আবীর ঘোষাল, কলকাতা: হাঁসখালির ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে তৃণমূল। অপরাধীরা দ্রুত শাস্তি পাক বলছে তৃণমূল। এদিন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy) জানিয়েছেন, সম্প্রতি বীভৎস ঘটনা ঘটেছে হাঁসখালিতে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সমালোচনা হওয়া স্বাভাবিক। যে বা যারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদের সিবিআই তদন্ত করছে। দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হোক। আমাদের বাঙালি সমাজকে মর্মাহত করেছে। এটা সমালোচনার যোগ্য। কিন্তু প্রতিবাদ ও সমালোচনার নাম করে যারা রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছেন সেটাও নিন্দনীয় (Sukhendu Sekhar Roy on Hanskhali Rape Case) ৷
৩৪ হাজার যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে তা পরিবারের মধ্যে এনসিবি ডেটা অনুযায়ী। এটা সামাজিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত উদাহরণ। সুতরাং এটা মাথায় রেখে প্রতিবাদ করা উচিত। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি ৷ প্রশাসনও ব্যবস্থা নিয়েছে। সিবিআই দ্রুত বিচার ব্যবস্থা করুক। এর আগে মালদহে দ্রুত শাস্তি দেওয়ার নজির আমাদের আছে। অনেকেই এই ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণে নেমে পড়েছেন। করুন তাতে আপত্তি নেই৷ কিন্তু বিশ্লেষণের নামে অনেকে যা আচরণ করছেন তা যথাযথ নয়। তথ্য উপযুক্ত থাকলে যথাযথ ভাবে সামনে আনুন। বিকৃত তথ্য সামনে আনুন।
উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে আদালতে অনেকে ছাড়া পেয়ে যায়। তাই উপযুক্ত তথ্য আনুন সামনে। শ্মশানে কেরোসিন ঢেলে মৃতাকে পুড়িয়ে দেওয়া হল। এই তথ্য কে নিয়ে আসল? কে বলল? আসলে কী হয়েছিল সেটা সত্য না মিথ্যা তা নিয়ে বিভ্রান্ত করবেন না। কেউ কি পরিবারের বলেছেন? হাথরসের মতো পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে? পুলিশ এখানে যথাযথ ভাবে অভিযোগ নিয়েছে। অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। এর ফলে আসলে পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা। মৃতার মা জবানবন্দি দিয়েছেন৷ যা আদালতের এক্তিয়ারের বিষয়। এবার জবানবন্দির কপি বিরোধী দল-সহ বাকিদের হাতে চলে যাবে কি করে? এটা তো হতে পারে না।
আরও পড়ুন-ছোট একটা পরিত্যক্ত বাড়ি, কে জানত সেখানেই ডাঁই করে রাখা হত মরদেহ!
আমাদের ইচ্ছা মতো অংশ সেখান থেকে তুলে ধরে আসলে বিকৃত করা হয়েছে। ২০১১-এর পর বিভিন্ন দল একজোট হয়ে আমাদের সমালোচনা করছেন কারণ ওরা নির্বাচনে পেরে ওঠেনি। আমরা কাউকে পার পেতে দেব না। কোনও অপরাধী ছাড় পাবেন না। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও বর্বরোচিত ঘটনা। এই সামাজিক অবক্ষয় থেকে বেরোতে হবে। সিবিআই আসুক আর যেই আসুক। সিবিআই কিন্তু নিরপেক্ষ নয়৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও বলেছেন। খাঁচা বন্দি তোতাপাখি তৃণমূল সিবিআইকে বলেনি। কে আসলে নিয়ন্ত্রণ করছে সিবিআই কে? আইনত সিবিআই তৈরি বেআইনি।
গুয়াহাটি হাইকোর্টের সেই রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জলদি কেন শুনানি হচ্ছে না? যে সংস্থা পিএমও নিয়ন্ত্রণের অধীন সেটা নিরপেক্ষ নয়। সিবিআই নিয়ে হাঁসখালিতে সাহায্য করব। আমাদের দাবি গণপ্রতিরোধ করতে হবে সব জায়গায়। ওরা মানুষের দ্বারা প্রতারিত দল। ভেসে থাকার জন্য আসলে এই সব করছে। যেখানে খুশি যাক। প্রতিটি ঘটনায় যদি সিবিআই যায়। তাহলে আর রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের কি দরকার? আসলে কেন্দ্র সব নিয়ন্ত্রণ চায় তাই এই সব করছে। নেতাইয়ের মামলায় দেখুন।
গণহত্যার অপরাধীরা ছাড় পেয়ে যাবে যথাযথ তদন্ত না হওয়ায়। পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণ থেকে নোবেল চুরি না জ্ঞানেশ্বরী একটাও যথাযথ রিপোর্ট নেই।আসল ঘটনা রাজ্যে রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ রাখব। অশুভ প্রবণতা ভারতের সাংবিধানিক কাঠামোকে আঘাত করেছে। আমরা মানুষের কাছে একাধিক ককর্মসূচী নিয়ে যাব৷ আমরা জনগণের আদালতেই যাব। গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা। হাঁসখালিতে সিবিআই দ্রুত শাস্তি দিক। পার্ক স্ট্রিট থেকে কামদুনি একাধিক অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে উঠেছিল। আমরা কিন্তু শাস্তি দিয়েছি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: AITMC, Sukhendu Sekhar Roy