কলকাতা: ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কৌশল নিয়েছিলেন অনুব্রত। আয়কর দফতরের নজর এড়াতে নিয়েছিলেন পরিকল্পনা, চার্জিশিটে দাবি করল ইডি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বৃহস্পতিবার গরু পাচার মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। ইডি সূত্রের দাবি, সেই চার্জশিটে অনুব্রত, তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, তাঁদের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির নাম রয়েছে।
চার্জশিটে ইডি-র দাবি, অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর মেয়ে এবং পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সংস্থায় সব মিলেয়ে মোট ১২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা জমা করেন নগদে। আর এই টাকা জমানোর অত্যন্ত সুকৌশলে করা হয়েছিল বলেই দাবি ইডির।
সেই অ্যাকাউন্টগুলি স্ক্রুটনি করতে গিয়ে অবাক হয়েছেন তদন্তকারীরা। কোনও সময় ৪৯ হাজার টাকা, কখনও ৯৯, ৯৯০ হাজার টাকা, আবার কখনও ১,৯৯,৯৯৯ টাকা জমা পড়েছে। এমনই Odd বা suspicious অঙ্কের নম্বরে বিপুল টাকা জমা করেছে অ্যাকাউন্টগুলিতে।
চার্জশিটে ইডির দাবি, ব্যাঙ্ক বা আয়কর দফতরের নজর এড়াতে বা যিনি টাকা জমা করছে তা পরিচিতি গোপন রাখতে এভাবে নগদে টাকা জমা করা হয়েছিল।
কারণ, ৫০ হাজারের বেশি টাকা জমা করলে প্যান কার্ড নম্বর দিতে হয়। তাই ৪৯ হাজার টাকা জমা হয়েছে একাধিক বার।
শুধু তাই নয়, জমাকর্তার পরিচয় গোপন রাখতেও বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছিলেন অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে। ক্যাশ ডিপোজিট মেশিনের মাধ্যমে টাকা জমা করা হত। তাতে কোনও ব্যক্তিকে ব্যাঙ্কে যেতে হত না।
তদন্তকারীদের দাবি, এই বিপুল অঙ্কের টাকার উৎস সম্পর্কে বিশ্বাসযাগ্য কোনও উত্তর দিতে পারেননি অনুব্রত বা তাঁর মেয়ে সুকন্যা। ইডির দাবি, তাদের হেফাজতে থাকাকালীন অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, ওই নগদ অর্থ তাঁর জমির দালালি এবং ধান ব্যবসা থেকে এসেছে। যদিও ইডি-র পাল্টা দাবি, তাঁর সেই দাবির সপক্ষে কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি অনুব্রত।
একইসঙ্গে এক্ষেত্রেও CA মণীশ কোঠারির উপরে দায় চাপিয়েছেন কেষ্ট। ইডির কাছে তিনি দাবি করেছেন, নগদে জমা করা টাকা কোথা থেকে এসেছিল সেব সব ব্যাখ্যা একমাত্র মণীশই দিতে পারবেন।
এদিকে ইডির কাছে অন্য দাবি করেছেন মণীশ৷ তাঁর পাল্টা দাবি, তিনি কেবল ITR সংক্রান্ত বিষয়ে জানতেন। ওইসব অ্যাকাউন্টে জমা নগদের উৎস সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।