হোম /খবর /কলকাতা /
বছরে ৩ কো‌টি টাকার প্রতারণা! পিঙ্ক ফ্রড কল সেন্টারের ৬ মহিলা গ্রেফতার

Kolkata news: বছরে ৩ কো‌টি টাকার প্রতারণা! পিঙ্ক ফ্রড কল সেন্টারের ৬ মহিলা গ্রেফতার

বছরে ৩ কো‌টি টাকার প্রতারণা! পিঙ্ক ফ্রড কল সেন্টারের ৬ মহিলা গ্রেফতার

বছরে ৩ কো‌টি টাকার প্রতারণা! পিঙ্ক ফ্রড কল সেন্টারের ৬ মহিলা গ্রেফতার

Kolkata news: ধৃত পূবালী ও তার বোন স্নেহা অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসারের মেয়ে এবং তারা এর আগেও গ্রেফতার হয়েছিলেন। 

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: সিআইডির জালে এবার 'পিঙ্ক ফ্রড কল সেন্টার'-এর মূল মাথায় দুই কন্যা। জানা যাচ্ছে, দুজনেই অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসারের দুই মেয়ে। বাগুইআটিতে লোকনাথ পার্কে এবার ভুয়ো "পিঙ্ক" ফ্রড কল সেন্টারের হদিস পেলো সিআইডি সাইবার ক্রাইমের অধিকারিকরা। সিআইডি তদন্তকারীদের ভাষায় পিঙ্ক ফ্রড কল সেন্টারের অর্থ মহিলা দ্বারা পরিচালিত। ঘটনায় গ্রেফতার ছয় মহিলা (six women arrested for cheating)। ধৃতদের নাম পূবালী মিত্ৰ, স্নেহা মিত্র, ডালিয়া নাথ, প্রিয়া চক্রবর্তী, অনিতা গুপ্তা, সুবর্ণা সাহা।

মোবাইল টাওয়ার ইনস্টলেশন এর নাম করে প্রতারনা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ছয় মহিলাকে। সিআইডি সূত্রে খবর, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ সহ বহু নথি উদ্ধার হয়েছে। সিআইডি সূত্রে খবর, এই কল সেন্টারের বিশেষত্ব হল মহিলা দ্বারা পরিচালিত। ধৃতদের মধ্যে পুবালী মিত্র ও স্নেহা মিত্র প্রাক্তন আর্মি অফিসারের মেয়ে। এদের দ্বারাই এই কল সেন্টার পরিচালিত হতো। এর আগেও গ্রেফতার হয়েছিলেন পূবালী ও স্নেহা মিত্র। সিআইডি সূত্রে খবর, প্রায় তিন কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে এই মহিলাদের বিরুদ্ধে।

কীভাবে প্রতারণা চলত? সিআইডি সূত্রে খবর, ফোন করে বলা হতো মোবাইল টাওয়ার বসাতে আগ্রহী কিনা। বাড়ির ছাদে বা ফাঁকা বড় জায়গাতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর টোপ দেওয়া হতো মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে। কিছু দিনের মধ্যে চাওয়া হতো অনলাইন ডকুমেন্টস। এরপর রেজিস্ট্রেশন ফি ও বিভিন্ন অছিলায় এক এক জনের থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো বলে অভিযোগ। সিআইডি সূত্রে খবর, মাসে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা এভাবে হাতানো হতো বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন- সতর্ক থাকুন, বাংলার করোনা পরিস্থিতি কিন্তু এখনও যথেষ্ট দুশ্চিন্তার!

বছরে আনুমানিক তিন কোটি টাকা প্রতারনা করেছে বলে অভিযোগ। ধৃতদের মধ্যে পূবালী ও স্নেহা মিত্র বাড়ি রহড়ায় । ডালিয়া নাথ রহড়া শান্তিনগরে থাকেন। প্রিয়া চক্রবর্তীর বাড়ি অশোক নগর দক্ষিণ পল্লিতে। অনিতা গুপ্তার ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্সে বাড়ি। সুবর্ণার বাড়ি দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। সিআইডি সাইবার আধিকারিকরা বহুদিন ধরে ভুয়ো কল সেন্টারের অভিযানে নেমে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে জানতে পারেন সল্টলেক জুড়ে ভুয়ো কল সেন্টার মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে গিয়েছে। সেই সূত্রে জানা যায়, পূবালী ও স্নেহা মিত্র দুই বোন গত ডিসেম্বরে গ্রেফতার হয়ে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ফের নতুন করে ভুয়ো পিঙ্ক ফ্রড কল সেন্টার খুলে জাঁকিয়ে বসেছেন।

আরও পড়ুন- বিএসএফ-এর ক্ষমতাবৃদ্ধি, রাজ্য আইন আনলে তার ভবিষ্যৎ কী

এরপরই শুক্রবার গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে দুই মূল মাথাকে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রিটায়ার্ড আর্মি অফিসারের দুই মেয়ে বহুদিন ধরে এভাবে স্বল্প খরচে ঘর ভাড়া নিয়ে সল্টলেক জুড়ে পিঙ্ক ফ্রড কল সেন্টার খুলে বসেছে। মহিলা দ্বারা পরিচালিত এই সেন্টারে অন্যান্য যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সকলেই মহিলা। যাতে প্রতারিতদের বিশ্বাস অর্জন হয় দ্রুত, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা। সিআইডি সাইবার ক্রাইমের অধিকারিকরা শুক্রবার বাগুইআটি লোকনাথ পার্ক কল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ছয় মহিলাকে গ্রেফতার করেন। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রে আর কেউ জড়িত কিনা তা জানার চেষ্টা করবে সিআইডি সাইবার ক্রাইমের আধিকারিকরা।

ARPITA HAZRA

Published by:Swaralipi Dasgupta
First published:

Tags: Kolkata