#কলকাতা: হরিদেবপুরকাণ্ডে আরও এক বার সেই সমন্বয়ের অভাব প্রকাশ্যে এল। এ নিয়ে বুধবার ঘটনাস্থলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র পরিষদ তারক সিং।
হরিদেবপুরকাণ্ডে পুরসভার গাফিলতি স্পষ্ট। আলোক বিভাগ থেকে নিকাশি সর্বত্র গাফিলতির চূড়ান্ত। শাস্তি পেলেন আলোক বিভাগের আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন নিকাশি বিভাগের কর্তা। পুরসভার সমন্বয়ের অভাব মেটাতে তিন বিভাগকে নিয়ে তৈরি কমিটি। সেই কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যাবেন।
বৃষ্টির পর কয়েকদিন কেটে গেলেও জল নামেনি এলাকায়। রবিবার সন্ধ্যায় সেই জমা জলের মাঝেই বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় কিশোর। যদিও জমা জলে বিদ্যুৎ না থাকায় সব দায় গিয়ে বর্তায় আলো বিভাগের ওপর।
আরও পড়ুন: হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের অসহায় মৃত্যু, চূড়ান্ত গাফিলতির ইঙ্গিত রিপোর্টে!
অবশেষে বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মেয়র পারিষদ নিকাশি তারক সিং। পরিদর্শনে ছিলেন কেইআইআইপির ডিজি সৌম্য গঙ্গোপাধ্যায়। পরির্দশন করতে গিয়েই এলাকাবাসীর ক্ষোভ আঁচ করেন তারক সিং। জমা জল সময় মতো না সরায় পুরসভার গাফিলতির কথা স্বীকার করে নেন মেয়র পরিষদ। এর পরে কেইআইআইপির কাজের বেহাল অবস্থা নিয়ে ডিজিকে ধমকও দেন। সেখান থেকে ফিরে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এলাকার ম্যাপ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ মিটিং করেন।
পরে পুর কমিশনার বিনোদ কুমার-সহ কেইআইআইপি ও পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকেরাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বৈঠকে হরিদেবপুর অঞ্চলে জমা জলের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হরিদেবপুরে কিশোর-মৃত্যুর ঘটনার পর ল্যাম্পপোস্টের অবস্থা দেখতে মাঠে কলকাতা পুরসভা
আলোচনার শেষে তারক সিং জানান, ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। যার সমাধান অবিলম্বে দরকার। কিন্তু কোথাও একটা বিভিন্ন বিভাগের ডি জি দের সমন্বয়ের অভাব হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি। ওই এলাকায় জল এবং নিকাশির সমস্যা রয়েছে। হরিদেবপুর এর সোদপুর থেকে নিয়ে বেহালা মহাত্মা গান্ধী রোড পর্যন্ত জলের লাইনের জন্য নিকাশির পাইপ লাইনের পরিধি বাড়ানো যায়নি। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা থাকলেও তা নিয়ে নিকাশি বিভাগ এতদিন নাকি অন্ধকারে ছিল।
সমস্যা মেটাতে এই কাজকে দু'ভাগে ভাগ করে নিকাশির কাজ হবে বলে জানান তারক সিং। এ জন্য একটা ম্যাপ তৈরি হয়েছে। সেই ম্যাপ কে সামনে রেখেই আগামী দিনে ওই অঞ্চলে নিকাশির কাজ হবে। তিনি জানান, এই দুই ওয়ার্ড ১১৫ এবং ১২২ মধ্যে কোথায় একটা যোগাযোগের অভাব রয়েছে। যোগাযোগ এর অভাব রয়েছে কেইআইআইপি এবং নিকাশি ও পানীয় জল সরবরাহ বিভাগের মধ্যেও।
BISWAJIT SAHA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Electrocution, Haridevpur, Kolkata Municipal Corporation