#কলকাতা: বিএসএফ "ক্ষমতা" ইস্যু নিয়ে রাজ্যের আইন হলে তা টেকসই হবে? কতটা কার্যকর হবে সেই আইন? চলতি হাওয়ায় আমজনতার প্রশ্ন এখন একটাই। আইনের ভবিষ্যৎ খুঁজতে গিয়ে একাধিক বিষয়ে সামনে আসছে। রাজ্যের স্বার্থে যেকোনও বিষয়ে আইন প্রণয়ন হতেই পারে। রাজ্য সেই পথে হাঁটতে পারে সংবিধানের তার কোনো বাধা নেই। বলছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।
তবে যে বিষয়ে কেন্দ্রের আইন রয়েছে ধরে নেওয়া যাক সেই একই বিষয়ে রাজ্যেও আইন রয়েছে। এক্ষেত্রে দুই আইনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হবে অবধারিত। সংবিধানের ২৫৪ ধারা বলছে, এক্ষেত্রে কেন্দ্রের আইন কার্যকর হবে রাজ্যের নয়। কেন্দ্র কিছুদিন আগে নির্দেশিকা জারি করে জানায়, রাজ্যে বিএসএফ সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার ভিতরে নয় ৫০ কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত ঢুকে তারা কাজ করতে পারবে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত যে কোনো জায়গায় গিয়ে অভিযান চালাতে পারবে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স।
আরও পড়ুন-সতর্ক থাকুন, বাংলার করোনা পরিস্থিতি কিন্তু এখনও যথেষ্ট দুশ্চিন্তার!
রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বলতে বাংলাদেশ সীমান্ত, সেখান থেকে ৫০ কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত বিএসএফ ঢোকার অর্থ কী রকম হবে। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা এই সমস্ত জেলাগুলির একটি বড় অংশ জুড়ে বিএসএফের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে। আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বিষ,য় সেখানে কেন্দ্র নাক গলাতে পারে না।
রাজ্যের অনুমতি ছাড়া বিএসএফ জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঢুকে অভিযান চালালে আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা তৈরি হওয়ার আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। রাজ্য ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তাই কড়া চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রকে। শুক্রবার সামনে এসেছে ১৬ নভেম্বর বিধানসভায় এই নিয়ে প্রস্তাব পেশের তথ্য। বিএসএফের রাজ্যে এক্তিয়ার নিয়ে রাজ্য যদি আইন তৈরি পথেই হাঁটে তার ভবিষ্যৎ কী হবে?
আরও পড়ুন-আর কোনও স্পেশ্যাল ট্রেন নয়, পুরনো ভাড়াতেই ফিরছে রেল! মন্ত্রকের বড় সিদ্ধান্ত জানুন
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় মতে, বিএসএফ অ্যাক্ট রয়েছে এটি কেন্দ্রীয় আইন। এই একই বিষয়ে রাজ্য নতুন করে আইন তৈরী করতেই পারে। তবে এই আইনে রাজ্যপালের সম্মতি যথেষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রয়োজন। যদি রাজ্যের তৈরি আইনে সম্মতি দেয় রাষ্ট্রপতি তবেই তা কার্যকর হবে। তাও সেই কার্যকরীতা রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে দেশের রাষ্ট্রপতি যদি অনুমতি না দেন তাহলে সেই রাজ্যের আইনের কোনও ভবিষ্যত নেই। সংবিধানের ২৫৪ ধারার ২ উপধারায় বিষয়টি স্পষ্ট করা আছে বলে জানান, বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়।বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যা গরিষ্ঠতা যথেষ্ট। তাই বিল পাশ হলেও রাষ্ট্রপতি অনুমতিতেই লুকিয়ে রাজ্যের নতুন আইনের ভবিষ্যৎ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BSF