২০২৩-এ পড়া শেষ করলেই চাকরি বাংলায়! কম্পিউটারে বামেদের বিঁধে ঘোষণা ফিরহাদের
- Published by:Suman Biswas
Last Updated:
Firhad Hakim: বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-এ যারা পাস করবে তাদের জন্য ক্যাম্পাসিং চলছে।
কলকাতা: ২০২৩-এ পড়া শেষ করলেই চাকরি বাংলায়। কম্পিউটার ব্যবহারে বাধা দিয়ে রাজ্যের যুব সমাজকে পথে বসিয়েছিল বামেরাই। এমনই মন্তব্য করলেন ফিরহাদ হাকিম।
বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-এ যারা পাস করবে তাদের জন্য ক্যাম্পাসিং চলছে। তাদের চাকরিও পাকা এ রাজ্যে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আজ এমন দাবি করলেন রাজ্যের পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আয়োজিত এক শিক্ষামেলায় এমন মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রীর। একই সঙ্গে তিনি বিরোধীদের সমালোচনা করে বলেন, রাজ্য থেকে ব্রেইন ড্রেন হচ্ছে বলে যারা বলেন তাদের দেওয়া তথ্য সঠিক নয়। রাজ্যে প্রকৃত কারিগরি শিক্ষার চিত্র এটাই।
advertisement
advertisement
কলকাতায় কম্পিউটার ব্যবহারে বাধা দেওয়া হয়েছিল বামেদের আমলেই। সেই কম্পিউটারের প্রোজেক্ট চলে যায় ভিনরাজ্যে। আর তার সঙ্গেই সেই সময় যুব সমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ই রাজ্য থেকে শিক্ষিত বেকার যুবকদের ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়া শুরু হয়।
advertisement
২০১১ রাজ্যে ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেকনোলজিকে আপন করে নেন। শুধু সরকারি ক্ষেত্র নয় বেসরকারি ক্ষেত্রেও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা তৈরি করা হয়। বেসরকারি সংস্থার শিক্ষা মেলায় বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রের মানের উন্নয়নকে এভাবেই তুলে ধরলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
advertisement
এই অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও ছিলেন শশী পাঁজা, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে টেকনোলজি, কারিগরি, ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার উন্নতি নিয়ে বলতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ১৯৭৯ প্রথম কলকাতায় কম্পিউটার এসেছিল একটি ব্যাঙ্কে। তখন লাল ঝাণ্ডা নিয়ে এসে ঘিরে আটকে রাখা হয়। কম্পিউটার ব্যবহারে বাঁধা দিয়েছিল তাঁরা। জ্যোতি বসুও সভা করেন। ৬ মাস পরে থেকে সেটা হায়দ্রাবাদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। টেকনোলজি নাকি চাকরি খেয়ে নেবে লোকজনের। তাই কম্পিউটারকে ঢুকতে দিচ্ছি না দেব না বলে আটকানো হলো। সেদিনই আমাদের বাংলার ভাগ্যটা শেষ হয়ে গেল। সেটাই সত্যিকারে ঐতিহাসিক ভুল ছিল। সেদিন টেকনোলজির উন্নতি সব ভিনরাজ্য হায়দ্রাবাদ ব্যাঙ্গালোরে চলে গেল।সেদিনের স্মৃতিচারণ করে ফিরহাদ বলেন, আমরা যারা তখনকার যুবক ছিলাম, আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেল।
advertisement
সব অন্ধকারের পেছনেই তাকে আলো। অনেক ভুল স্বীকার করে সেক্টর ফাইভ হলো। প্রথমে কিছু ডাটা এন্ট্রির অফিস হয়েছিল। সেদিনের বাঙালি আশা ছাড়েনি। ২০১১ সালে এলো সেই সন্ধিক্ষণ। টেকনোলজিকে আপন করে নিল বাংলা। সব সরকারি কাজ ই এখন ডিজিটাল ফাইল। আমার ছেলে আমার মেয়েকে এখনো বাইরে কাজে যেতে হচ্ছে সেই দুঃখ রয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়ন করতে পারেন ম্যাজিক নয়। তবে আগামী দিনে সেই ঘরের ছেলেরা যাতে ঘরের কাজ পায় তাই সিলিকন ভ্যালিতে আসছে একের পর এক বিনিয়োগ।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
August 17, 2022 8:32 PM IST