হোম /খবর /কলকাতা /
নার্সের তৎপরতায় আগুনে পুড়ে মরার হাত থেকে বাঁচলো ১৯ জন মরণাপন্ন শিশু

নার্সের তৎপরতায় আগুনে পুড়ে মরার হাত থেকে বাঁচলো ১৯ জন মরণাপন্ন শিশু

Representative Image

Representative Image

১৯ জন সদ্যোজাত,যাদের জন্মানোর পরই শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক, তার আটকে পড়ে আগুনে...

  • Share this:

#কলকাতা: ফুলবাগান বি সি রায় শিশু হাসপাতাল। রাজ্যের অন্যতম শিশু চিকিৎসার সবথেকে অগ্রণী হাসপাতাল। দোতলায় নিকু বা নিও নাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট। যেখানে আশঙ্কাজনক সদ্যোজাতদের চিকিৎসা হয়। বেলা বারোটা দশ। ফুলবাগান বি সি রায় শিশু হাসপাতালের মূল ভবনের দোতলায় নিকু থেকে আর্ত চিৎকার। গল গল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। সেখানে তখন ১৯ জন সদ্যোজাত,যাদের জন্মানোর পরই শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা হাসপাতাল জুড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। পাশাপাশি ফুলবাগান থানার পুলিশও চলে আসে।

একদিকে যখন হাসপাতাল কর্মীদের দিশেহারা অবস্থা,কে কী করবে, কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। তখনই একজন নার্স উপস্থিত বুদ্ধিতে ওয়ার্ডে থাকা অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র বা ফায়ার এক্সটিঙ্গুইসর দিয়ে আগুনের উৎসস্থলে ছুটে যায়। দেখা যায় যে সি প্যাপ মেশিন ছিল,সেখান থেকেই আগুন ও তীব্র ধোঁয়া। ওই নার্স দ্রুত একাই অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে।হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা হতবাক ওই নার্সের সাহস ও উপস্থিত বুদ্ধি দেখে। আগুন নিভে যাওয়ার পর এসে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন।যদিও তাদের আর আগুন নেভানোর কাজ এ হাত দিতে হয়নি।

তবে আগুন ও ধোঁয়া দেখার সঙ্গে সঙ্গেই ওই নার্স আরো একটি অসামান্য কাজ করেন।ওয়ারদের ভিতরে থাকা ১৯ মরণাপন্ন শিশুকে যাতে অন্যত্র সরানো যায়,তার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। অন্য নার্স ও কর্মীরা দ্রুত ওই সদ্যোজাত দের পাশের ওয়ারদে সরিয়ে নিয়ে যায়।যদিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা শিশুদের পরিবার পরিজনদের মধ্যে চূড়ান্ত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন সম্পূর্ণ নিভে যাওয়ার পরে ১৯ সদ্যোজাতকে আবারো নিকুতে ফিরিয়ে আনা হয়। বি সি রায় শিশু হাসপাতালের অধ্যক্ষ সনৎ কুমার ঘোষ যদিও জানান,সামান্য আগুন লেগেছিল,তবে ধোঁয়া বেশি থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কোনো শিশুর কোনো ক্ষতি হয় নি।এদিনের এই ঘটনায় কোনো শিশুর কোনো ক্ষতি না হলেও বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন এর মুখে পড়ল হাসপাতালের পরিকাঠামো।

কিভাবে শিশুদের আইসিইউতে সঠিকভাবে দেখভাল করা হয় না বিভিন্ন যন্ত্রের।কেনো এই সব দুধের শিশুদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে,সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমকে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয়।তবে কি নিজেদের অকর্মন্যতা ঢাকতেই এই আচরণ।বসিরহাটের  বাসিন্দা অসীম হালদারের তিনদিন বয়সী ছেলে হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে জন্মের পর থেকেই নীকুতে ভর্তি।এদিনের এই অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে তাঁর বক্তব্য,আমরা গরীব মানুষ বলে কি জীবনের দাম নেই।এই ফুটফুটে শিশুগুলোর কিছু হয়ে গেলে দায় কে নিত।

Published by:Pooja Basu
First published:

Tags: Children, Nurse