Kolkata News: হাইকোর্টের লালবাড়ি জিততে মরিয়া তৃণমূল, রোডম্যাপ বানালেন খোদ আইনমন্ত্রী    

নভেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর টোটকা দিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করে দিলেন তিনি। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার সংলগ্ন মঞ্চে কয়েক'শো আইনজীবীর উপস্থিতি। চোখের পড়ার মতন মহিলা আইনজীবীদের হাজিরা। বিজয়া সম্মিলিনীতে রাজ্যের আইনমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত হন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় , অপরূপা পোদ্দার,  বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়,  সর্দার আমজাদ আলি, আনসার আলি মণ্ডল,  ভাস্কর বৈশ্য, সঞ্জয় বর্ধন সহ অনেকেই।

কলকাতা হাইকোর্টের বারের নির্বাচনে তৃণমূল আইনজীবী সেলের সদস্যদের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। আগের নির্বাচনে তৃণমূল আসন জিতলেও সভাপতি, সম্পাদকের মতন গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি চলে যায় বিজেপির দখলে। কিছুটা ছাপ রাখে কংগ্রেস ও বামপন্থীরা। সামনের নির্বাচনে তৃণমূলের প্যানেলে সভাপতি পদে লড়ছেন সর্দার আমজাদ আলি। আমজাদের বিপরীতে কংগ্রেসের অরুণাভ ঘোষ। উকিলপাড়ার প্রচলিত কথা, হাইকোর্ট বার যাদের দখলে যায় তাদের জন্য আদালত পরিচালনায়  কিছুটা অ্যাডভ্যান্টেজ অবস্থান তৈরি হয়। তাই আগামী হাইকোর্ট নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পক্ষে মলয় ঘটকরা।

সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানান, অর্ডিন্যান্স জারি করে সিবিআই, ইডি অধিকর্তার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। বিএসএফ আইনের পরিপন্থী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যে ১৫ বদলে ৫০ কিলোমিটার পরিধি করে। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার কথা বলা আছে কেন্দ্রীয় আইনে। ৫০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত বিএসএফ ঢুকলে তা আইনবিরুদ্ধ। এমন সব আইনবিরুদ্ধ বিজেপির কাজের জন্য লড়াইয়ে প্রস্তুত থাকতে হাইকোর্টে তৃণমূল আইনজীবীদের ভোটে জিততেই হবে। রাজ্যে বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট এ বারের নির্বাচন। রবিবার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের টোটকায় কী বাড়বে তৃণমূলের ভোট, উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ।