহাসে ভরপুর, রাজ পরিবারের আসবাব থেকে দুর্মূল্য মূর্তি সবই রয়েছে এখানে 

Last Updated:

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালে। পরবর্তীতে গবেষণার কাজে প্রত্নসামগ্রী সংগ্রহ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংগ্রহীত করে রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৬৫ সালে পথচলা শুরু হয় এই সংগ্রহশালার।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় 
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় 
পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান শহরের মধ্যেই এমন এক জায়গা রয়েছে যেখানে গেলেই খোঁজ পাবেন বহু পুরানো ইতিহাসের। দেখতে পাবেন পুরানো যুগের একাধিক জিনিস। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েই যেন লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাসের অন্যতম ভাণ্ডার। জায়গাটি হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালেয়ের মিউজিয়াম এন্ড আর্ট গ্যালারি। এই সংগ্রহশালার মধ্যেই রয়েছে পাল, সেন যুগের নানা নিদর্শন সহ দুর্মূল্য ছবি থেকে শুরু করে একাধিক পুরানো ভাস্কর্য। এছাড়াও রয়েছে বর্ধমান রাজাদের ব্যবহৃত আসবাবপত্র থেকে শুরু করে আরও বহু জিনিস। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালে। পরবর্তীতে গবেষণার কাজে প্রত্নসামগ্রী সংগ্রহ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংগ্রহীত করে রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৬৫ সালে পথচলা শুরু হয় এই সংগ্রহশালার।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম এন্ড আর্ট গ্যালারির ইনচার্জ শ্যামসুন্দর বেরা বলেন, “মিউজিয়াম যখন শুরু হয়েছিল ১৯৬৫ সালে তখন চারটি পাঁচটি মূর্তি নিয়ে শুরু হয়েছিল।যার মধ্যে একটা বৈশ্রবন মূর্তি ছিল।সেটা আমাদের কাঞ্চননগর থেকে পাওয়া গিয়েছিল।যেটা দশম একাদশ শতকের মূর্তি।এটা প্রায় হাজার এগারোশ বছরের প্রাচীন। এটি বৌদ্ধদের দেবতা। বৈশ্রবণ নামটার সঙ্গে হয়ত সবার অতটা পরিচয় নেই।এটা যখন ব্রহ্মণিকাল প্যান্থিয়ানে চলে আসবে তখন সেটা হয়ে যায় কুবের। কুবের নামটির সঙ্গেআমরা সবাই পরিচিত। এই মূর্তি দিয়েই আমাদের পথচলা শুরু হয়েছিল।”বর্তমানে এই সংগ্রহশালায় একাধিক মূর্তি রয়েছে। এখানে জেলা, ভিন জেলা এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নানা প্রত্ন সামগ্রী সংগ্রহীত রয়েছে। সংগ্রহশালায় মূলত নানা ধরনের মূর্তি, রাজ পরিবারের বিভিন্ন ফার্নিচার রয়েছে। বেশ কিছু পেইন্টিংও রয়েছে, যেমন ইউরোপীয় আর্টিস্টদের পেইন্টিং আছে। সবথেকে যেটা উল্লেখযোগ্য সবথেকে বড় যে পেইন্টিং রয়েছে সেটা হল মহারাজা বিজয় চাঁদের রাজ্যাভিষেকের দৃশ্য। এই অনুষ্ঠানটা বর্ধমান রাজবাড়িতেই হয়েছিল ১৯০৩ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম এন্ড আর্ট গ্যালারির ইনচার্জ শ্যামসুন্দর বেরা আরও বলেন, “অবশ্যই সবার মিউজিয়াম ভিজিট করা উচিত। কারণ আমি আগেই বলেছি মিউজিয়াম একটা ওপেন ইউনিভার্সিটি। এখানে যে সকল মূর্তিগুলি রয়েছে মানুষ সাধারণত মন্দিরে দেখতে অভ্যস্ত। সেই মূর্তিগুলির কাছে যখন আমরা যাই তখন সাধারণত অধ্যাত্মচেতনা নিয়েই যাই। কিন্তু মিউজিয়ামে বিষয়টা একটু আলাদা, অধ্যাত্মচেতনা চেতনার বাইরেও তার যে আইকনোগ্রাফি অর্থাৎ মূর্তি তত্ত্বের যে ব্যাখ্যা, স্থাপত্য ভাস্কর্যের ব্যাখ্যা, পুরাতত্ত্বের ব্যাখ্যা সেগুলি সম্পর্কে মানুষের জানা উচিত। আমাদের হেরিটেজ সম্পর্কেও জানতে হবে তাই ছাত্র-ছাত্রী তো বটেই সাধারণ মানুষেরও আসা উচিত।”
advertisement
বর্ধমান স্টেশন থেকে কেউ যদি যেতে চান তাহলে রাজবাটি উত্তর ফটক বললেই খুব সহজে পোঁছে যাবেন। তারপর গেটে পাহারাদারদের বললেই তাঁরা মিউজিয়ামের রাস্তা দেখিয়ে দেবেন। প্রবেশ করার জন্য কোনও প্রবেশ মূল্য লাগবে না। প্রত্যেকের জন্যই এই সংগ্রহশালা উন্মুক্ত, সকলেই সেখানে যেতে পারেন। সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে মিউজিয়াম এবং সরকারি ছুটির দিন শুধুমাত্র বন্ধ থাকে।
advertisement
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Bardhaman Tourism: ইতিহাসে ভরপুর, রাজ পরিবারের আসবাব থেকে দুর্মূল্য মূর্তি সবই রয়েছে এখানে 
Next Article
advertisement
SIR Update: কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও, কীভাবে জানবেন ভোটার? বাড়িতে না থাকলে কি SIR-এ নাম কাটা যাবে? জবাব দিল কমিশ
কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও, কীভাবে জানবেন ভোটার? বাড়িতে না থাকলে কি নাম কাটা যাবে? জেনে নিন
  • এসআইআর নিয়ে আশ্বস্ত করল নির্বাচন কমিশন৷

  • কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও?

  • নাম কাটা যাওয়ার ভয় দূর করলেন রাজ্যের সিইও৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement