কলকাতা : আগামিকাল বুধবার শহিদ মিনারে তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র ও যুবদের সভার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী, ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চ ও তৃণমূল ছাত্র যুবদের মঞ্চ দুটি স্তরে ব্যারিকেড করা থাকবে৷ এছাড়াও মানতে হবে আরও বেশ কিছু শর্ত।
*বাঁশের এবং ১০ ফুট উচ্চতার টিনের বেড়া, এই দুটি ব্যারিকেডে আলাদা থাকবে দুটি কর্মসূচি।
*সম্পূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থাপনায় হবে সভা। সিসিটিভি ক্যামেরার নজরে শহীদ মিনার মুড়ে ফেলতে হবে।
*মিছিল প্রবেশ পথে থাকবে সিসিটিভি। উস্কানিমূলক মন্তব্য বা বক্তব্য ছোঁড়া যাবে না মিছিল থেকে৷
*একইরকমভাবে ডিএ আন্দোলনকারীদের থেকেও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না। শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে সভা।
*শর্ত মেনে সভা করার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে দায়বদ্ধ থাকবে কলকাতার যুগ্ম কমিশনার।
*সমস্ত ব্যারিকেড সরিয়ে দিতে হবে সভা শেষের পর৷
তবে একইসঙ্গে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, "পুলিশের আমন্ত্রিত সমস্যা এটা।" তাঁর প্রশ্ন, "শহরে আর কোনও জায়গা নেই সভা করার? কেন পুলিশ এমন আশঙ্কা আঁচ করেও অনুমতি দিল।" বিচারপতি মান্থা বলেন, "পুলিশ কমিশনারকে মাথায় রাখতে হবে ভবিষ্যতে যেন একই জায়গায় দুটি কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়া হয়।" "কলকাতায় আরও অনেক বড় জায়গা আছে। ট্র্যাফিক সামলাতে পারলে রেড রোডে অনুমতি দিয়ে দিন। আরও প্রচার পাবে।" মন্তব্য বিচারপতির।
বিচারপতি এদিন আদালতে বলেন, "আদালত প্রত্যাশা করে তৃণমূল ছাত্রযুবর তরফ থেকে অশান্তির কোন উস্কানি দেওয়া হবে না। যদি এরকম হয় তার ফল ভাল হবে না।" অন্যদিকে ডিএ আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, বিক্রম বন্দোপাধ্যায় বলেন, "সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ বারবার হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে। নওশাদ সিদ্দিকীকে হেনস্থা করা হয়েছে। মঞ্চ উঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে একই জায়গায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।"
আরও পড়ুন: ব্যাগের মধ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার...! দেখেই চক্ষু চড়কগাছ! আঁতকে উঠলেন কাস্টমস অফিসাররা
মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, "অন্যত্র কি এই সভা করা যায় না। ঘটনা ঘটে গেলে নিয়ন্ত্রণ করার কী দরকার? আগে থেকেই তো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। অযথা সমস্যা তৈরি করার কী দরকার ? কলকাতায় কি আর কোন জায়গা নেই? TMCP র আবেদন জমা পরার পরে পুলিশ কি তাদের জিজ্ঞাসা করেছিল যে অন্য কোথাও এই সভা করা সম্ভব কিনা ?" প্রশ্ন বিচারপতির।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রত্যেকের সভা, মিছিল করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু মামলাকারীদের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মামলায় এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, হিংসা বাংলায় নতুন কোনও ঘটনা নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক জমানাতেই হিংসার ঘটনা ঘটেছে। শুধু এখানে নয়, সব রাজ্যেই ঘটেছে।" অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, জানান, "আদালত পুলিশের ওপর আস্থা রাখুক।
অর্ণব হাজরা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Calcutta High Court, TMCP