কলকাতা: খাস কলকাতাতে শিশুপুত্রের থেকে কন্যা সন্তানের জন্মের হার কমছে বেশ কিছু সময় ধরেই। এই পরিসংখ্যান দেখে সন্দেহ দানা বাঁধে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের। শহর কলকাতাতেই লুকিয়ে চুরিয়ে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ, কন্যা ভ্রূণের হত্যা হচ্ছে বলে সন্ধেহ করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ। সন্দেহের থেকেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সম্প্রতি এই অভিযান থেকেই বেহালার এক রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের হদিশ পায় স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। বেহালা ব্লাইন্ড স্কুল এর কাছে এই রোগ নির্ণয় কেন্দ্রেই মিলে লাইসেন্স ছাড়া ইউ এস জি মেশিন। এই রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্তুষ্ট না হওয়ায় ওই স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা বন্ধ করে দিয়ে লাইসেন্স বতিলের সিদ্ধান্ত নেন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সূত্রের খবর অনুযায়ী, বেহালার বনমালী ঘোষাল লেনের ওই রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে দুটি ইউ এস জি মেশিন ছিল। সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মেশিনটি বন্ধ থাকলেও, অদ্ভুত ভাবে চালু ছিল লাইসেন্স বিহীন অপর একটি ইউএসজি মেশিন।
আরও পড়ুন: অ্যাডিনোভাইরাসে ফের মৃত্যু শহরে! এবার বলি ৯ মাসের শিশু! আতঙ্ক আর উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতায়...
সংশ্লিষ্ট ওই রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণের সতর্ক বার্তা যা লিখে রাখা সরকারি নির্দেশনামায় রয়েছে তা ছিল না। এখানেই শেষ নয়, লাইসেন্সবিহীন ওই ইউ এস জি মেশিন প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি ওই ইউ এস জি মেশিন তারা ওই সেন্টারে ইনস্টল করেননি। তাছাড়া অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের কোনও রেকর্ডই ছিল না ওই মেশিনে। এত বেনিয়ম দেখার পরে কলকাতা জেলার নোডাল অফিসার এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ওই ইউ এস জি সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
কেন্দ্র সরকার যখন বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও-এর কথা বলছে একই সঙ্গে রাজ্য সরকার কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প চালাচ্ছে, ঠিক সেই সময় এই ধরনের অনৈতিক কাজ কী করে চলতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যবাসী। আগামী দিনে আরও কঠোর হাতে এ ধরনের অনৈতিক কাজ বন্ধের কথা জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক।
ওঙ্কার সরকার
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Health Tips, Kolkata News