West Bengal Assembly: বিধানসভার গন্ডগোলে 'উৎসাহ' দিয়েছেন রাজ্যপাল, ধনখড়ের চিঠি নিয়ে জোরালো অভিযোগ অধ্যক্ষের

Last Updated:

West Bengal Assembly: স্পিকারের অভিযোগ, বিধানসভায় গন্ডগোল করার জন্য বিজেপি বিধায়কদের নিরুৎসাহের বদলে পরোক্ষে উৎসাহিত করেছেন রাজ্যপাল ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar)।

রাজভবন বিধানসভা সংঘাত 
প্রতীকী ছবি।
রাজভবন বিধানসভা সংঘাত প্রতীকী ছবি।
#কলকাতা : সদ্য সমাপ্ত বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের ২ য় দিনে ২ জন ও শেষ দিনে ৫ জন বিজেপি বিধায়ককে (West Bengal Assembly) সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনায় এবার বিধানসভার সচিবকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। বিধানসভার স্পিকারকে একটি চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর এই পদক্ষেপের পাল্টা দিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপাল চিঠি দিয়ে বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশনের ব্যাখ্যা চাওয়ায় কার্যত ক্ষুব্ধ স্পিকার। তাঁর কথায়, বিধানসভায় (West Bengal Assembly) গন্ডগোল করার জন্য বিজেপি বিধায়কদের নিরুৎসাহের বদলে পরোক্ষে উৎসাহিত করেছেন রাজ্যপাল ধনখড়। ফের রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, "রাজভবনের বিষয়ে আমি যেমন কোনও কথা বলতে পারি না, তেমনি বিধানসভার বিষয়ে রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankhar) এ ধরনের চিঠিও অনভিপ্রেত।"
advertisement
advertisement
এখানেই শেষ নয়, কৈফিয়ত চাওয়া নিয়ে পরোক্ষে বিজেপি বিধায়কদের পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন স্পিকার। তাঁর কথায়, ''রাজভবনে গিয়ে নালিশ করে কিছু হবে না। বিধানসভার বিষয় বিধানসভাতেই নিষ্পত্তি করতে হবে।" আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্যপালের ( নাম না করে তিনি বলেন, "কীভাবে আচরণ করতে হয়, সে বিষয়ে, ওদের তো উনি পাঠ দিতে পারেন। দূর্ভাগ্যের কথা সেটা না করে, উনি গন্ডগোল করা নিয়ে উৎসাহ দেন।"
advertisement
উল্লেখ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা ছাড়া বাকি সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া বিধায়করা হলেন মিহির গোস্বামী, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, নরহরি মাহাত, শঙ্কর ঘোষ ও দীপক বর্মন।এদের বিরুদ্ধে অধিবেশনে গডগোল পাকানো, ভাঙচুর, তথ্য ছিনিয়ে নেওয়া, মহিলা নিরাপত্তাকর্মীদের নিগ্রহ করা, শাসক দলের বিধায়কদের ওপর হামলা করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
advertisement
দুটি ক্ষেত্রেই সাসপেনশন এর সিদ্ধান্ত সভায় প্রস্তাব এনে ভোটাভুটি করে পাশ করানো হয়েছে। যে কারনে স্পিকারের বক্তব্য, তিনি কোনও সাসপেন্ড করেননি। তৃণমূলের তরফে সভায় মোশন আনা হলে, তিনি তা গ্রহণ করেন। সেখানে সংখ্যাধিক্যে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। ফলে, এটা হাউসের সিদ্ধান্ত। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ব্যক্তিগত ভাবে সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার আমার কোন এক্তিয়ারই নেই। বিবেচনা করতে হলে তা সদনে অনুরুপ মোশান ( প্রস্তাব) এনেই করতে হবে।"
advertisement
প্রসঙ্গত, সাসপেন্ড হওয়ার ফলে এই বিধায়করা তাদের বেতন ছাড়া আর কোন রকম ভাতা পাবেন না। বিধানসভার কোনও বৈঠকে বা কোন কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবে না। বিধানসভায় বিরোধীদলনেতা বা মুখ্য সচেতকের অফিসেও যেতে পারবেন না। এমনকি বিধানসভার লবিতেও যেতে পারবেন না। সাসপেনশনের অর্ডারে বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিধানসভার চলতি অধিবেশনের সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে। বিধানসভার রীতি অনুসারে একমাত্র বাজেট অধিবেশনের আগে পর্যন্ত এই অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা না করে মুলতুবি রাখা যায়। ফলে, হাউস চাইলে, আগামী বছর বাজেট অধিবেশনের আগে পর্যন্ত এদের সাসপেন্ড বহাল রাখতে পারে। অন্যদিকে, বিধানসভার রীতিনীতি নিয়ে পাঠ দিতে বিশেষ ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম চালু হতে চলেছে বলেও এদিন জানান অধ্যক্ষ। খুব শিগগিরই এই বিশেষ কর্মসূচি করতে চান বলে এদিন জানান স্পিকার।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
West Bengal Assembly: বিধানসভার গন্ডগোলে 'উৎসাহ' দিয়েছেন রাজ্যপাল, ধনখড়ের চিঠি নিয়ে জোরালো অভিযোগ অধ্যক্ষের
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement