#কলকাতা: বছরের শুরুতেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কৈখালিতে (Fire At Kaikhali)। শনিবার বাগুইহাটি থানার (Baguhati PS) অন্তর্গত কৈখালি এলাকায় দু'টি কারখানায় পরপর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ হঠাৎই আগুন লেগে যায় এই এলাকার একটি কেমিক্যাল কারখানায়। এই কারখানা পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে খবর। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন দমকলকর্মীরা। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন। এই কেমিক্যাল কারখানার পাশে, একে বারে লাগোয়া একটি গেঞ্জি কারখানাতেও আগুন লাগে শনিবার সকালে। সেটিও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
পাশাপাশি দুটি কারখানায় আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় তৈরি হয় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় দমকলকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুটি কারখানাতেই আগুনের দাপটে কার্যত সবই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বেলা আড়াইটের পর থেকে ধীরে ধীরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ভিতরে আরও কিছু ফায়ার পকেট থাকায় সেগুলিকেও ঠাণ্ডা করার কাজ করতে থাকেন দমকলকর্মীরা।
আরও পড়ুন - আতঙ্ক-উদ্বেগ চরমে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার! কলকাতাতেই ১৯৫৪
কেমিক্যাল কারখানায় ভর্তি ছিল দাহ্য বস্তু, সেই কারণেই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে দমকল। পাশাপাশি, যে এলাকায় আগুন লাগে, সেটি খুব ঘিঞ্জি এলাকা, পাশেই রয়েছে এয়ারপোর্ট। সেই কারণেই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার একটি আশঙ্কা তৈরি হয়। যদিও দমকলকর্মীদের তৎপরতায় তেমন কিছু ঘটেনি। ঘটনায় হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: প্রথম ঢেউয়ের মতো হাসপাতালে বেড বৃদ্ধির নির্দেশ রাজ্যের, তৃতীয় ঢেউ আসছেই
পরে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। কী ভাবে আগুন লাগল, তা পরীক্ষা করে দেখবে ফরেন্সিক দল, জানিয়েছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি, ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সীও। আসে বিশেষ এনডিআর-এর দল, যাতে যে কোনও রকম পরিস্থিত তৈরি হলে কাজ শুরু করা যায়। এনডিআরএফ পরে পরিস্থিতি বুঝে গেঞ্জি কারখানার ছাদে ওঠে। কাটার দিয়ে ছাদের বিভিন্ন অংশ কেটে পথ প্রস্তুত করা হয় দমকলের জন্য, যে পথে জল যাওয়া সম্ভব।
Arpita Hajra
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।