Kolkata News: ধনে মনে করে যা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন, তা আসলে বিষ! হ্যাঁ, ঘটনা শুনলে মাথা ঘুরে যাবে
- Published by:Raima Chakraborty
- Written by:SHANKU SANTRA
Last Updated:
Kolkata News: দীর্ঘদিন ধরে ধনে যেভাবে দূষিত হয়ে মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে তা অবিশ্বাস্য।
কলকাতা: বছর দুয়েক আগে ভেজাল ধনে নিয়ে পুলিশ রীতিমতো ধরপাকড় চালিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। নদিয়া, সোদপুর এই সমস্ত জায়গা থেকে দু-তিনজন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। পুলিশি ধরপাকড়ের ফলে কিছুটা বন্ধ হলেও, আবার সেই কালো ধনে চকচকে করার প্রক্রিয়া এবং ব্যবসা শুরু হয়েছে।
চকচকে ধনে সুদূর জেলা থেকে কলকাতা শহরে ঢুকছে লরি করে। ধনে বেশি চাষ হয় নদিয়া জেলার তেহট্ট, চাপড়া এলাকায়। এই ফসল মাঠ থেকে ওঠার পরে শুকনো হওয়ার সময় গায়ের রং গাঢ় বাদামি রঙের হয়।ব্যবসায়ীদের দাবি, ওই ধনে নাকি খদ্দেররা কিনতে চায় না। তাই ধনেকে ‘অ্যাসিড ওয়াস’ করেন ব্যবসায়ীরা। এই অ্যাসিড ওয়াস কীভাবে হয়?
advertisement
আরও পড়ুন: এটা কোন পাতা বলুন তো? ঠান্ডায় বাতের ব্যথা থেকে জেদি কফ তোলার মহৌষধ এটি, জানুন
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাঢ় বাদামি রঙের ধনেকে প্রথমে অ্যাসিড জলে (ব্লিচিং) ফেলে ধুয়ে বস্তায় ভর্তি করা হয়। তারপর সেই ভেজা ধনেকে একটি জানালা দরজা বন্ধ ঘরে রাখা হয়। সেখানে অন্ততপক্ষে ২০০ থেকে ৩০০ বস্তা একসঙ্গে একটি ঘরে রাখা হয়। সেই ঘরে চারিদিকে কার্বাইড সাজিয়ে দেয়। যখনই ওই ভেজা ধনের জল কার্বাইডে লাগে, তখনই ঘরে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: বড়ি দিয়ে ঝোল-তরকারি বড্ড প্রিয়, জানেন ডালের বড়ি খেলে কী হয় শরীরে?
ধোঁয়া ভর্তি বন্ধ ঘর অন্ততপক্ষে তিন দিন থাকে। তারপর দরজা খুলে ধনে বের করেন ব্যবসায়ীরা। তখন ধনের গায়ে আর সেই গাঢ় বাদামি রং থাকে না। আপনারা যে ধনে খান, সেই চকচকে রংটা ফুটে উঠে ধনের গায়ে। কলকাতার পোস্তা বাজারে ধনে পাইকারি যারা বিক্রি করছেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের এই চকচকে জিরে পছন্দ হয়। তাই তারা নাকি বিক্রি করেন।’
advertisement
এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ডক্টর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘যে ঘরে ধনে রাখা হয়, সে ঘরে যদি হিউমিডিটি বেশি থাকে তাহলে ধনেতে ফাঙ্গাল বৃদ্ধি হতে পারে এবং মাইকো টক্সিন তৈরি হতে পারে। যা মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এছাড়াও গাঢ় বাদামি রং দূর করতে গিয়ে, যেভাবে ব্লিচিং দেওয়া হয় তাতে নিঃসন্দেহে ওরা ক্লোরিন ব্যবহার করে। যদি সেই ক্লোরিন ব্যবহার হয়, তাহলে ওটি কিন্তু কারসিনোজেন, যা ক্যানসারের সম্ভাবনা তৈরি করে।’
advertisement
শঙ্কু সাঁতরা
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
November 24, 2023 5:26 PM IST