ব্রেস্টফিডিং শিশুর জন্য অপরিহার্য৷ চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন জন্মের পর প্রথম ৬ মাস শিশুর খাবার শুধুই ব্রেস্টফিডিং৷ স্তনদুগ্ধে থাকে নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি, যার ফলে ক্রনিক অসুখ থেকে শিশুর দেহে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে৷ কিন্তু জানেন কি, শুধু শিশুর জন্য নয়, সন্তানকে ব্রেস্টফিডিং করানো মায়ের জন্যেও খুবই উপকারী৷ দেখে নিন, জন্মের পরমুহুর্ত থেকে ধাপে ধাপে ব্রেস্টফিডিংয়ের উপকারিতার পারদ (benefits of breastfeeding)-
প্রথম দিন-
সন্তানের জন্মের পরই যে ‘নিউবর্ন মিল্ক’ ক্ষরিত হয়, তার পোশাকি নাম ‘কোলোস্ট্রম’৷ সদ্যোজাত শিশুর জন্য এই পানীয় অত্যন্ত উপকারী৷ শিশুর পুষ্টিসাধনের সূত্রপাত হয় এই কোলোস্ট্রমের মাধ্যমেই৷
প্রথম মাস-
মা এবং সন্তানের মধ্যে নার্সিং বন্ড তৈরি হয়৷ মায়ের ইউটেরাসকে আবার তার পূর্ববর্তী আকারে ফিরে যেতে সাহায্য করে ব্রেস্টফিডিংয়ের অভ্যাস৷ জটিল অসুখে শিশুর হাসপাতালে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে৷
আরও পড়ুন : বন্ধ্যাত্ব এড়াতে ঋতুস্রাবকালীন পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন, মত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের
চতুর্থ মাস-
‘সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিন্ড্রোম’ বা এসআইডিএস-এর ঝুঁকি কম করে৷ পরবর্তীতে হাঁপানি রোগের আশঙ্কাও কম থাকে৷ অন্যদিকে, মায়ের ক্ষেত্রে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা সন্তানের জন্ম পরবর্তী যে ডিপ্রেশন, সেটি কম করে৷
আরও পড়ুন : সেক্স, পিরিয়ডসের মতো বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করছে সন্তান? কীভাবে নিরসন করবেন আপনার খুদের কৌতূহল?
ষষ্ঠ মাস-
শিশুর পরিপাকতন্ত্র ধীরে ধীরে কঠিন খাবারের জন্য তৈরি হয়৷ এই পর্যায়ে ব্রেস্টফিডিং-এর অভ্যাস বজায় থাকলে ক্যানসারের মতো জটিল অসুখের আশঙ্কা কম হয়৷
আরও পড়ুন : অন্তঃসত্ত্বা পর্বে একাধিক সমস্যায় নারকেল তেল আশীর্বাদের মতো
নবম মাস-
যদি শিশু কঠিন খাবার বেশি না খায় বা খেতে না পারে, তাহলে অধরা পুষ্টিসাধন সম্পন্ন করে ব্রেস্টফিডিং৷
এক বছর-
সন্তানের জন্মের এক বছর পর পর্যন্ত যদি স্তন্যপান করনোর অভ্যাস বজায় রাখা যায়, তাহলে শিশুর জীবনভর হৃদরোগ, ক্যানসার, উচ্চরক্তচাপ-সহ অন্যান্য ক্রনিক অসুখের আশঙ্কা কম থাকে৷
দেড় বছর-
সন্তানের জন্মের দেড় বছর পরেও যদি তাকে স্তন্যপান করানোর অভ্যাস বজায় রাখা যায়, তাহলে তার রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত হয়৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Breast Feeding