Kolkata Dara Singh Akhara: কুস্তিগীরদের উচ্ছেদ! আইনের কুস্তির ময়দানে বেকায়দায় কলকাতার সুপ্রাচীন দারা সিংয়ের আখড়া!

Last Updated:

Siyaram Wrestling Akhara: কলকাতা বন্দরের তরফে তাদের কাছে একটা নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে মাসিক কিস্তির টাকা মেটাতে হবে।

মল্লিকঘাট ফুল বাজারে রয়েছে বিখ্যাত কুস্তির আখড়া
মল্লিকঘাট ফুল বাজারে রয়েছে বিখ্যাত কুস্তির আখড়া
#কলকাতা: কুস্তির মারপ্যাঁচ দিতে গিয়ে এবার নিজেরাই প্যাঁচে পড়লেন কুস্তিগীররা৷ কলকাতার অন্যতম পুরানো আখড়া সিয়ারাম ব্যায়াম আখড়ার অস্তিত্ব সংকটে। কারণ কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটা নোটিশ। হাওড়া ব্রিজের নীচে, মল্লিকঘাট ফুল বাজারে রয়েছে বিখ্যাত কুস্তির আখড়া। প্রায় ৭০ বছরের পুরোনো এই আখড়া। যা শহর কলকাতার মুখে মুখে দারা সিংয়ের আখড়া নামেই পরিচিত হয়ে আছে। মল্লিক ঘাট ফুলবাজারের রাস্তা ধরে গঙ্গার ঘাটে এসে নামলেই দেখা মিলবে এই সুপ্রাচীন আখড়ার। যেখানে প্রতিদিন সকাল ৬'টা থেকে মুলতানি মাটি মেখে চলে কুস্তির অনুশীলন।
প্রায় ৬০ জনের মতো এখানে প্রশিক্ষণ নেন। আখড়ার কথা অনুযায়ী বিনা পয়সায় চলে এই প্রশিক্ষণ। কোনও অর্থ কারও থেকে নেওয়া হয় না। আর এখানে প্রশিক্ষণ নিতে বর্ধমান থেকেও অবশ্য ছেলেরা আসেন। এহেন আখড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আখড়ার গুরুজি জোয়ালা তিওয়ারি জানিয়েছেন, কলকাতা বন্দরের তরফে তাদের কাছে একটা নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে মাসিক কিস্তির টাকা মেটাতে হবে। সেই টাকা না মেটাতে পারলে ১৫ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে আখড়া৷ কার্যত তাদের জবরদখলকারী হিসাবে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
advertisement
আখড়ার গুরুজি বলেন, "আমাদের টাকা মেটানোয় কোনও অসুবিধা নেই৷ কিন্তু ৪৭০ টাকা মাসিক বিলের বদলে ৭৬ হাজার টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।" গুরুজির ছেলে সুরজ নিজেও একজন জাতীয় স্তরের কুস্তিগীর। একাধিক পদক জিতেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, "বাবা পার্কিং লটে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করেন৷ সেখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই আখড়া চলে।" এছাড়া আখড়ায় মন্দির আছে। গো-পালন করা হয়ে সেখান থেকেও প্রাপ্ত অর্থের কারণে সমস্যা হয় না। যদিও বন্দর তাদের ডোমেস্টিকের বদলে, কমার্শিয়াল হিসাবে বিবেচিত করে বসে আছে। তাই টাকার অঙ্ক এক ধাক্কায় কয়েক হাজার গুণ বেড়ে গেছে।
advertisement
এই আখড়া গঙ্গা সেবা সমিতি ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত। ফলে টাকা জমা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। আখড়ার আর এক জাতীয় স্তরের কুস্তিগির রোহিত সিং জানান, এই চত্বরে প্রচুর যুবক ছিল মাদকাসক্ত। তাঁদের এনে চর্চা করিয়ে, ব্যায়াম করিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানো হয়৷ টাকার জন্য আখড়া বন্ধ হয়ে গেলে সেই কাজেও বাধা আসবে।কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে তাদের জায়গা ব্যবহার করে এই সব করা হয়েছে। তাই এস্টেট ম্যানেজার যথাযথ কারণেই নোটিশ পাঠিয়েছেন।
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Kolkata Dara Singh Akhara: কুস্তিগীরদের উচ্ছেদ! আইনের কুস্তির ময়দানে বেকায়দায় কলকাতার সুপ্রাচীন দারা সিংয়ের আখড়া!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement