West Bengal Forest Department: বীরাপ্পানের লাল চন্দনের রাজত্ব এবার বাংলায়! নবান্নের পরিকল্পনা আপনাকে অবাক করবে

Last Updated:

West Bengal Forest Department: যদিও কর্ণাটক বা তামিলনাড়ুর মতো চন্দন গাছের ফরেস্ট বা বনভূমি এ রাজ্যে করা হলে তা জীববৈচিত্র্যের পক্ষে সুখকর হবে না বলেই মনে করেন উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

চন্দন কাঠ
চন্দন কাঠ
কলকাতা: বীরাপ্পানের লাল চন্দন এর রাজত্ব কি এবার বাংলায়? এক কোটি চন্দন চারা কিনছে রাজ্য সরকার। চন্দনের ঘন অরণ্য কি তাহলে ভবিষ্যতের বাংলায়! সবুজ-শ্রী প্রকল্পে চন্দন গাছের চারা দেওয়ার পরিকল্পনা বন দফতরের। সবুজ-শ্রী প্রকল্পে এবার চন্দন গাছের চারা! মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রাজ্যের বন দফতর। সদ্যোজাত শিশুকে সরকারের প্রথম উপহার হবে ভবিষ্যতের মহামূল্য চন্দন কাঠ।
বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'প্রতি বছরই আমরা দু'কোটি বিভিন্ন গাছের চারা বনমহোৎসবে রোপণ করে থাকি। এর মধ্যে এবার চন্দন গাছের চারা যুক্ত হবে। এজন্য দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এক কোটি চারা আমরা অর্ডার দিয়েছি। আগামী বর্ষার মরশুমের আগে সেই চারা চলে আসবে বাংলায়।'
advertisement
advertisement
এক নজরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন দফতরের উদ্যোগ।
★দক্ষিণ ভারতের রাজ্য থেকে আসছে ১ কোটি চন্দন গাছের চারা।
★কর্ণাটক, তামিলনাডু ও অন্ধ্রপ্রদেশকে বরাত রাজ্য সরকারের।
★বর্ষার আগেই রাজ্যে আসবে  চন্দন গাছের চারা।
★ এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের ব্যয় প্রায় আট কোটি টাকা।
চন্দনের চারা চন্দনের চারা
advertisement
বর্ষায় বনমহোৎসব উৎসবে এবার অন্য মাত্রা যোগাবে চন্দন গাছের চারা। সরকারি তরফে বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হবে চন্দন গাছের চারা। লাল চন্দন ও সাদা চন্দন গাছের চারা। বনমন্ত্রী বলেন, 'রাজ্য সরকারের সিএমও-তে আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বন দফতরের প্রস্তাব এবার চন্দন গাছের চারা দেওয়া হোক রাজ্য সরকারের অন্যতম প্রকল্প সবুজশ্রী-তে। এই প্রকল্পের সদ্যোজাত শিশুকে যে মূল্যবান চারা দেওয়া হয় তা যদি চন্দন গাছের চারা হয় তাহলে তা শিশুর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আরও মূল্যবান হয়ে উঠবে এবং ১৫-২০ বছর পর তা কয়েক লক্ষ টাকায় বিক্রি হবে।'
advertisement
আরও পড়ুন: বাগদেবীর আরাধনা হবে না স্কুলে! কারণ, এই একমাত্র পড়ুয়া
চন্দন গাছের চারা ব্যক্তিগত ভাবে লাগানো যেতে পারে। নার্সারিতে চাষ করাও যেতে পারে। বাংলার মাটিতে বিশেষ করে ডুয়ার্স এলাকার জঙ্গলের মাটি চন্দন গাছের পক্ষে সহায়কও বটে। তবে সামগ্রিকভাবে কর্ণাটক বা তামিলনাড়ুর মতো চন্দন গাছের ফরেস্ট বা বনভূমি এ রাজ্যে করা হলে তা জীববৈচিত্র্যের পক্ষে সুখকর হবে না বলেই মনে করেন উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অধ্যাপক প্রণব মিশ্র বলেন, এ রাজ্যে চন্দন গাছের চারা চাষ করা যেতে পারে কিন্তু অরণ্যে লাগানো জীববৈচিত্র্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে।
advertisement
পাহাড় থেকে মালভূমি এমনকি সমুদ্র রয়েছে। রয়েছে যার বাংলার লাল মাটি এবং পশ্চিমাঞ্চলে শাল পিয়ালের ঘন অরণ্য। বাংলার মাটিতে অবশ্য সবই সম্ভব দাবি মন্ত্রীর। ভবিষ্যতে রাজ্যেই চন্দন গাছের চারা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে বন দফতরের।
বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, এই বাংলায় সবকিছু হয় তাই চন্দন গাছের চারাও ভাল ভাবেই বড় হবে। রাজ্যের ডুয়ার্স এলাকা যে চন্দন চাষের উপযুক্ত সে কথা মানছেন উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্রণব মিশ্র। তবে চন্দন গাছের চারা লাগালে ভবিষ্যতের অর্থনীতি যে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগামী তিন চার বছর চন্দন গাছের চারা আমদানি করবে রাজ্যের বন দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুরে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছিল চন্দন গাছের চাষ, এবার রাজ্যব্যাপী করতে চাইছে বন দফতর।
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
West Bengal Forest Department: বীরাপ্পানের লাল চন্দনের রাজত্ব এবার বাংলায়! নবান্নের পরিকল্পনা আপনাকে অবাক করবে
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
  • ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে !

  • দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে

  • কলকাতা-সহ বাকি অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে রবিবার পর্যন্ত

VIEW MORE
advertisement
advertisement