হোম /খবর /কলকাতা /
স্বাস্থ্যসাথী থাকলেই মিলবে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার'!কারা পাবেন সুবিধা, নির্দেশিকা জারি

Laxmir Bhandar: স্বাস্থ্যসাথী থাকলেই মিলবে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্প! কারা কারা পাবেন সুবিধা, নির্দেশিকা জারি শিশু সুরক্ষা ও পরিবার কল্যাণ দফতরের

লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে এবার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের শিশু সুরক্ষা ও পরিবার কল্যাণ দফতর।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে এবার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের শিশু সুরক্ষা ও পরিবার কল্যাণ দফতর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মহিলাদের জন্য "লক্ষ্মীর ভান্ডার" এর মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। রাজ্যের শিশু সুরক্ষা ও পরিবার কল্যাণ দফতর মহিলাদের প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা করে ও এসসি-এসটি দের ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম বিধি তৈরি করেছে শিশু সুরক্ষা ও পরিবার কল্যাণ দফতর। গত ৩০ জুলাই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে:

১) স্বাস্থ্যসাথী স্কিমে যারা ইতিমধ্যেই নথিভূক্ত রয়েছেন সেই সমস্ত মহিলারাই লক্ষীর ভান্ডার এর সুবিধা পাবেন গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চলে

২) রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে তাঁকে। বয়স ২৫ থেকে ৬০ এর মধ্যে হতে হবে।

৩) সরকারি কর্মচারী বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কেন্দ্রের ও রাজ্যের, কোনও স্বশাসিত সংস্থা, সরকারি নিয়ন্ত্রিত কোনও সংস্থা, পঞ্চায়েত, মিউনিসিপালিটি, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, সরকারি স্কুল গুলির ক্ষেত্রে বা যদি কেউ নিয়মিত বেতন বা পেনশন পান তাঁরা এই সুবিধা পাবেন না।

৪) আর্থিক সুবিধা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক থাকতে হবে।

৫) দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিনামূল্যে এর অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পাওয়া যাবে।

৬) এক্ষেত্রে যদি আবেদনকারীর স্বাস্থ্যসাথী বা আধার কার্ড না থাকে তাঁকে প্রথমে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ দেওয়া হবে। সঙ্গে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বা আধার কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।

৭) দুয়ারে সরকারের মতোই এই ক্ষেত্রেও সরকারি আধিকারিকরা আবেদন গুলোকে যাচাই করবে।

৮) তথ্য যাচাই করার পর গ্রামাঞ্চলে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার এবং শহরাঞ্চলে সাব ডিভিশনাল অফিসাররা আবেদনপত্রগুলি পোর্টালে তুলবে এবং সেক্ষেত্রে যারা যোগ্য বলে বিবেচিত হবে তাদের নাম জেলাশাসকের কাছে পাঠাতে হবে।

৯) কলকাতার ক্ষেত্রে একইভাবে তা করতে হবে এবং কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কমিশনার এক্ষেত্রে চূড়ান্ত ভাবে জানিয়ে দেবেন।

১০) আবেদনকারীরা এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য কি না তা ঠিক করবে জেলাগুলির ক্ষেত্রে জেলাশাসকরা এবং কলকাতার ক্ষেত্রে কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কমিশনার।

১১) আর্থিক সুবিধা প্রয়োজনে স্থগিত রাখা হতে পারে, বিশেষত তিনি যদি ভুল তথ্য দেন।

প্রসঙ্গত শুক্রবারই মুখ্যসচিব রাজ্য শাসকদের সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বিস্তারিত বৈঠক করেছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। যেহেতু এই প্রকল্প প্রথম করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রচুর ভিড় হবে। তাই করোনা বিধি যাতে মেনে চলা হয় সেই বিষয়েও জেলাশাসকদের এদিন প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published by:Swaralipi Dasgupta
First published:

Tags: West Bengal news