#কলকাতা: পাটুলি রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে চোখে পড়ল, রাস্তার ধারে লেখা 'পাটুলি স্ট্রিট লাইব্রেরী'। প্রথমটা মনে হয়েছিল কোন বাণিজ্যিক লাইব্রেরি। পরে অবশ্য ভ্রম সংশোধন হল। বউ বাজার শাখার মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক কালিদাস হালদার। তাঁর গর্ব ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতিষ্ঠিত স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। আর সেই স্কুলে প্রধান শিক্ষক ছিলেন স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দ (১৮৮৪)। সেই আদর্শে দীক্ষিত পুঁথিপোকা কালিদাস বাবু।
কালিদাস বাবুর কথায়, ''৩০% ছাত্রছাত্রীর হাতে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল আছে। অতিমারী কালে একদিকে যেরকম স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়েছে, সঙ্গে বেড়েছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ব্যবহার। পড়াশুনার কাজে ব্যবহারের থেকে অন্য কাজে ব্যবহার করছে তারা। গত দুবছরে বই থেকে বিচ্ছিন্ন সবাই।''
আরও পড়ুন: রাজীব যেতেই বিস্ফোরক ট্যুইট দিলীপ ঘোষের, 'দালাল' কে? কুণালের মুখে শুভেন্দুর নাম!
যারা বই পায় না, তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে বই। কিশোর-কিশোরী থেকে যুবকরা ফেলুদা থেকে আরম্ভ করে চাঁদমামা, শুকতারা, অরণ্যদেব এগুলো যাতে হাতের কাছে পায় এবং পড়াশোনা শুরু করে তার জন্যই নতুন উদ্যোগ কালিদাস বাবুর। তাঁর ইচ্ছে, একটি লাইব্রেরি করা। কালিদাস বাবুর ছেলে কিংশুক, দশম শ্রেণীর ছাত্র, টিফিন থেকে বাঁচানো সতেরো হাজার টাকা তুলে দিয়েছিল বাবার হাতে।
আরও পড়ুন: 'ঘরে' ফিরতে কলকাতার বদলে আগরতলা কেন? 'রহস্য' ভাঙলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়!
আরও পড়ুন: BJP-তে 'ফর্মে' ফিরছেন তথাগত রায়? রাজীবের দলবদলেও বিস্ফোরক ট্যুইট! নিশানায় কে?
নিজের ও ছেলের সঞ্চয় দিয়ে প্রথমে তিন থেকে চারশো বই জোগাড় করে পাটুলি সত্যজিৎ পার্ক-এর কাছে ছোট্ট একটি দোকান এবং তার পাশে রাখা একটি অকেজো ফ্রিজে বই রেখে শুরু করেন লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরির শর্ত হল, আপনার কোন পরিচয়পত্র দিতে হবে না। বই পড়ার আগ্রহ থাকলে ওখান থেকে বই নিয়ে যান। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে বই ফেরত দিলেই হবে। এভাবেই চলছে কালিদাস বাবুর, 'পাটুলি স্ট্রিট লাইব্রেরি'। ২০২০সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল এই লাইব্রেরি। এখনও পর্যন্ত সাত হাজারের মতো বিভিন্ন ভাষার বই রয়েছে এখানে। দুমাস পর থেকে দক্ষিণ শহরতলীর বিভিন্ন বস্তি এলাকায় মোবাইল লাইব্রেরি শুরু করবেন তিনি।প্রতি শুক্রবার একটি মারুতি ভ্যানে করে বই নিয়ে ওইসব এলাকায় যাবেন।যাদের আগ্রহ আছে,তারা বই নিয়ে পড়বেন, ফেরৎ দেবেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।