Kunal Ghosh: 'মমতার পরই মুখ ছিলেন অভিষেক! ইচ্ছেমতো কথা নয়', কল্যাণকে বার্তা কুণালের?

Last Updated:

Kunal Ghosh: কুণাল ঘোষ বলেন, ''আমাদের দলের মুখ মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে মুখ ছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ফলে দলের যারা সৈনিক, তাদের ভেবে কথা বলা উচিত।''

কুণালের ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য
কুণালের ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য
#কলকাতা: রাজ্যে দ্রুত গতিতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। রীতিমতো রেকর্ড গড়ছে প্রতিদিনের আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে নিজের সংসদীয় এলাকার জন্য নানান উদ্যোগ নিচ্ছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল ১২ জানুয়ারি, স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিনে পঞ্চাশ হাজারের বেশি করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যা। এছাড়াও তাঁর সংসদীয় এলাকার জন্য যে যে ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি, তা ইতিমধ্যে 'মডেল' বলে পরিচিত হচ্ছে। একদিকে সেগুলির যেমন প্রশংসা চলছে নানা স্তরে, তেমনই তৃণমূলের অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের উপরও চাপ তৈরি হচ্ছে। সেই কারণেই এবার আসরে নামানো হল দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, ''মডেল বলে ব্যখ্যা করতে গিয়ে নানা জটিলতা হচ্ছে। বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি সমান ভাবেই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মতো লড়াই শুরু করেছেন। কেউ বনাম কেউ এটা নয়। তিনি সাংসদ হিসাবে তাঁর এলাকায় যা করেছেন, তার প্রশংসা পেয়েছেন। সবাই নানা ভাবে চেষ্টা করছেন। বনাম শব্দ বাদ দিয়ে আলোচনা হোক।''
advertisement
রাজ্যে পুরভোটের আবহে দু'মাস সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখা উচিৎ বলে 'ব্যক্তিগত মতামত' জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। এ বিষয়েও এদিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কুণাল ঘোষকে। তিনি বলেন, ''দলের সাধারণ সম্পাদক অবশ্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ব্যক্তিগত মতের ব্যাপার থাকে। প্রশাসন কাজ শুরু করেছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ভালোই বলেছেন।
advertisement
advertisement
রাজ্য সরকারের কাজে প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতা আছে। ভোট কোভিড বিধি মেনেই কমিশন স্থির করেছে। এর পরেও যদি কেউ বা কোনও দল না মানলে সেটা তাদের ব্যাপার।''
কিন্তু অভিষেকের ব্যক্তিগত মন্তব্য নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদটি সর্বক্ষণের। তাই এই পদে থেকে কারও ব্যক্তিগত কোনও মত থাকতে পারে বলে মনে হয় না। অনেক বিষয়ে তো আমারও ব্যক্তিগত মত আছে। দলীয় শৃঙ্খলার কারণেই তা প্রকাশ্যে বলা যায় না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধাচারণ।'' আর সেই নিয়ে আলোড়ন পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
advertisement
এরপরই কুণাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে সাফ বলেন, ''আমাদের দলের মুখ মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে মুখ ছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ফলে দলের যারা সৈনিক, তাদের ভেবে কথা বলা উচিত। সাংসদের বক্তব্যের বিষয়টিকে দল লক্ষ্য রাখছে। অভিষেকের বক্তব্য ব্যক্তিগত কথা ও মানুষের মনের কথাও ছিল। সংঘাত মূলক পরিবেশ, এটা ভাবার দরকার নেই। যে যার মতো নিজের ইচ্ছে মতো কথা বলবেন এটা হয় না। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান পার্থ চচট্টোপাধ্যায় নজর রাখছেন। দল যদি কোনও নির্দিষ্ট কারণে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত।''
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Kunal Ghosh: 'মমতার পরই মুখ ছিলেন অভিষেক! ইচ্ছেমতো কথা নয়', কল্যাণকে বার্তা কুণালের?
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement