#কলকাতা: এবার বিদ্যুৎ চুরি রুখতে কলকাতা পুরসভা তৎপর। হুকিং করতে গিয়ে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। কখনও মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে এই শহরে। এবার তাই শহরজুড়ে কলকাতা পুরসভার মাস্টার প্ল্যান। চলবে নজরদারি। আপাতত নজর বস্তিতে।
বিদ্যুৎ খুঁটি থেকে হুকিং ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার আলো বিভাগের। জোরকদমে এলাকা চিহ্নিতকরণ করে বিদ্যুৎ চুরি রোধ করতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন এক্সিকিউটিভ অফিসাররা। জানালেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ আলো বিভাগ সন্দীপ রঞ্জন বকশি।
আরও পড়ুন- টাকার পাহাড়! কোটি কোটির বান্ডিল দেখে থ বাংলা, নেটপাড়ায় টালিগঞ্জ vs বেলঘরিয়াতিনি জানান, ইতিমধ্যে বৈঠক করে পুরআধিকারিকদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা ঘটেছে, সেখানে অবিলম্বে বেআইনি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।
মেয়র পরিষদ সন্দীপ রঞ্জন বকশি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে বস্তি অঞ্চলে এই ধরনের বেআইনি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর অভিযোগ, বিদ্যুৎ চুরি ঠেকাতে লাইন কেটে দেওয়ার পরদিনই আবার চুরির চেষ্টা করা হচ্ছে।
একাধিক এলাকাগুলির ব্যাপারে পুলিশ রিপোর্ট করা হয়েছে। এমনকী এফআইআর করছে কলকাতা পুরসভার কর্তৃপক্ষ। মেয়র পরিষদ বিদ্যুৎ ও আলো সন্দীপ রঞ্জন বকশি বলেন, যেভাবে পর পর বিদ্যুৎ চুরি এবং দুর্ঘটনা ঘটছে তাতে কড়া পদক্ষেপ নিতেই হবে।
কলকাতা পুরসভার সূত্রের খবর, শহরজুড়ে ১২ টি অঞ্চলকে চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। সেইসব এলাকায় বিদ্যুৎ চুরির প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ ও আলো বিভাগের পক্ষ থেকে বোরো ভিত্তিক বৈঠকে স্থানীয় কাউন্সিলরদের মানুষকে সচেতন করার আবেদন জানিয়েছেন মেয়র পরিষদ সন্দীপ রঞ্জন বকশি।
আরও পড়ুন- পাল্লা ভারী বেলঘরিয়ায়! রথতলা থেকে উদ্ধার টাকা ছাপিয়ে গেল টালিগঞ্জের অঙ্ককেসচেতন হয়ে স্বেচ্ছায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করলে ভাল, না হলে পুরসভা থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দেন মেয়র পরিষদ। কোনওভাবেই বিদ্যুৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।
অনেক ক্ষেত্রে এই বিদ্যুৎ চুরি ঠেকাতে পদক্ষেপের সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। অনেক জায়গায় মানুষ নিজের থেকেই যোগাযোগ করে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ করার জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের স্থানীয়ভাবে সাহায্যও করা হচ্ছে বলে জানালেন মেয়র পরিষদ বিদ্যুৎ ও আলো সন্দীপ রঞ্জন বকশি।
কলকাতা পুরসভা থেকে এই ধরনের বিদ্যুৎ সচেতনতার ক্যাম্প করারও ভাবনা-চিন্তা রয়েছে। সাধারণভাবে ওয়ার্ড ভিত্তিক ও বরো ভিত্তিক এই সচেতনতা প্রচারে কতটা কাজ হয় দেখে নিয়ে তার পর এলাকাভিত্তিক ক্যাম্প করে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ঠেকাতে পদক্ষেপ নেমে কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষ।
কলকাতা পুর এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের দায়িত্ব সিইএসসির। ইতিমধ্যে সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর ঠিক হয়েছে, যারা স্বেচ্ছায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবেন তাদের আবেদন মেনে মিটার সহ দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে কলকাতা পুরসভা ও সিইএসসি কর্তৃপক্ষ।।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।