Jalapaiguri: পাহাড়ী নদীর জলে ভেসে যাওয়ার ভয়ে আগেই বাদাম তুলে নিচ্ছেন কৃষকরা!
Last Updated:
জলপাইগুড়িতে পাহাড়ের নদীর জল আসার ভয় গ্রাস করছে বাদামচাষীদের। তাই জোরকদমে এখন বাদাম তুলে ফেলছেন বাদামচাষীরা।
জলপাইগুড়িঃ জলপাইগুড়িতে পাহাড়ের নদীর জল আসার ভয় গ্রাস করছে বাদামচাষীদের। তাই জোরকদমে এখন বাদাম তুলে ফেলছেন বাদামচাষীরা। লাভের মুখের আশায় তিস্তায় ভয়ংকর জল আসার আগেই জলপাইগুড়ি খড়িয়া অঞ্চলের অন্তর্গত সুকান্ত নগর এলাকার তিস্তা নদীর বালির চড়ে পরিশ্রম করে চাষ করা চাষীরা এখন তুলছে বাদাম উঠানোর পালা। কেবল পুরুষরাই নন, ফসল রক্ষা করতে লেগে পড়েছেন মহিলারাও। প্রসঙ্গত, আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই তিস্তা নদীর বুকে আসবে পাহাড়ের ভয়ংকর জল। তাই জল আসার আগেই সকাল থেকে দিন সবসময়েই এখন বাদাম উঠানোর কাজে ব্যস্ত তিস্তা নদীর পারে বসবাসরত বাসিন্দারা। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে কোনো সূযোগই হাতছাড়া করতে রাজী নন তারা। অত্যন্ত পরিশ্রম করে তিন মাস বাদাম ফলানোর জন্য সকাল দুপুর সার থেকে জল সবটাই তারা দিয়ে এখন কিছু লাভের আশায় তুলছেন বাদাম গাছ।
এর পর বাদাম তুললে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এখনই চলছে তা তুলে ফেলার প্রক্রিয়া। তাছাড়া প্রতি বছর বর্ষায় পাহাড়ী জল ঢুকে পড়ে এই ক্ষেতের জায়গাতে। আর কয়েকদিনের মধ্যেও সেটাই হবে।সেই ভয়েই এখন তড়িঘড়ি চলছে বাদাম তোলার কাজ।বাদাম তোলার পর শুকিয়ে তা বিক্রি হবে পাইকারির হাতে। এক বাদাম চাষী নির্মল মজুমদার বলেন, এই বার ফলন ভালো হয়েছে।তাই আশা করা যায় লাভ খুবই ভালো হবে।
advertisement
advertisement
এই বার ধসা রোগ হয়নি। তাই ফসলের কোন ক্ষতি হয়নি। অন্য দিকে এক মহিলা বাদাম চাষী বচুনি দাস বলেন, ফলন ভালো হবার জন্য লাভ ভালো হবে। কিন্তু সব টাই নির্ভর করছে যতটা ফসল কে আমরা রক্ষা করতে পারব। কারণ, একবার পাহাড়ি জল ঢুকলে বাদাম তুলে কোনো লাভ নেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জল যন্ত্রণায় প্রবল সমস্যায় গয়েরকাটার বাসিন্দারা
প্রসঙ্গত এ বছর এমনিতেই আগেভাগে বর্ষা ঢুকে জনজীবন বিপর্যস্ত করেছে। তবে তিস্তার জল ঢুকে পড়লে আর রক্ষা থাকবে না তাই এখন থেকেই চলছে বাদাম তোলার তড়িঘড়ি। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে এখন বাদাম তুলতে ব্যস্ত চাষীরা।
Geetashree Mukherjee
view commentsLocation :
First Published :
June 24, 2022 10:01 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/জলপাইগুড়ি/
Jalapaiguri: পাহাড়ী নদীর জলে ভেসে যাওয়ার ভয়ে আগেই বাদাম তুলে নিচ্ছেন কৃষকরা!
