হোম /খবর /কলকাতা /
খিদিরপুরে জামাইবাবুকে এলোপাথাড়ি মার, বুকে ধারালো অস্ত্রের কোপ শ্যালকের

জামাইবাবুকে এলোপাথাড়ি মার, বুকে ধারালো অস্ত্রের কোপ শ্যালকের, খিদিরপুরে গ্রেফতার ১

পুরো ঘটনা জানানো হয় একবালপুর থানায়। তদন্তকারী অফিসার ঘটনাস্থলে এসে দোকানটিকে সিল করে দেন

  • Last Updated :
  • Share this:

Susovan Bhattacharjee

#খিদিরপুর: খিদিরপুরে ফের খুন এক ব্যাবসায়ী! বুধবার সকালে একবালপুর রোড়ের একটি কাপড়ের দোকানে খুন হতে হল এক বছর ৪৬ -এর ব্যাবসায়ীকে। বেশ কিছু দিন ধরেই গন্ডগোল চলছিল জামাইবাবু ও শ্যালকের মধ্যে। তবে বুধবার সেই অশান্তির পরিণতি যে এইভাবে হবে তা ভাবতে পারেননি একবালপুরের বাসিন্দারা। বুধবার দুপুর তিনটের কিছু সময় পরেই মহম্মদ আবতাব আলমের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁরই শ্যালক। খোলা দোকানে বসে ছিলেন মহম্মদ আবতাব আলমের সহকারী ও এক ক্রেতা। দোকানের সামনে থাকা বেশ কিছু পরিচিতকে হঠাৎ বলে উঠেন কেউ যেন তাদের বিরক্ত না করেন। শ্যালক কথা বলবেন জামাইবাবুর সঙ্গে, এই শুনে কেউ তার কথায় উত্তর দেননি।

সেই সময় ক্রেতাকে চলে যেতে বলেন অভিযুক্ত।  সহকারী অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার মধ্যেই তুমুল বচসা শুরু হয় ব্যাবসায়ী জামাইবাবু মহম্মদ আবতাব আলমের সঙ্গে। একটি ধারালে অস্ত্র দিয়ে জামাইবাবুকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে অভিযুক্ত।  জামাইবাবু আবতাব আলমের বুকে একাধিক বার ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়ায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দৌড়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় শ্যালক ইমরান। স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় একটি হাসপাতালে।  পরে আরও একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মৃত্যু হয় আবতাব আলমের।

পুরো ঘটনা জানানো হয় একবালপুর থানায়। তদন্তকারী অফিসার ঘটনাস্থলে এসে দোকানটিকে সিল করে দেন। এলাকার বেশ কিছু ব্যাক্তির থেকে পুরো ঘটনার বিবরণ নিয়ে বয়ান তৈরি করা হয়। অভিযুক্তের খোঁজে এলাকায় থাকা চারটি সিসি ক্যামেরা দেখে ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। বুধবার বিকালেই গ্রেফতার হয় ইমরান। পুলিশের জেরার মুখে পারিবারিক গন্ডগোলের জেরে খুনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত।  বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হবে অভিযুক্তকে।

Published by:Simli Raha
First published:

Tags: Khidirpur, Murder