#কলকাতা: বাম আমলের বিধানসভা ভাঙচুরের মামলার তথ্য জানতে চাইলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর করা ক্রিমিনাল রিভিশনের মামলায় বিচারপতি বিবেক চৌধুরী জানতে চান, "বাম আমলে বিধানসভায় ভাঙচুরের মামলা এখন কী অবস্থায় রয়েছে? সেই মামলা গুলির কী হয়েছে ? কী পদক্ষেপ হয়েছে সেই মামলা গুলির ক্ষেত্রে? বিধানসভার প্রাচীণ স্থাপত্য ভাঙচুর হয়েছে, হেরিটেজ ভাঙচুর হয়েছে। আসবাব ভাঙচুর হয়েছে । সেগুলির ক্ষেত্রে কী হয়েছে ? তখনকার বিরোধীরা এখন শাসক হয়েছে। বর্তমান শাসক যখন করেছিলেন তখন সেটা বিধানসভার অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল, তাহলে এখন কেন আদালতে মামলা আসছে ?"
বিধানসভার সচিবের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি চৌধুরী আরও জানান, "কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে দুপুর ২ টায় হাজির হয়ে এর জবাব দেওয়া উচিত নয় কি?" বিচারপতি চৌধুরী পরপর বলেই চলেন ৪২ নম্বর আদালত কক্ষে।"একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমি জানতে চাই বিধানসভা ভাঙচুর মামলার বর্তমান পরিস্থিতি কি ?" মন্তব্য বিচারপতি'র।
চলতি বছরের মার্চ মাসে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলার সময় চার তৃণমূল বিধায়ককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হয় FIR। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী, সৌমেন রায় এবং তন্ময় ঘোষদের হুমকির অভিযোগ ওঠে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৬,১৮৯,৫০৬(২), ৩৪১ ধারায় দায়ের হয় FIR। ১৭ ই মার্চ FIR দায়ের হয় এবং ২৯ শে জুন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১A ধারায় নোটিশ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: নতুন পরিকল্পনা তৃণমূলের, গ্রামে-গ্রামে যাচ্ছেন নেতারা! লক্ষ্য কিন্তু স্পষ্ট
হেয়ার স্ট্রিট থানার FIR এবং তদন্ত প্রক্রিয়া খারিজের দাবিতে আদালতে আসেন শুভেন্দু। যেহেতু এটা বিধানসভার ভিতরের ঘটনা এবং অধিবেশন চলার সময় এই ঘটনা ঘটেছে তাই এটা পুলিশের বিচার্য বিষয় নয়। আদালতে সওয়াল করে জানান শুভেন্দুর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার। তিনি আরও জানান,বিধানসভা ভোটের পর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়।মামলার অপব্যবহার ছাড়া কিছু বলা যায়না একে। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশ রয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা বা অন্য কোনো কঠোর তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়ার আগে আদালতের অনুমতি নেওয়ার। কয়েকদিন আগে নেতাই গণহত্যায় মৃতদের শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সেখানে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতার নেতাই যাওয়ার ব্যাপারে পুলিশ সহযোগিতা করবে। কিন্তু পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। আদালতের নির্দেশ সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা হয়।
আরও পড়ুন: ডাল চোর! বাংলার অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে চাঞ্চল্যকর চুরি, তাজ্জব গোটা এলাকা
ডিজি এসপির বিরুদ্ধে সেই কারণে আদালত অবমাননার রুল জারি হয়।বিধানসভা সচিবের পক্ষের আইনজীবী অয়ন ভট্রাচার্য মামলায় কোনও রকম স্থগিতাদেশ না দেওয়ার আর্জি জানান। এরপরেই বিচারপতি বিবেক চৌধুরী কার্যত ক্ষুব্ধ হন বিধানসভার ভিতরের বিষয় আদালতে জল গড়ানো নিয়ে। বাম আমলের বিধানসভা ভাঙচুরের ঘটনারও উল্লেখ করেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।