হোম /খবর /কলকাতা /
এত টাকা! মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানেই শান্তনু-অয়নের মধ্যে সাড়ে ৭ কোটির লেনদেন!

TET Scam | SSC Scam: মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে শান্তনু-অয়নের মধ্যে সাড়ে ৭ কোটি টাকার লেনদেন! চাকরি বিক্রি করেই এত টাকা, বলছে ED

এখনও পর্যন্ত, ৫০ - ৬০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। সেই লেনদেনের ডিজিটাল ডকুমেন্টস ও কাগজে লেখা নথিও নাকি পেয়েছেন ইডি-র তদন্তকারীরা।

  • Share this:

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতে ৩৭ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে সোমবার ভোররাতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। আর এই অয়ন শীলের বাড়ি থেকেই মিলেছে আসল ওএমআর শিট থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের নথি। ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন, শান্তনু ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটারের বাড়ি কাম অফিসই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম আখড়া। এখানেই প্রার্থীদের নিয়ে আসত এজেন্টরা। চলত লেনদেন। বিক্রি হত চাকরি।

ইডি সূত্রের দাবি, এই অয়ন শীলের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার ব্যাঙ্কের লেনদেনের নথি। এখানেই শেষ নয়, জানা গিয়েছে, শান্তনু এবং অয়নের মধ্যেও কোটি কোটি টাকার লেনদেন হতো। তার মধ্যে শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে ওই দুজনের অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার লেন দেন হয়েছে।

অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজন প্রোমোটারের নামও পেয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, চাকরি বিক্রির টাকা সেই প্রোমোটারদের মাধ্যমে প্রোমোটিংয়েও বিনিয়োগ করতেন শান্তনু। ওই তিন প্রোমোটারকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার তোড়জোড় করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

আরও পড়ুন: কম্পিউটার অফিসের আড়ালে নিয়োগ দুর্নীতির আখড়া! অয়নের বাড়িতে মিলল ২০১২ টেট-এর নথিও

কোথা থেকে এল এত টাকা? এত কোটি কোটি টাকার উৎস কী? এ সমস্তই এখন জানতে চাইছেন ইডির আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে, অয়ন শীল এবং শান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।

ইডি- সূত্রের খবর, এই অয়ন শীলের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে ২০১২ সালের টেট-এর নথিও। এর আগে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে শুধুমাত্র ২০১৪ সালের টেট-এর নথি উদ্ধার করেছিলেন ইডি-র গোয়োন্দারা। কিন্তু এখানে শুধুমাত্র ২০১৪ সালের নয়, নথি মিলেছে ২০১২-র টেট-এরও। তা থেকেই সনদেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তবে কি এই নিয়োগ দুর্নীতির শিকড় অতীতের আরও গভীরে লুকিয়ে?

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, মাসিক বেতন ১ লাখেরও বেশি! প্রশ্ন তুলে ফের অভিষেক-পিকে কে নিশানা শুভেন্দুর

এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ২০ জন এজেন্টের নাম পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। এই এজেন্টরাই চাকরির বিনিময়ে টাকা তোলা, চাকরিপ্রার্থী জোগাড় করার কাজ করত বলে দাবি গোয়েন্দাদের। Ed সূত্রে খবর, এই এজেন্টরা মাঝে মধ্যেই যেতেন অয়ন শীলের অফিসে। সেখানেই নাকি হতো টাকার লেনদেন। এখনও পর্যন্ত, ৫০ - ৬০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। সেই লেনদেনের ডিজিটাল ডকুমেন্টস ও কাগজে লেখা নথিও নাকি পেয়েছেন ইডি-র তদন্তকারীরা। অয়নের কম্পিউটার অফিসের আড়ালে নিয়োগ দুর্নীতির কারখানা চলতো রমরমিয়ে। দাবি ইডির।

এছাড়াও, অয়ন শীলের প্রতিবেশীর বিস্ফোরক দাবি, সন্ধের পরেই অয়নের অফিসে বেশি আসতো ছেলেমেয়েরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা আসত মোটরবাইকে। এলাকার মানুষ জানতেন, ওইখানে কম্পিউটার শেখান অয়ন। অয়নও তেমনটাই জানিয়েছিলেন প্রতিবেশীদের। কিন্তু, এতদিন ধরে যে এই জায়গাটা দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে, তা ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পাননি।

Published by:Satabdi Adhikary
First published: