Beetroot in Cancer Prevention|| ক্যানসার রুখতে কার্যকর, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে! এক টুকরো বিটেই সুস্বাস্থ্যের হাতছানি...

Last Updated:

Beetroot help in fighting against cancer: কেমোপ্রিভেনশনের সম্ভাব্য কার্যকরী খাদ্য হিসাবেও দারুণ কাজ করে বিট।

বিট রুট দিয়ে বানিয়ে ফেলুন এই পদগুলি
বিট রুট দিয়ে বানিয়ে ফেলুন এই পদগুলি
#কলকাতা: মরশুমি ফল এবং সবজির আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। আর সেটা যদি হয় শীতের সবজি, তাহলে তো কথাই নেই। বাজার থেকে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এমনই একটি শীতের সবজি হল বিট। গুণাগুণ বলে শেষ করা কঠিন। অ্যানিমিয়া, হাই ব্লাড প্রেশার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। থাইরয়েডের সমস্যাতেও উপকারী। শুধু তাই নয়, ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইতেও সমান কার্যকর বিট।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যানসার প্রতিরোধে বিটের তুলনা নেই। কেমোপ্রিভেনশনের সম্ভাব্য কার্যকরী খাদ্য হিসাবেও দারুণ কাজ করে বিট। এতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটা সায়ানিন। ফলে ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিট উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।
বিটের উপকারিতা:
advertisement
বিট থেকে পাওয়া ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট বিটালাইন শরীরের জন্য অতি উপকারী। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি বা প্রদাহরোধী এবং শরীরকে ডিটক্স করতেও বিটের জুড়ি নেই। তবে এই বিটালাইন পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে বিট যতটা সম্ভব কম সময়ে রান্না করতে হবে। কাঁচা খেলে এর গুণাগুণ পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি।
advertisement
আরও পড়ুন: ত্বকে দেখা দিয়েছে ব্ল্যাকস্পট? দাগ নিয়ে হতাশ? রইল দাগ দূর করার সহজ উপায়...
বিটের আরেকটি খুব ভালো গুণ হলো এতে ক্যালোরি কম থাকে। অথচ এতে মানবদেহে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে। বিটে আছে প্রচুর ভিটামিন C, ফোলেট, পটাশিয়াম, আয়রন ইত্যাদি।
গবেষণা কী বলছে?
advertisement
বিট আসলে একধরনের মূলজাতীয় সবজি। স্বাদে মিষ্টি। সেই সঙ্গে মিষ্টি আলুর মতোই খুব অন্য রকম একটা মেটে ফ্লেভার পাওয়া যায় বিটে। বিভিন্ন গবেষণায় গেঁটে বাত বা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা উপশমে বিট জুসের সক্রিয় ভূমিকা দেখা গিয়েছে। এক কাপ বিটরুটে প্রায় ৩.৪ গ্রাম আঁশ আছে। তাই বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের প্রদাহে নিয়মিত বিট খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। বিটের নাইট্রেট উপাদান মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিয়ে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন মানসিক সমস্যা, যেমন ডিমেনশিয়া, স্মৃতিভ্রংশ ইত্যাদির ক্ষেত্রে খুবই ভালো ফল দিতে পারে। তবে এ ব্যাপারে আরও গবেষণা চলছে।
advertisement
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, টিউমার কোষের বৃদ্ধিকে বাধা দিতে বিটের জুড়ি নেই। বিভিন্ন প্রমাণিত গবেষণায় উঠে এসেছে, বিটের বেটানিন নামক রঞ্জক পদার্থ টিউমার কোষগুলোকে উত্তেজিত করে তোলা এনজাইমগুলোর বিরুদ্ধে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। এই ইতিবাচক ফলাফল ক্যানসার গবেষণার ক্ষেত্রেও প্রচুর সম্ভাবনার আলো দেখাচ্ছে। বিটে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যানসার সৃষ্টিকারী কারসিনোজেনের বিরুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে গবেষকেরা প্রমাণ পেয়েছেন।
advertisement
কী ভাবে বিট খেতে হবে?
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিট রাখতেই হবে। এটা কাঁচা খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। তবে বিটের জুসও সমান উপকারী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন ২৫০ মিলি বিটের জুস পান করেন তাঁদের সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ কম থাকে।
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Beetroot in Cancer Prevention|| ক্যানসার রুখতে কার্যকর, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে! এক টুকরো বিটেই সুস্বাস্থ্যের হাতছানি...
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement