হোম /খবর /কলকাতা /
গ্রেফতারের পর থেকেই বিস্ফোরক তথ্য, বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা থেকে সাসপেন্ড শান্তনু

Santanu Banerjee: গ্রেফতারের পর থেকে মিলছে বিস্ফোরক তথ্য, এবার বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা থেকে সাসপেন্ড শান্তনু!

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়

Santanu Banerjee: বিদ্যুৎ ভবনের নিয়মে কোনও কর্মীর ৪৮ ঘণ্টা যে কোনও ধরনের হেফাজত (কাস্টডি) হলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।

  • Share this:

কলকাতা: এবার রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা থেকে সাসপেন্ড হলেন চাকরি দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। বণ্টন সংস্থা সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ ভবনের সদর দফতর থেকে জেলার দায়িত্বে থাকা শাখার কাছ থেকে শান্তনুর গ্রেফতারি, ওই কেন্দ্রে তাঁর হাজিরা সংক্রান্ত সব তথ্যের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ ভবনের নিয়মে কোনও কর্মীর ৪৮ ঘণ্টা যে কোনও ধরনের হেফাজত (কাস্টডি) হলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। রিপোর্ট পাওয়ার পরে সেই অনুযায়ী পবরর্তী পদক্ষেপ করা হল। বর্তমানে তিনি 'সিনিয়র টেকনিক্যাল সাপোর্ট হ্যান্ড' বা প্রযুক্তিগত কাজের সহযোগী। শান্তনুর বাবা ছিলেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সোমরাবাজার গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের 'হেড ক্লার্ক'।

বিদ্যুৎ ভবনের সাসপেন্ড করার নোটিস বিদ্যুৎ ভবনের সাসপেন্ড করার নোটিস

আরও পড়ুন: এবার রহস্যফাঁসের অপেক্ষা? দিল্লিতে মেয়ে সুকন্যার সামনে বাবা অনুব্রতকে বসিয়ে 'গরু খোঁজা' তল্লাশি ইডির

বাবার মৃত্যুর পরে ২০০৮ সালে সেখানে চাকরি পান শান্তনু। স্নাতক স্তরে উত্তীর্ণ না হওয়ায় বাবার চেয়ে নীচের পদে কাজ পান। কাজ শুরু করেছিলেন সংস্থার খানাকুলের অফিসে। কিছু দিনের মধ্যে চলে আসেন সোমরাবাজারে। বর্তমানে তিনি 'সিনিয়র টেকনিক্যাল সাপোর্ট হ্যান্ড' বা প্রযুক্তিগত কাজের সহযোগী। প্রযুক্তিকর্মীদের সহযোগী পর্যায়ের কর্মীদের বছরে বেতনক্রম ২-৬ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, শান্তনুর বেতন মাসিক ৩৫ হাজার টাকার মতো ছিল। গত ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁর বেতন বন্ধ করে বণ্টন সংস্থা।

আরও পড়ুন: 'ওর কাছে টাকার পাহাড় আছে', অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য দারুণ 'বুদ্ধি' দিলেন সেলিম!

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-র হাতে ধৃত হুগলির বলাগড়ের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে মঙ্গলবার বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। এ নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে হুগলিতে তৃণমূলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেরই মতে, দলের যথেষ্ট নাম খারাপ করেছেন শান্তনুর মতো লোকজন। অনেকে এঁদের দাপটে কোণঠাসা হয়েছে। অনেক আগেই দলের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল বলে মত তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের। এবার স্থায়ী চাকরি থেকেও সাসপেন্ড করা হল শান্তনুকে।

আবীর ঘোষাল

Published by:Raima Chakraborty
First published:

Tags: Kuntal Ghosh, Santanu Banerjee, SSC Scam