কলকাতা: কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে গন্ডগোলের মামলায় রিপোর্ট পেশ করলেন পুলিশ কমিশনার। এই রিপোর্টে আমরা সন্তুষ্ট নই, মন্তব্য বিচারপতি টি.এস. শিবাগননাম-এর। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের এলাকায় ২৫০ এর বেশি ছাপাখানা আছে , যার মধ্যে ৩৯ টির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রিপোর্টে জানিয়েছেন সিপি।
পোস্টারের কালি এবং কাগজ সিএফএসএল কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সিএফএসএল জানিয়েছে যে পোস্টার এবং কালি থেকে ছাপাখানা সনাক্ত করার পরিকাঠামো তাদের নেই।- রিপোর্টে জানিয়েছেন সিপি। যারা পোস্টার লাগাতে এসেছিল তাদের সবাই মাস্ক পরেছিল, ফলে তাদের সনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে । -রিপোর্টে জানিয়েছেন সিপি। ৭ জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। - রিপোর্টে জানিয়েছেন সিপি। এই রিপোর্ট ৬ ব্যক্তির নাম জানিয়েছেন সিপি।
আরও পড়ুন: চায়ের দোকানে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে গেল বালি বোঝাই লরি! তারপর...বর্ধমান হাড়হিম ঘটনা
তদন্তের জন্য আরও তিন সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে। সমস্যা মিটিয়ে ফেলার পক্ষে সওয়াল করেন রাজ্য বার কাউন্সিলের আইনজীবী কিশোর দত্ত। এটা বেশিদিন চলুক সেটা আমরাও চাইনা। তবে এই মামলার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। আমি আগে যে হাইকোর্টে ছিলাম সেখানে বিভিন্ন দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন বা কর্মবিরতি করতেন আইনজীবীরা। কিন্তু এখানে একজন বিচারপতির নামে অভিযোগ করা হচ্ছে, তার ছবি সামনে এনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। সেই বিচারপতি নিজে স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন, প্রধান বিচারপতিকে পাঠিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি নিজে এই মামলা গ্রহণ করে এখানে পাঠিয়েছেন। জানালেন বিচারপতি টি.এস. শিবাগননাম।
আরও পড়ুন: ডুয়ার্সপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত খারাপ খবর, মূর্তির উপর বন্ধ সেতু! চিন্তায় ব্যবসায়ীরাও
শনাক্তকরণের কাজ অত্যন্ত সতর্কভাবে করতে হবে। একজন নির্দোষ আইনজীবীকে যেন সনাক্ত করা না হয়। মন্তব্য বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেন তিন বিচারপতি। ফুটেজ দেখে গন্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করবে রাজ্য বার কাউন্সিল। এই কাজে তাদের সাহায্য করবেন আইনজীবীদের তিনটি সংগঠন। নির্দেশ তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের।
আপনারা শনাক্ত না করতে পারলে আমরা ক্ষমতাহীন নই, আমরা খুঁজে নেব। মন্তব্য বিচারপতি টি.এস. শিবাগননামের। সরকারি আইনজীবীরা বিচারপতি মান্থার এজলাসে যাচ্ছেন না এটা অত্যন্ত বাজে ব্যাপার। আগেও অন্য এজলাসের ক্ষেত্রেও এই ব্যাপার ঘটেছে। এটা ঠিক নয়। এটা একদমই গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশ না প্রশাসনিক আধিকারিকদের মামলার সময় উপস্থিত থাকতে হচ্ছে, তারা সওয়াল করতে পারছেন না। মন্তব্য বিচারপতি টি.এস. শিবাগননামের।
সার্কুলার জারি করে বলে সরকারকে বলে দিন যে আমরা বিচারপতি মান্থার এজলাসে যাবো না, আপনারা বুঝে নিন।এটাও বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা দানের চেষ্টা। এটা নিয়েও অবমাননার মামলা হতে পারে। - সরকারি আইনজীবীকে উদ্দেশ করে মন্তব্য বিচারপতির। শীর্ষ স্থানীয় যে ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে বিচারপতি মান্থার এজলাসে সরকারি আইনজীবীরা যাবেন না তাকে বলুন এটা ঠিক হচ্ছেনা। প্রয়োজনে আমরা ১৩ নম্বর এজলাসের জন্য প্যানেল তৈরি করে দেব। - মন্তব্য বিচারপতির। ১৫ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।