#কলকাতা: এবার পুরভোটে প্রায় ২৩ হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়ন হচ্ছে। রাজ্য সরকার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে(State Election Commission) কলকাতা পুরভোটের দিন বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছে তা হল, সবকটি ভোটগ্রহণকেন্দ্রে অন্তত ২ জন করে সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ থাকবে (Civic Poll 2021)। মোট কত বাহিনী থাকবে তা নির্ভর করবে ওই ভোটগ্রহণকেন্দ্রের বুথ সংখ্যার ওপর। এর মধ্যে লাঠিধারী পুলিশ ও হোমগার্ডও থাকবে।
কমিশন (State Election Commission) জানিয়েছে, কলকাতা পুরভোটের দিন মোট ২৮৬ টি সেক্টরের প্রতিটিতে অন্তত ২ জন করে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। এছাড়া থাকবে আর টি মোবাইল মোট ৭২ টি, হাই রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ৩৫ টি, কোথাও কোনও আইন শৃঙ্খলা জনিত ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থাকবে কুইক রেস্পন্স টিম ৭৮ টি এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স ৮০ টি।
আরও পড়ুন: ভোটকর্মীদের দেওয়া হবে ২৫০ টাকা শীতকালীন ভাতা! পুরভোটে নয়া সিদ্ধান্ত কমিশনের...
বাহিনী সংক্রান্ত এই হিসাবের পাশাপাশি কমিশনের (State Election Commission) সঙ্গে আলোচনাক্রমে ঠিক হয়েছে সব স্পর্শকাতর বুথে সিসিটিভি রাখা বাধ্যতামূলক। এই স্পর্শকাতর বুথগুলির মধ্যে অন্তত ২৫ % বুথে ভোটের দিন ভোট শুরু থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত ভিডিওগ্রাফি করা হবে। সর্বদল বৈঠকে ভোটের নিরাপত্তা ও বুথ (Civic Poll 2021) পাহারায় কোনভাবে সিভিক পুলিশকে দায়িত্ব না দেওয়ার দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। কমিশন এ বিষয়ে বিরোধীদের দাবি মেনে আসন্ন পুরভোটে কোন সিভিক পুলিশ ব্যবহার করা যাবে না বলে সরকরকে জানিয়ে দিয়েছে। তবে, লাঠিধারী এবং হোমগার্ডরা বুথের সাধারণ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন:অভিষেকের বৈঠকে গরহাজির! নুসরত, মিমিকে শো-কজ করবে তৃণমূল?
এদিকে, আজ আদালতে পুর মামলার রায় না পেয়ে কার্যত হতাশ বিজেপি (BJP On Civic Poll)। গতকালের পর আজ তারা আশা করেছিল উচ্চ আদালত এ বিষয়ে আজ তাদের রায় জানাবেন। কিন্তু আদালতে আজও মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় এখন তারা সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে। এরইমধ্যে আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনে (Civic Poll 2021) গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভিভিপ্যাট-যুক্ত ইভিএম ছাড়া অবাধ ও স্বচ্ছ পুরভোট সম্ভব নয় বলে জানিয়ে এলেন শুভেন্দু অধিকারী, দীনেশ ত্রিবেদীরা।
আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া নিরপেক্ষ ভোট সম্ভব নয়, ফের ট্যুইট করলেন রাজ্যপাল
গোড়া থেকেই বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের নির্দেশেই পরিচালিত হচ্ছে। সে কারণে এই কমিশনের ওপর তাদের কোন আস্থা নেই। আজ রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোট করানোর কথা রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে জানানোর পর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি আদায়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজভবনে দরবার করল বিজেপি। তবে, রাজনৈতিক মহলের মতে, আসলে এটা রাজ্য সরকার ও কমিশনের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল৷
কলকাতা পুরভোট নিয়ে একদিকে সুপ্রিম কোর্ট, অন্যদিকে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চাইলেও, বিজেপির আসল লক্ষ্য বাকি ১১১ টি পুরভোট। কারণ, সংগঠন ও শক্তির নিরিখে কলকাতা পুরসভায় বিশেষ কিছু সাফল্য পাওয়ার এখনই যে কোন সম্ভাবনা নেই, সেটা বিলক্ষণ জানে বিজেপিও। কিন্তু, বাকি পুরভোটের ক্ষেত্রে বিশেষত উত্তরবঙ্গ, মেদিনীপুর ও রাঢ়বঙ্গে ভোটে তাদের কিছুটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে, কেন্দ্রীয় বাহিনী-সহ অন্যান্য দাবি আদায় করতে পারলে, লড়াই করার মত জমি পেতে পারে বিজেপি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।