Tangra Incident Update: বাড়িতে তিন দেহ রেখে গাড়ি নিয়ে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা দুই ভাইয়ের! ট্যাংরা কাণ্ডে বাড়ছে রহস্য

এই খবর পেয়েই দ্রুত ২৩/এ অতুল সুর রোডের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ৷ চারতলা বাড়ির চারতলার আলাদা আলাদা ঘর থেকে উদ্ধার হয় দুই গৃহবধূ এবং এক কিশোরীর দেহ৷ তাঁদের হাতের শিরা কাটা ছিল৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ট্যারার বাসিন্দা গোটা পরিবারই একসঙ্গে ঘুমের ওষুধ খেয়ে প্রথমে আত্মহত্যার চেষ্টা করে৷ ট্যাংরার বাড়িতে নিজেদের স্ত্রী এবং এক সন্তানের দেহ রেখেই বেরিয়ে পড়েন দুই ভাই৷ এর পর অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রোর পিলারে ইচ্ছাকৃত ভাবে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মেরেও ফের আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তাঁরা৷

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ট্যাংরার ওই চারতলা বাড়িতে প্রণয় ও প্রসূন দে নামে দুই ভাই তাঁদের স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন৷ প্রণয় এবং প্রসূনের একজনের একটি ছেলে এবং অন্যজনের একটি কন্যাসন্তান ছিল৷ ট্যাংরার বাড়িতে দুই ভাইয়ের স্ত্রী এবং এক কিশোরীর দেহ পড়েছিল৷ অন্যদিকে নিজেদের আর এক সন্তানকে নিয়ে ভোররাতেই ট্যাংরার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে দুর্ঘটনা ঘটান দুই ভাই৷

প্রাথমিক তদন্তের পর কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, ওই পরিবারের চামড়ার ব্যবসা ছিল৷ আহত প্রসূন দে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তীব্র আর্থিক সমস্যায় পড়েই আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গোটা পরিবার৷ যদিও এই দাবির সত্যতাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ আহতদের মধ্যে প্রসূন দে নামে ওই ব্যক্তির সংজ্ঞা রয়েছে৷ বাকি দু জন হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় রয়েছেন৷ দ্রুত তাঁদের বয়ানও নিতে চায় পুলিশ৷

এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়়ায় ট্যাংরায়৷ ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভার্মাও৷ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ পাশাপাশি, জানা গিয়েছে চারতলায় আলাদা আলাদা ঘরে তিনটি দেহ পড়েছিল৷ কিন্তু তিন তলার ঘরেও রক্তের দাগ মিলেছে৷ ফলে ট্যাংরার এই কাণ্ড নিছক আত্মহত্যা নাকি অন্য চক্রান্তও রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পরিবারের এই পরিণতিতে বাকরুদ্ধ এলাকার বাসিন্দারা৷