হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
কোটি কোটির লটারি অনুব্রতর! বাপ-মেয়ের মারকাটারি লটারি ‘ভাগ্য’ কী ভাবে?

Anubrata Mondal: কোটি কোটির লটারি অনুব্রতর! বাপ-মেয়ের মারকাটারি লটারি ‘ভাগ্য’ কী ভাবে? ইডির চার্জশিটে বেরিয়ে এল 'সব'

গরুপাচার লটারি যোগের সিক্রেট ফাঁস? ইডির চার্জশিটে বিরাট দাবি!

গরুপাচার লটারি যোগের সিক্রেট ফাঁস? ইডির চার্জশিটে বিরাট দাবি!

Anubrata Mondal || Lottery: গরুপাচার লটারি যোগ কী ভাবে? অনুব্রত-সুকন্যার 'সিক্রেট প্ল্যান' নিয়ে ইডির চার্জশিটে বেরিয়ে এল 'সব'। কী ভাবে কালো থেকে সাদা হাত টাকা? তাই নিয়েও বিরাট দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটে।

  • Share this:

কলকাতা: ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা সরানো হোক, অথবা সম্পত্তি কেনা। সবটারই লক্ষ্য ছিল কালো টাকা সাদা করা। অর্থাৎ বীরভূমের মাটিকে গরু পাচারের সেফ করিডোর করে দিতে যে লাভের টাকা পৌঁছেছে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে তা সরানোর নানান ফন্দি এঁটেছিলেন তিনি। যা ইডির চার্জশিটের পরতে পরতে উল্লেখ। বাদ পড়েনি লটারি কাণ্ড। জুড়েছে বোলপুরের এম/এস গাঙ্গুলি লটারি এজেন্সি থেকে লটারি বিজেতা হিসেবে অনুব্রত ও তার মেয়ের নাম ঘোষণা এবং টাকা প্রাপ্তির কথাও।

বীরভূমের তৃণমূল নেতা কেষ্টর ১ কোটির লটারি জেতার খবরে একবার শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে লটারিকাণ্ডের কথাও। তদন্তকারীদের দাবি, একাধিক লটারির পুরস্কার জয় দেখানো ছিল আসলে গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করার অনুব্রতর আরও একটা কৌশল।

আরও পড়ুন: হঠাৎ এ কী রূপ অনুব্রত মণ্ডলের…? তিহাড়ে ‘সুকন্যা’ যেতেই আমূল ‘ভোলবদল’ কেষ্টর! কী কারণ? তুমুল জল্পনা!

বৃহস্পতিবার দেওয়া চার্জশিটে ইডির দাবি, অনুব্রত মণ্ডল অন্তত ৫ বার এবং মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল একাধিকবার লটারি জিতেছে বলে দেখানো হয়েছে। রামপদ ওরফে বাপি গাঙ্গুলি নামে লটারি ব্যবসায়ী থেকে থেকে প্রত্যেক বার লটারি কেনা হয়েছে বলে জানা যায়।

আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়…! আমফান-ইয়াস-ফণীর দগদগে স্মৃতি…! ফের চরম আতঙ্কে সুন্দরবনবাসী

সূত্রের দাবি, ইডির কাছে দেওয়া বয়ানে ওই লটারি ব্যবসায়ী দাবি করেন, তিনি ২০০৫ সাল থেকে লটারি ব্যবসা করছেন বোলপুরে। অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে তাঁকে প্রাইজ পাওয়া টিকিটের বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিতেন। সেই নির্দেশ মতো তিনি অনুব্রতর জন্য তিন বার টিকিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।  মোট ২ কোটির টাকার প্রাইজ জেতা টিকিটের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। তার মধ্যে দুবার ৫০লক্ষ ও একবার ১কোটি টাকা।

ইডির কাছে বয়ানে ওই লটারি ব্যবসায়ী আরও দাবি করেন, লটারির আসল বিজেতাকে নগদে পুরস্কারের  টাকা দিয়ে সেই টিকিট কিনে নিতেন বিশ্বজ্যোতি। পরে সেই টিকিট অনুব্রত বা তাঁর মেয়ে জিতেছে বলে খাতায় কলমে দেখানো হয়। আর এভাবে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে দাবি ইডির।

তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ইডি হেফাজতে থাকাকালীন অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন তিনি ৫ বার লটারি জিতেছিলেন। আসলে গরু পাচারে টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নি করার লক্ষ্য নিয়েই অনুব্রত ও তার কন্যা এমন পরিকল্পনা করেছিলেন বলে দাবি ইডির।

Published by:Sanjukta Sarkar
First published:

Tags: Anubrata Mondal, ED, Sukanya Mondal